কেবলই নিজেকে খুঁজছি আমি তখন একটি জেলা শহরের কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারে পড়ি। হলে থাকি। আমার পাশের রুমে সুরঞ্জন নামে এক বড় ভাই থাকতো। ও রোজ গোসল করে এসে লোকনাথ, সরস্বতীদেবীর ছবির সামনে ধ্যান করতো। তখন আমি গিয়ে হাজির হতাম তার সামনে।
তার মাথার উপরে হাত রেখে বলতাম, ‘বৎস! আমি তোর ডাকে সন্তুষ্ট হয়েছি। বল তুই আমার কাছে কি বর চাস?’ সুরঞ্জনদা হেসে ফেলতো। বলতো, ‘মিলন, আমি যদি স্বর্গে যাতি না পারি। এর দায় কিন্তু তোমারেই নিতি হবি। ’ সুরঞ্জনদার অনুভূতিতে আঘাত লাগবে কি লাগবে না সেই চিন্তাই তখন আমার মাথায় আসেনি।
কিন্তু সুরঞ্জনদা চাইলেই গুলি করে আমার মগজ রাস্তায় ফেলে দিতে পারতো। সেই যন্ত্র তার কাছে ছিল। তা না করে বরং সে হেসে বলতো, ‘তুমি একটা পাগল। তোমার যে কি গতি হবি! স্বর্গে তো যাতি তো পারবাই না। ’ কয়েকদিন পরেই দেখি সুরঞ্জনদা আর আমার কথায় হাসে না।
একমনে ধ্যান করে। আমি যতই চিত্রনাট্য বদলাই কিন্তু সে আর হাসে না। শেষে আমাকেই ক্ষান্ত দিতে হলো। এটা হয়তো সেই বয়সের পাগলামি। পূঁজা বা নামাজের সময় কেউ এমন করুক চাইনা।
কিন্তু সুরঞ্জনদার কাছ থেকে এইটুকু শিখেছি, আমার ধর্মীয় বিশ্বাস যদি অটুট থাকে, আর আমি যদি না চাই কেউ শুধুমাত্র কথা বলে বা লিখে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে না। যদি না সে আমার উপর শারীরিক ভাবে আঘাত হানে বা ধ্বংসযজ্ঞ না চালায়। এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও কি কেউ শাস্তি পাচ্ছে? ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চাইতেও কি বড় অপরাধ করে ফেলেছে ব্লগাররা! খুনের চাইতেও? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদল গর্দভ মন্ত্রী নিয়ে এখন আপনি ভোটের রাজনীতি করছেন। ব্লগারদের গ্রেফতার করে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছেন। এই ব্যালেন্স করা রাজনীতি থেকে সরে আসুন।
নইলে বাংলাস্থান হোয়ার পর, আম-ছালা দুই হারাইবেন, বিজনে বসিয়া চুষিবেন আমড়া! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।