আমি যে কেনো কাঁদি , জন্মাবধি ! বৃষ্টি-দগ্ধ হয়ে ডুবে থাকি কারো তন্দ্রাহত দৃষ্টির গভীরে ...
এখানেই ঘুমায় কামিনীরা , শাশ্বত তরমুজ মদ ছুঁয়ে
হস্তমৈথুন , সরিষার তৈল আর স্ট্রবেরির –
নির্যাস । তারপর হরিণীর মায়াময় চোখ দেখে
ওকের প্রলাপ । থেমে যাও এইখানে , পথিক ,
থেমে যাও আজ এই বিবর্ণ সরাইখানায় ।
উইপোকার লাঙ্গল দাঁতে খসে পড়ে প্লাইউডের
নিখুঁত বিলাপ । এখানেই থেমে যাও , পথিক ,
এখানেই থেমে যাও , আর কিছু এগোলেই পাপ ।
কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে ক্লেদাক্ত কুসুম , দেয়ালি ,
আলোর পতঙ্গ-পরাগ । অতঃপর পালঙ্কে করে ভীর
তট বালির সীমাহীন অভিশাপ । আর কতদূর ?
পথিক , নিজেকেই চিনি অন্ধকারে , মৈথুনের
কালো ঘোড়া করে ভর , তারপর ধূসর নাশপাতিতে
মরিচার প্রলেপ । ক্ষয়ে যায় লোম , পুড়ে যায়
বিষাদ স্বপ্নের নাতিদীর্ঘ ঘুম । আলপিনের ডগায়
নাচে তোমার হৃদয় , কাজ শেষে পড়ে যাবে ,
আজ ।
চর্বির দেহগুলো স্ফীতকায় কাঁপে
নিরঞ্জন , কাম দেব চেয়ে দেখে , আঁকে
অপ্সরীর , কুকুরের চোখ । তেজপাতারা একসাথে
জড়ো হয়ে , সঙ্গমের আয়োজন , মৃগ-ভূমির
লিনেন তাঁবু , পাইনের বন । তারপর চলে যাব,
শিশিরের পথে , একদিন , কাঠের বন্দুক
রেখে যাব , এই স্বপ্ন-চুক্তি পত্র ভেঙ্গে ফেলে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।