এই ব্লগবাড়ি ব্লগারের মতই ছন্নছাড়া । হুটহাট যা লিখতে ইচ্ছা করে, লিখে ফেলা হবে। বেশি ভাবাভাবির সময় নাই।
৮৪তম অস্কার মনোনয়নে এবার সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে হলিউডি পরিচালকদের গুরু বলে খ্যাত পারিচালক মার্টিন স্কোরসেজের সিনেমা ‘হুগো’। সর্বাধিক ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে সিনেমাটি।
অস্কারে ‘বিগ ফাইভ’-এর অন্যতম ‘বেস্ট পিকচার’ এবং ‘বেস্ট ডিরেক্টর’ মনোনয়নও হুগো'র হাতছাড়া হয়নি। Taxi Driver, The Goodfellas, Raging Bull, The Departed, Shutter Island -এর মত মাস্টারপিসের জন্মদাতা মার্টিন স্কোরসেজকে নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। কিন্তু স্কোরসেজের প্রথম 'ফ্যামিলি মুভি' Hugo দিয়ে আরেকবার নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি
______
কাহিনী সংক্ষেপঃ
১৯৩১ সালের ঘটনা। প্যারিস শহরে বাস করে মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র ১২ বছরের বালক হুগো ক্যাব্রে। দুর্ঘটনায় পড়ে হঠাৎ মারা যান হুগোর বাবা।
এতিম হুগো তার আংকেলের কাছ থেকে শিখে নেয় ঘড়ি ঠিক করার বিদ্যা। ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রয়াত বাবার রেখে যাওয়া একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন একটি নষ্ট যন্ত্রমানবকে নিয়ে। হুগো বিশ্বাস করতে শুরু করে সেই নষ্ট যন্ত্রমানব তাকে এমন কিছু জানাতে পারবে যা তার বাবা বলে যেতে পারেননি। এগোতে থাকে মুভির কাহিনী...
বাবার নোটবই দেখে দেখে নষ্ট যন্ত্রমানবকে ঠিক করার চেষ্টায় মনোযোগী হয় হুগো। এর জন্য স্টেশনের পুতুলের দোকান থেকে যন্ত্রপাতি চুরি করতে শুরু করে।
কিন্তু একদিন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সেই দোকানের মালিকের কাছে। নিষ্ঠুর সেই লোক হুগোর কাছ থেকে তার বাবার নোটবুকটি কেড়ে নেয় আর ফেরত দেয় সেই নোটবুক পোড়ানো ছাই
অচল যন্ত্রটিকে সচল করার একমাত্র চাবিকাঠি বাবার নোটবুকটি এভাবে হারানোর কারনে হতাশায় ভেঙ্গে পড়ে হুগো । ঠিক তখনই তার বন্ধুত্ব হয় সমবয়সী এক মেয়ে- ইসাবেলার সাথে। ঘটনাক্রমে এই মেয়ে হচ্ছে সেই পুতুলের দোকানের মালিকের পালিত কন্যা। ইসাবেলার কাছ থেকে হুগো জানতে পারে দোকানের মালিক তার নোটবুকটি আসলে পোড়াননি।
আবার নতুন উদ্যোমে শুরু হয় হুগোর অ্যাডভেঞ্চার
শুরু হয় রহস্য অনুসন্ধান আর রহস্যের প্যাচ খোঁলার পালা। বেরিয়ে পড়ে সেই পুতুলের দোকানের মালিকের আসল পরিচয়। আর এখান থেকেই একেবারে নতুন মোড় নেয় মুভির কাহিনী। শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে হুগোর ভাগ্যে? জানতে হলে দেখতে হবে পুরো মুভিটি
________
এবার রিভিউ লেখার অপচেষ্টাঃ
আমার স্থূল বিবেচনা বলে এই জগতে মুভি কেবল দুই প্রকারঃ
১.ভালো মুভি;
২.খারাপ মুভি।
হুগো আহামরি কিছু না হলেও অতি অবশ্যই ১ম শ্রেণীভুক্ত।
মুভিখোর হিসেবে আমি সর্বভুক প্রজাতির, হাতের কাছে যা পাই তাই দেখি সূক্ষ্ম রুচির মুভি সমালোচকদের মত মুভিতে ক্যামেরার কাজ টাইপ টেকনিক্যাল বিষয়গুলাও তেমন একটা ভালো বুঝিনা। তবে সিনেমাটোগ্রাফিই হোক কিংবা ভিজুয়াল ইফেক্ট এর কারণেই হোক; হুগো দেখে আরাম পেয়েছি, ব্যাস!
আমার চোখে মুভিটির একমাত্র খারাপ দিক - কাহিনীর স্লথগতি মুভির ব্যাপ্তি দুইঘন্টার বদলে দেড়ঘন্টা হলেই মনে হয় ভালো ছিল। মুভি এগোনোর ধীরগতির কারনে কোন কোন পর্যায়ে কিছুটা বোরিং লাগতে পারে । খুব বেশী কিছু প্রত্যাশা করে দেখা শুরু করলে আশাহত হবেন, এমনকি কিছুটা ওভাররেটেডও মনে হতে পারে। অ্যাডভেঞ্ছার জেনারের হলেও হুগো মোটেই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ মুভি না।
বরং অনেকেটা "অলস সময়ে গা এলিয়ে দিয়ে" দেখার মত মুভি। তবে একটু ধৈর্য নিয়ে দেখলে খারাপ লাগবেনা আশা করি
_______
ডাউনলোড লিঙ্কসঃ
লিঙ্ক ১- হিপফাইল (৩৬২ মেগাবাইট ফ্রি রিজিউম সাপোর্টেড ডাউনলোড)
[BRRip x264, mkv format]
ইংরেজি সাবটাইটেল
লিঙ্ক ২- আইএসওহান্ট টরেন্ট
৭০৫ মেগাবাইট | সিডার ১০৭৫, লিচার ১২৮৪)
[BRRip XviD, avi format]
_________
হ্যাপি মুভি টাইম!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।