আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময় এসেছে মায়ানমারের পন্য বর্জন করার

আমি একজন ঢাবি ছাত্র। ভালবাসি গল্প লিখতে। সময় এসেছে মায়ানমারের পন্য বর্জন করার স্বাধীনতার পর থেকে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে কি পেয়েছি তা না পাওয়ার বেদনায় অতলে হাড়িয়ে যায়। চুক্তি, সাহায্যের আশা আর ভবঘুরে ভালবাসার সন্ধানে আমরা নিরাশা পেয়েছি দিনের পর দিন। ধর্মের তত্ত্ব নিয়ে দেশ ভাগের রীতিতে ভারতের বিহার থেকে যে মুসলিমেরা আমাদের দেশে এসেছিল পাকিস্তান যাবার জন্য।

আজো তার মিমাংসা হয়নি। এদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কত বিহারী আছে তা সরকার সঠিক ভাবে বলতে পারেনা। তারা বাংলাদেশে বাস করে অথচ অনেকেই মনে প্রানে পাকিস্তান কিংবা ভারতকে ভালবাসে। পাকিস্তান সরকার আজো তাদের ব্যপারে কোন সমাধান দেয়নি। ভবিষ্যতে এর কোন কোন সমাধান হবে কিনা সন্দেহ।

কোন তত্ত্ব ছাড়াই আমরা রোহীঙ্গাদের ফ্রী পেয়েছি মায়ানমার থেকে। এই অসহায় লোক গুলিকে ফিরিয়ে নেয়াতো দুরের কথা, পারলে সেদেশের সব মুসলিমকে তাড়িয়ে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দিতে পারলেই বাচে তারা। তাদের দেশের গনতন্ত্রের নেত্রী নাকি রোহিঙ্গাদের চিনেই না (এমন মানুষ কিভাবে নোবেল পায় তা ভাববার বিষয়!)। আলজাজিরা মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যাকে The Hidden Genocide বলে অভিহিত করেছে। একটি বুদ্ধ মহিলার ধর্ষনের গুজব ধরে আজ পর্যন্ত যেভাবে সেখানকার মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছে, মেরে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে, মহিলা ও শিশুদের ধর্ষন করা হয়েছে, মসজিদ মাদ্রাসায় আগুন দেয়া হয়েছে সেটাকে গনহত্যা না বলাটা বোকামি।

গত কালও এক মাদ্রাসায় আগুন লেগে কমপক্ষে ১৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনাকে ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করেছে নিছক দূর্ঘটনা হিসেবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষক ও উদ্ধারকর্মীরা গন্ধ পেয়েছে পেট্রোলের। এবার আসি আমাদের দেশ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কতটা বিপদে পরেছে। প্রথমেই বাংলাদেশ একটি অধিক জনসংখ্যার দেশ, তার উপরে দরিদ্র আর বেকারত্ব নিত্ত দিনের সমস্যা।

তার উপরে অন্য দেশের কোন জনগোষ্ঠী যদি এদেশকে নিজেদের দেশ হিসেবে নেয় (refugee হিসেবে) তাহলে দূর্দশার অন্ত রইবেনা। আন্তর্জাতিক চাপে আমরা তাদের বাসস্থান, কর্মসংস্থান করে দিতে বাধ্য হব ঠিকই, সেজন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কতটা আসবে বা আসলে কতটা তাদের হাতে পৌছুবে তা ভাববার বিষয়। There are 400,000 Rohingya languishing in Bangladesh. For more than three decades, waves of refugees have fled Myanmar. But the government of Bangladesh considers the Rohingya to be illegal immigrants, as does the government of Myanmar. They have no legal rights and nowhere to go. Source: Al Jazeera সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখেনা রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের কত বছর ধরে ভোগাচ্ছে এবং ভোগাবে। তাও ৪ লক্ষের বিষয়টা আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমের খবর। সঠিক হিসেব করলে এর সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও অবিশ্বাস্য নয়।

মায়ানমারে এইরকম গনহত্যা চলতে থাকলে, আমাদের চক্ষু ফাকি দিয়ে দিনকে দিন এদেশে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আমরা এই সংকট নিরসনে অন্ধ, দাঙ্গাবাজ মিয়ানমারবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে পারবনা ঠিকই, অন্য উপায়ে তাদের একটা ম্যাসেজ দিতে পারি। তারা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মাথা নত করছেনা। আমাদের দেশের সরকারও সাধারন নিন্দার উপরে রয়েছে। কিন্তু এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কুফলটা আমাদের উপরে দিনকে দিন বেড়ে চলেছে।

তাই দেশ বাঁচানোর তাগিদেই হউক, মানবিক কারনেই হউক, ধর্মীয় সহানুভূতির জন্যই হউক, যে কোন কারনকে সামনে রেখে আমরা সেদেশের সরকার ও দাঙ্গাবাজ মানুষদেরকে একটা পরোক্ষ ম্যাসেজ দেবার জন্য প্রকাশ্যে মায়ানমারের সকল পন্য বর্জন করি। মায়ানমার থেকে যেসব পন্য আমাদের দেশে আসে, প্লাস্টিক ও স্পঞ্জ জাতীয় পন্য বিশেষ করে স্যান্ডেল যেগুলোকে বার্মিজ স্যান্ডেল হিসেবে ধরা হয়, আচার জাতীয় নানা রকমের খাবার (বার্মিজ আচার), নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য (প্লাস্টিক দ্রব্য), পোষাক (লুঙ্গী, ফতুয়া জাতীয়), ব্যাগ, মেয়েদের জুয়েলারী ইত্যাদি। ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট (কারো কোন পরামর্শ থাকলে তা জানাতে পারেন) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।