আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপিএল-এ বাংলা ভাষার দুর্গতি !

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) নামটাই ইংরেজী। শুনতে শুনতে বাংলার মতোই চেনা হয়ে গেছে প্রিমিয়ার লীগ কথাটি। এতে দল ৬টি। ঢাকার দলটির নাম ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরর্স। শুধু ইংরেজী নামেই শেষ নয়, ঢাকার ওপর ভর করেছে ইতিহাসের গর্ভে বিলুপ্ত রোমান সাম্রাজ্যের গ্ল্যাডিয়েটররা।

চট্টগ্রামের দলটির নাম চিটাগাং কিংস। খাঁটি ইংরেজী। খুলনার দলের নাম খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। বাংলার বাঘ ইংরেজীতে হালুম হালুম করছে। সিলেটের দলের নাম সিলেট রয়ালস।

ওরা লণ্ডনী। ফলে সব কিছু হার রয়াল হাইনেসের তরিকায় হওয়াতে বিচিত্র কি ? বরিশালের দলের নাম বরিশাল বার্নার্স। সিঙ্গেল বার্নার না রীতিমতো বার্নার্স ! ব্যতিক্রম শুধু রাজশাহী- দুরন্ত রাজশাহী। যদিও বিপিএল-এর পাল্লায় পড়ে লেখা হয় ইংরেজী বর্ণে। বিপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে অনেক কষ্টে খুঁজে নিতে হয়েছে।

তাতে আপত্তি করে লাভ তো নেই। শুধু মন খারাপ হয়েছে আয়ুব বাচ্চুর হেঁড়ে বেসুরো গলায় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি শুনে। এই অপমানটুকু না করলে হতো না ? এরপর যা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সংস্কৃতির কথা না তোলাই বিধেয়। এমনিতেই আমাদের বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা (কার্যত মৌখিক)ফেব্রুয়ারী নির্ভর। সেই ফেব্রুয়ারীতেই বিপিএল হামলা ! কেউ কেউ আর্থিক দুর্গতির ভেতর লাখ লাখ ডলারের বিপিএল চালু নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।

সে আপত্তিতে আমার সায় নেই। আমাদের ক্রিকেটে রঙের জৌলুস লাগাতে আমি রাজী আছি। কারণ এতে আমাদের ক্রিকেটারদের মেরে কেটে খেলার একটা অভ্যাস তৈরী হবে। সাথে পকেটে কিছু ডলার ঢুকবে। ডলারের মায়ায় ভালো খেলার ঝোঁক তৈরী হলে দেশের লাভ।

জাতীয় দলে প্লেয়ার পেতে সুবিধা হবে। তীর্থের কাকের মতো আ্ইপিএল নিলামের দিকে চেয়ে থেকে থেকে অবহেলার অপমান থেকে কেউ কেউ রেহাই পাবেন। কিন্তু বাংলা ভাষার অবহেলার শেষ হলো না তাতে। বিপিএল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবার সময় এফএম রেডিওর হিজড়া বাংলার সাথে ইংরেজী বোল শোনালো সবাই। সবাই নাকি খুব এক্সাইটেড ! শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক উপন্যাসে লিখেছিলেন- ''... চোখ পড়িতেই সে একেবারে হিন্দি-গর্জন ছাড়িল।

খুব সম্ভব, হিন্দিভাষায় অধিক রোক প্রকাশ পায়। '' আজকাল ইংরেজী ভাষাতেই বোধ হয় অধিক জাতে ওঠা প্রকাশ পায় ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।