আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাই থামেন! ব্লগার মানেই নাস্তিক না

আমার মতে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে মানুষের হাসি। তাই আমি সারাজীবন মানুষকে হাসি মুখে দেখতে চাই বর্তমানে যে কথাটি সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে তা হল নাস্তিক। আগে যারা শাহবাগ যেত তাদেরকেই নাস্তিক বলা হত। এখন যারা ব্লগার তাদের সবাইকেই নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করছে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি চারা গজানো দল। একটা অফিসে অনেক কর্মী থাকে।

সেখানে দুই একজন ঘুষ খেতেই পারে । তাই বলেআপনি অফিসের সবাইকে ঘুষখোর বলতে পারবেন না। এবার আসি নাস্তিক কি?অনেকেই মনে করেন নাস্তিক মানেই ইসলামের শত্রু । নাস্তিকরা একটা নির্দিষ্ট বিশ্বাসের থাকে। তারা মুক্তমনা হিসেবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে ।

তারা কোন ধর্মের অনুসায়ী হয় না। তারা তাদেরনির্দিষ্ট ধারায় চলতে থাকে। তবে কিছু উগ্র নাস্তিক ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে । হয়তো স্মার্টনেস অথবা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য তারাএটা করে। তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে ।

তাই বলে সকল নাস্তিক কিন্তু উগ্র নয়। তিনি আমার ধমের নয় বলে কি তাকে ঘৃনা করতে হবে । সেই হিসেবে তো অন্য ধর্মের অনুসারীকে ঘৃনা করা হয় । ইসলাম শান্তির ধর্ম । আমাদের ধর্ম সকল ধর্মকে সম্মান করে।

আরো বলা হচ্ছে নাস্তিকদের তওবা পড়ানোহবে । আমাদের ধর্মের কোথাও কি ধর্মান্তরিত করার কথা উল্লেখ আছে?কালকে একজন আলেম বলেছেন বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকদে ­শ । একজন হিন্দুকে যদি আমরা ভাই বলতে পারি তাহলে নাস্তিককে ভাই বলতে সমস্যা কোথায় ?আসলে নাস্তিককি ,ব্লগ কি এটার অর্থই তারা জানে না । কথায় আছে না অল্প বিদ্যা ভয়ংকর । তারা না জেনেই কাউ কাউ করে।

কোন কিছু বলার আগে তা সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন। ব্লগ কোন মিডিয়া না । এটা নোট খাতার মত । একজন তার নিজস্ব মতামত ব্লগে প্রকাশ করে। দেশে লক্ষ লক্ষব্লগার আছে ।

তাদের সবাইকে নাস্তিক বলা হলে তাদেরও কিন্তু ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করা হচ্ছে । কারন বেশীরভাগই আস্তিক । তারা কিন্তু নিজস্ব ধর্মের নিয়মঅনুসারে চলে। তাহলে যারা তাদের নাস্তিক বলছে তাদেরও বিচার করতে হবে। ।

অজ্ঞতা ও সন্দেহের বশেঅপবাদ দেয়ার ঘটনাই সবচেয়ে বেশি ঘটে। এ কারণেই পবিত্র কোরআনের সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অনেক বিষয়ে সন্দেহ বা ধারণা করা থেকে বিরত থাক কারণ কোনকোন ধারণা বা সন্দেহ গোনাহ। ' কাজেই সন্দেহের বশে কারো বিরুদ্ধে কোন দোষ চাপিয়ে দেয়া অপরাধ। সূরা ইসরাঈলের ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, সেটার পেছনে যেও না। এখন আমরা দেখবো কোন অপবাদের কথা শোনার পর আমাদের করণীয় সম্পর্কে।

সূরা হুজরাতের ৯ নম্বরআয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন খরব আনে তাহলে তা পরীক্ষা করে দেখবে,যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশ হলো, আমরা যখন কারো ব্যাপারে কোন কথা বা অপবাদ শুনব তখন আমাদের দায়িত্ব হলো প্রথমে তা পরীক্ষা করে এর সত্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হবো। কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক এবং প্রমাণ ও তদন্তবিহীন মূল্যায়ন নিষিদ্ধ। ইমাম সাদেক (আ.) বলেছেন, যখনই কোন ব্যক্তি কোন মুমিনকে অপবাদ দেয় তখন তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায় যেমনিভাবে লবন পানিতে গলে যায়। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিন নারী বা পুরুষকে অপবাদ দেবে তাকে পরকালে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে।

শেষ কথা যারা ধর্মকে অবমানা করছে শুধু তাদেরই গ্রেফতার করতে হবে । যারা ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে আল্লাহ যেন তাদের জ্ঞান দান করুক । আমীন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।