জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব থাকে এবং সেই আদর্শ ও ব্যক্তিত্বই তাকে অন্য মানুষ থেকে আলাদা করে। তাকে সম্মান ও সাফ্যলের শিখরে নিয়ে যায়।
যে মানুষের মুখের লাগাম নাই, যার অন্যের বা প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নাই, ব্যক্তিত্ব নাই তাকে কি করে সম্মান করি..? যদিও আমার সম্মান দেয়া না দেয়া কিছু আসে না। তবে সত্যি লজ্জা লাগে।
তিনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!!!!
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটা প্রশ্ন খালেদা জিয়ার ছেলেদের জন্য আপনার মাথা হেট হয়ে যায়, যা সত্যি হাস্যকর কিন্তু আপনি যখন এই যুদ্ধাপরাধীদের পাশে বসিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন তখন কি আপনার মাথা ছিল না নাকি আপনার তখনও লজ্জাবোধ জন্ম হয়নি?
হেট হওয়াতো দূরের কথা।
আপনিতো ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক ডিগ্রি পান, তো এই ডিগ্রি গুলি কি আপনাকে অন্যের প্রতি উত্তম আচরণ শেখাতে পেরেছে?
অন্যকে প্রকাশ্যে, এভাবে ব্যক্তিগত বিষয়ে তিরস্কার করা একজন প্রধানমন্ত্রী পদের সহিত মানান সই নয়।
এসব অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের চেয়ে আরো জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি নিয়ে ভাবুন তাতে দেশ ও জনগণের উপকার হবে। আর
পারলে শেয়ার বাজারের লুটেরা হোতাদের নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে অর্থনীতি নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে সীমান্ত হত্যা নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে ছাত্রলীগের অত্যাচার নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে সাধারণ মানুষের কষ্ট নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
পারলে আপনার স্মার্ট মন্ত্রীদের নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন,
আমি জানি আপনি অতীতেও পারেননি এখনও পারবেন না।
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইসতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করাকে যে তলোয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তা দিন দিন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে আপনার সরকার এ বিচার কার্যকে ব্যবহার করে এবার তলোয়ার নয় ঢাল হিসাবে আগামী নির্বাচনী প্রচারণা চালাবে বা ক্ষমতায় আসতে চাইবে।
মূলা ঝুলানোর রাজনীতি আর দেখতে চাই না, যা পদ্মা সেতু ও এক চোখা ভারতে প্রীতিতে দেখে নিয়েছি।
চাই সঠিক প্রতিশ্রুতি ও সঠিক বাস্তবায়ন।
সন্দ্বীপে শেখ হাসিনা:
যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর দরদ উথলে উঠেছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর দরদ উথলে উঠেছে। তিনি তাদের বাঁচাতে আন্দোলনে যাচ্ছেন। কিন্তু বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।
শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী নিজেই দুর্নীতি করেছেন, এমনকি ছেলেদেরও লেখাপড়া শেখাননি। এক ছেলেকে দিয়েছেন ড্রাগ পাওয়ার ডিগ্রি, অপরজনকে দিয়েছেন মানি লন্ডারিংয়ের ডিগ্রি। আর তারা সরকারের টাকা, জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। লজ্জায় আমাদেরও মাথা হেঁট হয়ে যায়। ’
সূত্রঃ
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।