আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সি, এন, জির সিটে বসে ভালোবাসা বিতরন

আমাদের ছড়া গুলো সমাজের আয়না,যার কাছে কোন কিছু ঢেকে রাখা যায়না! প্রতিদিনের মতো সকালবেলা বাসে করে অফিসে যাচ্ছি, যথারিতি রাস্তায় স্বভাব সুলভ যানজট, যানজটে আমার মতো অফিস যাত্রিদের সমস্যা হলেও কারো জন্য যে উপভোগ্য হতে পারে তা বুঝলাম বাসের জানালা দিয়ে সি, এন জির সিটে চোখ পরার পরে । সেখানে দেখো গেল এক যুগল ওয়েষ্টার্ন ষ্টাইলে ভালোবাসা বিনীময় করছে ।তাদের চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে মনে হয়, তারা এটা জানেইনা যে তাদের আশপাশে কেউ আছে, অথবা জানলেও ভাবখানা এমন যে- (আমার চুমু আমি খাবো, যেখানে খুশি সেখানে খাবো, তাতে কার কি ? )দৃশ্য দেখে আমার মুখ আপনা থেকেই হা হয়ে গেল, পাশের সিটের ভদ্রলোক বললেন- আরে মুখে মাছি ঢুকবে যে, হা করে আছেন কেন ? আমি হাত দিয়ে ভদ্রলোক কে সি, এন জির দৃশ্য দেখালাম, তিনি কিছুই না এমন ভাব করে বললেন - আরে মশাই আপনি কোথায় আছেন ! এটা দেখে অবাক হওয়ার কি আছে ? আজ ১৪ই ফেব্রুয়রী, ভালোবাসা দিবস, যে কারনে প্রেমিক যুগল ভালোবাসা বিতরন করছে । ভদ্রলোকের কথায় আমার নিজেকেই বোকা মনে হলো, সত্যিই তো এখন কি আর লুকিয়ে ভালোবাসার দিন আছে,দেশ ডিজিটাল হয়েছে না ! যে দেশে লোকজন ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে ১ দিনে ফুল, গিফ্ট আর ডেটিংয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে সে দেশে এসব দৃশ্য দেখে অবাক হওয়ার কি আছে ! তবে কষ্ট হয় ভালোবাসার যথা যোগ্য মর্যাদা না দেখে ,আমি যতটুকু বুঝি ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাদের ভালোলাগার বিষয় না, ভালোবাসার পরিধি অসিম । মা- বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ,সন্তানের প্রতি মা-বাবার ভালোবাসা ,ভাইয়ের প্রতি বোনের ভারোবাসা , বোনের প্রতি ভাইয়ের ভারোবাসা, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা, স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি বন্ধুর ভারোবাসা, সর্বপরি সৃষ্টার প্রতি সৃষ্টির ভারোবাসা, এগুলোই তো ভালোবাসার প্রধান উপাদান । ভালোবাসা দিবসে আমরা তো পারি সি এন জির সিটে বসে ভালোবাসা বিতরন না করে এসব স্থানে আমাদের ভালোবসার প্রকাশ ঘটাতে ।।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।