১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাটে সাংবাদকি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি দুবৃত্তদের হাতে খুন হন। ওই দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী শনাক্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। ১২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইমাম হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারাও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটনের আশা প্রকাশ করেন জোরেশোরে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মহাপরিদর্শক (্আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, ‘তদন্তের প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ’ পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আবারও বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দেশবাসী সুসংবাদ পাবে।
’ কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন।
হত্যাকান্ডের সাতদিন পার হয়ে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা এখন অন্য সুরে কথা বলা শুরু করেছে। তারা প্রথমে বলেছিল ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এখন বলছে, ঘটনার কোন ক্লু এখন পর্যন্ত তারা খুঁজে পায় নি।
তাহলে কাদেরকে আড়াল করতে তদন্ত কর্মকর্তাদের এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য?????????????
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার জ্বালানি বিট করতেন। আর স্পট থেটে খোয়া গেছে তারা ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও আইপড। তাহলে কি ওই ল্যাপটপে জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য উপাত্ত ছিল??????
ঘটনার এতদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি। অতীতে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার হয় নি। সাগর রুনি হত্যাকান্ডেরও কি কোন বিচার হবে না? এই প্রশ্ন এখন বেশি করে উকি দিচ্ছে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
যদি এরকমই হয় তাহলে আমিও খুন হবো। এটা নিশ্চিত। আর কালকে খুন হবে আমারই আরেক বন্ধু, বড় আপু-ভাই।
এই হত্যাকান্ডের কি রাষ্ট্রযন্ত্রে কোন দায় নেই????? রাষ্ট্রের এতগুলো গোয়েন্দা সংস্থা একটা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারে না এটা আমি বিশ্বাস করতে চায় না। হয়তো কোন পক্ষকে আড়াল করার জন্য এমনটিই করা হচ্ছে।
আর তাই যদি সত্য হয় তাহলে ওই প্রভাবশালী পক্ষ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং আমাকে কিংবা আপনাকে হত্যা করবে।
তারপর????? আবারও তদন্তের নামে, বিচারের নামে প্রহসন। আবার দেশের ১৫ কোটি মানুষের সাথে প্রতারণা। আবারও রাষ্ট্রযন্ত্র্রের কর্তাব্যক্তিদের মিথ্যাচার! মিডিয়ার দৌড়-ঝাপ। তারপর আবার ও খুন!!! আবারও হয়তো কোন মায়ের বুক খালি হবে কিংবা কোন সন্তার পিতৃহারা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।