শেষ বারের মতো সতর্ক করছি... [যাদের ধর্মানোভুতিতে চুলকানি আছে , তাদের এই লেখাটা পড়তে নিরুৎসাহিত করা হলো]
আপনার ধর্ম ভাল কি মন্দ তা দেখার আগে আমাকে বলুন। ধর্ম কেন আমার প্রয়োজন? আমি কেন ধর্মকে জানতে যাব? আমি কেন ধর্মকে মানতে যাব?
একজন ব্যক্তির জীবনে ধর্মের প্রয়োজন কতটুকো? ধর্ম ছাড়া মানুষ ভালই তো আছে। কেন তবে তার উপর একটা ধর্মের বোঝা চাপিয়ে দিতে হবে? কেন তাকে একটা ধর্মের শৃঙ্খলে আটকে দিতে হবে? কেন ধর্ম দিয়ে সমাজকে গ্রাস করতে হবে? কেন একজন ধর্মমুক্ত মানুষকে ধর্ম এত ভয় পায়?
ধর্মের কথা উঠলেই ধার্মিকরা বড় গলায় আর একটা কথা উচ্চারন করেন "নৈতিকতা"। কিন্তু নৈতিকতার সজ্ঞা কি? নৈতিকতা কি কোন আইন? যদি আইন হয় তবে আমাদের সংবিধানওতো একটি ধর্ম হওয়ার কথা। কিন্তু সংবিধান তো ধর্ম নয়।
তাকে ধর্মবল্লে কল্লাও যেতে পারে।
তবে কেন ধর্মের সাথে নৈতিকতাকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। কিছু পুরনো বাতিল নিয়ম নীতি দিয়ে মানুষের জীবনকে বেঁধে ফেলার এই যে ব্যবস্থা তার নামই তো ধর্ম। একটা বই এর সকল নিয়ম কানুন মেনে চলাই তো ধর্ম করা। ১৪০০ বছর আগের সমাজের কোন নিয়ম নীতিটা আজকে মানা হয়? সেই সময়ের কোন কাজটাকে আজ নৈতিক বলা হচ্ছে? বেশির ভাগই তো ভাগাড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
১৪০০ বছর আগের সময় এখন বর্বর যুগ। বর্বর যুগের নিয়ম কানুন কোন সভ্য যুগের মানুষ কেন পালন করবে? সেই সময়ের সচেয়ে বহুল ব্যবহৃত কাজ গুলো এই সময়ে অশ্লিল মনে হয়। আর সেই সময়ের নৈতিকত?
কোন মানে আছে একটা মানুষ তার কাজ কর্মের ফাঁকে আল্লা নামের একজন অকর্ম্যকে সময় দেয়ার? একজন রিকসা ওয়ালা কেন তার শরীরের ঘাম শুকানোর সময়ে উঠবস করতে যাবে? হাস্য কর সব চিন্তা ভাবনা।
ধার্মিকরা আল্লাকে ব্যবহার করে। ভয় পায় এটা আমার বিশ্বাস হয়না।
ভয়টা পাবে কি করে? তারাও তো জানে আল্লার করার মতো কোন শক্তি নেই। যদি তার ক্ষমতা থাকতো তবে এতদিনে অনেক কিছুই করে ফেলার কথা। কিছু কি করতে পেরেছে?ইরাক আক্রমনের সময় পৃথিবীর এমন কোন মুসলামান আছে যারা ইরাকের জন্য দোয়া করে নি? এমন কোন মুসলমান আছে যারা আমেরিকার পরাজয় চায়নি? তবে কেন আল্লা আমেরিকার একটা বিমানও বাধা দিতে পারলোনা? যে আল্লার আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা নেই তাকে কি করে মহাশক্তধর বলা যায়? যার কোন শক্তিই নেই তার এবাদত করতে হবে কেন? বরং সেই অকর্মণ্যকেই মানুষের ইবাদত করা উচিত।
নাকি আল্লা কারো দোয়াই কবুল করেনি? তা কি করে হয়? পৃথিবীর সকল মুসলমানের মধ্যে একজনওকি নেই যার কথা আল্লা কবুল করাতে পারে? যদি কবুলই না হয় তবে পৃথিবীতে সকল প্রার্থনাই বৃথা যাচ্ছে। বার বার বৃথা যাবার পরেও কেন ইবাদত করার কথা বলা হচ্ছে? কেন দুই হাত তুলে তার কাছে অকারনে অনেক কিছু চাওয়া হচ্ছে?
যে দেশ যত অনুন্নত তার ধর্ম পালন তত কঠোর।
যে দেশে ধর্মের বাড়বাড়ি বেশি সেই সব দেশে দুর্নীতি অনেক বেশি, নারী নির্যাতন বেশি,ঘুষ , লুটপাত , ধ্বংস বেশি। যেখানে ধর্মের বাড়াবাড়ি নেই সেখানের মানুষ শান্তিতেই আছে।
সুখের জন্য ধর্ম থেকে দুরে থাকতে হয়। শান্তির জন্য ঈশ্বর থেকে দুরে থাকতে হয়। ভালবাসার জন্য মানুষের কাছে যেতে হয়।
প্রেমের জন্য নিজের কাছে সমর্পিত হতে হয়। নৈতিকতার জন্য বিবেচানার কাছে আসতে হয়। কখনোই ধর্মের কাছে নয়। কখনোই ঈশ্বরের কাছে নয়।
আর একটা পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে ।
যদি সম্ভব হয়... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।