হিযবুত তাহরীর সন্ত্রাসবাদী ও বিভ্রান্ত-পথভ্রষ্ট দল। বাংলাদেশেও মেধাবী তরুনদের মগজধোলাই করে তাদেরকে ইসলামের নামে ভ্রষ্ট পথে নিয়ে যাচ্ছে। হযরত সুলতান সালাহ উদ্দীন আইউবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারকে আমরা দেখতে পাই ঐ সময় মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইহুদী ও খ্রীস্টানরা মিলে মুসলমানদের মধ্যে কিছু ভ্রষ্ট আক্বীদার দল তৈরী করেছে। বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এদের সম্পর্কে সামান্য ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো যাতে তরুন সমাজের কিছুটা হলেও বোধোদয় হয়।
===========================================
১ম পর্বের পর--------------
হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের প্রকাশনা থেকে যে সকল বদ আক্বীদা ও মতবাদ পরিলক্ষিত হয় তা হলোঃ
১) তাদের একমাত্র দাবি হচ্ছে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। এ দিকেই তারা আহবান করে। ঈমান, নামায, রোযা, হজ্জ, যকাতসহ পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে তথা প্রাত্যহিক জীবনে সুন্নাত পালন সম্পর্কে তাদের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না।
২) তাদের অনেক নেতাই নিজ নিজ দেশ ছেড়ে পাশ্চাত্য দেশে (তথা ইউরোপ-আমেরিকায়) গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।
৩) তারা খিলাফত পুনরুদ্ধার করতে চায়।
কিন্তু শিরক, বিদয়াত, ওহাবীবাদ, হারাম-নাজায়িয ও পাপ কাজের বিস্তার নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা ইলমে তাসাউফ চর্চা ও সুন্নত পালন করার ব্যাপারে মোটেই গুরুত্ব দেয় না। ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালনের ব্যাপারে উদাসীন থেকে অর্থাৎ তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ছাড়াই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে ভাগ্যের পরিবর্তন চায়।
৪) তারা সবসময় শুধুমাত্র রাজনীতি নিয়েই ভাষণ ও বক্তৃতা দেয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অন্যান্য মৌলিক শিক্ষার দিকে কোনো গুরুত্ব নেই।
৫) মুসলিম দেশের সেনাপতি অমুসলিম হলেও কোনো অসুবিধা নেই।
( ৫/৬/১৯৭০ তারিখে এ দলের আমীর তকীউদ্দীন নাবাহানী কর্তৃক প্রকাশিত ‘একটি প্রশ্নের উত্তর’ সম্বলিত লিফলেট)
৬) হারাম পথ অবলম্বন করে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে কোনো অসুবিধা নেই।
৭) আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উনার অনুসারীরা যে অর্থে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস করে, তারা তা অস্বীকার করে।
( আদ্-দাওসীয়া, পৃষ্ঠানং- ১৮)
৮) তাদের মতে, আক্বল তথা মানবীয় বিবেক হচ্ছে দ্বীনের অন্যতম মূলনীতি। তাদের এ ভ্রান্ত নীতিটি বাতিল ফিরক্বা মুতাযেলাদের কথার সাথে মিলে যায়।
৯) কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের একত্রিত হওয়া এবং পরস্পর সহযোগিতা করা জরুরী।
১০) শিয়া ও সুন্নীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
( আল-ওয়াঈ আত্ তাহরীরিয়া, সংখ্য ৭৫, বর্ষ- ১৯৯৩)
১১) তাদেরকে ছাড়া তারা অন্যান্য সকল মুসলমানকে কাফির মনে করে এবং মুসলিম দেশগুলোকেও কুফরী রাষ্ট্র বলে মনে করে। এমনকি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফকেও তারা ইসলামী দেশ/শহর মনে করে না।
১২) অপরিচিত মহিলাকে চুম্বন করা ও তার সাথে মুসাফাহা করা জায়িয বলে মনে করে তারা।
( তাদের আমীর নাবাহানী কর্তৃক প্রকাশিত ২৯/৫/১৯৭০ সালে প্রকাশিত ‘একটি প্রশ্নের উত্তর’ নামে একটি লিফলেট)
১৩) তাদের মতে, মহিলাদের উলঙ্গ ছবির দিকে তাকানো জায়িয।
১৪) পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফের বিরোধিতা করলেও খলীফার আনুগত্য করা জরুরী।
(আদ্ দাওলাতুল ইসলামীয়া, পৃষ্ঠানং- ১০৮)
১৫) তাদের মতে, খবরে ওয়াহেদ তথা একক ব্যক্তির সনদে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ সহীহ হলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে তাদের কথা মুতাযেলাদের সাথে মিলে যায়।
১৬) তারা কবরের আযাবকে অস্বীকার করে।
১৭) হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার আগমন সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফগুলি তারা গ্রহণ করে না।
১ম পর্ব।
----------- চলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।