আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসিফ মহিউদ্দীন ভাইকে বলছি...।

সৃষ্টিকর্তা সাম্প্রদায়িক হতে পারেন সেটা বিশ্বাস করি না... আসিফ মহিউদ্দীন ভাই, আপনার পুরনো লেখাগুলো পড়ে এবং ব্লগে আপনার সম্পর্কে করা মানুষের মন্তব্যগুলো পড়ে আপনার উদ্দেশ্যে আমার এই ছোট মুখে বড় কথাগুলো বলছি, ব্যাপারটাকে দয়া করে ব্যাক্তিগত আক্রমন হিসেবে নিবেন না। দয়া করে পুরোটা পড়বেন, আমার মূল কথাগুলো শেষের দিকে, প্রথম দিককার গুলো শুধু ভূমিকা। দাদা, বড় বড় দার্শনিক বুলি কপচানো আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়, তবে সামান্য কিছু মোলিক বিষয়ের অবতারনা এখানে করতেই হচ্ছে। আমরা যদি পাশ্চাত্য দর্শনের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই অনেক কাল ধরেই সৃষ্টি সম্পর্কে লজিক- কাউন্টার লজিক চলে আসছে, ধর্মের স্বপক্ষে একটা তত্ত্ব দিলে অল্পকালের মধ্যেই এর দূবলতাসহ উল্লেখ করে বিপরীতে আরেকটা তত্ত্বের আবির্ভাব হয়েছে, এমনকি তার বিপরীতেও আবার তত্ত্ব উদ্ভব হয়েছে এবং সেটা চলতেই আছে। কোন পক্ষের যুক্তিই কিন্তু ফেলে দেওয়ার মত নয়, বড় বড় দার্শনিকেরাই এসব যুক্তি আনয়ন করেন।

পুরো পাশ্চাত্য দর্শন সম্পর্কে বলে তো আর লাভ নেই, আপনিতো জানেনই সেটা, আমি শুধু শেষদিকের একটার কথা বলি। যে বিগ ব্যাং’য়ের কথা বলা হয় সেই তত্ত্বের অনেকগুলা দূর্বলতা আছে সেটা আপনিও জানেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ত্রুটি আমার যেটা মনে হয় সেটা হচ্ছে ‘দ্য ফার্স্ট মোশন’, বিগ ব্যাং’য়ের মতো একটা বিস্ফোরনের প্রাথমিক শক্তিটা আসলো কোথা থেকে? নিউটন ই তো বলেছেন বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ ছাড়া স্থির বস্তু স্থির থাকবে, তবে কি সেই শক্তির উতস সর্বশক্তিমান কেউ একজন? আমার পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য আপনাকে দর্শন শেখানো নয়, আমি কেবল বলতে চাচ্ছি যারা আস্তিক তারাও অশিক্ষিত নয়, তাদের পক্ষেও অনেক যুক্তি আসলেই আছে। দর্শন পড়ার একটা পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে এর আসলে কোন সমাধান নেই, যুক্তি দিয়ে এখানে কোন উপসংহারে আসা যাবে না, এখানে ব্যাপারটা বিশ্বাসের। উপসংহারে আসা সম্ভব নয় কারন সৃষ্টির সময়কার কোন ভিডিও ফুটেজ তো আর নেই যা দেখে সবাই সর্বসম্মতিক্রমে মেনে নেবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব কিংবা অনস্তিত্ব। ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে সমান পরিমান যুক্তিই আছে, এখন এটা মানুষের ব্যাক্তিগত ব্যাপার সে কোন পথে যাবে, তাই আমরা কাউকেই ছোট ভাবতে পারিনা।

আমাকে দর্শনের এক কলেজ টিচার বলেছিলেন, দর্শন পড়ার পর মানুষ যেকোন একদিক বেছে নিতে পারে, যে আস্তিকতার দিকে যাবে সে একধাপ বড় আস্তিক হবে, আবার যে নাস্তিক হবে সে একধাপ বড় নাস্তিকই হবে, কাউকেই কিন্তু অজ্ঞ বলা যাবেনা, দুজনেই ঠিক। পৃথিবীতে যেসব বড় বড় আস্তিক দার্শনিক ছিলেন কিংবা আছেন তাদেরকে তো আপনি অজ্ঞ বলতে পারেননা, আপনি জানেন তাদের জ্ঞানের পর্যায়টা আপনার থেকে বেশী না হলেও কম না। তাছাড়া সমাজ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে ধর্মের দুটো পজিটিভ দিক আছে, ধর্ম মানুষকে নৈতিক করে তোলে এবং অপ্টিমিজম বাড়ায়। কোন ধর্মই কিন্তু মানুষকে খারাপ কিছু করতে শেখায় না বরং কিভাবে চললে শান্তি শৃংখলা বজায় থাকবে সেই জীবন বিধানই শেখায়, ধর্ম না থাকলে সমাজের অত্যাচার নৈরাজ্য আরো বহুলাংশে বেড়ে যেত, পরকালে ভয় করে বলেই মানুষ এখনো অনেক পাপকাজ থেকে বিরত থাকে। আমি জানি আপনি এখন কি ভাবছেন, আপনি ভাবছেন ধর্মযুদ্ধেই তো পৃথীবির সবচেয়ে বেশী রক্তপাত হয়েছে।

আমি বলবো, যে বিশাল এমাউন্ট দেখা যায় তার অধিকাংশ ই ধর্মীয় মৌলবাদের অবদান, ধর্মের নয়। ধর্মের আরেকটা পজিটিভ ব্যাপার হচ্ছে অপটিমিজম বাড়ানো, হতাশা সরিয়ে দেয়া। যে লোকের সামনে কোন পথ খোলা থাকেনা সেও আশায় বসে থাকে তার আল্লাহ/ভগবান/গড তাকে কিছু একটা উপায় বের করে দিয়ে যাবে, হয়তো সেই আশা ছাড়া তার আর কিছুই নেই, সেই আশা না থাকলে হয়তো তার আত্নহত্যা ছাড়া কোন উপায়ই ছিল না, আপনার চেয়ে অনেক বড় লেভেলের কমিউনিস্টকে আমি দেখেছি শেষ জীবনে কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে মসজিদে যেতে। আমি মনে করি শুধুমাত্র এই দুইটা ভালো দিকের জন্য ধর্মের অন্যসব অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া যায়। দাদা আমি ধর্মের কথা বলতে আসিনি, ধর্মের হয়ে ওকালতি করতে আসিনি, এতোক্ষন যা হল ধরে নেন ফাও প্যাঁচাল, এবার মূল কথায় আসি।

ফেসবুক, ব্লগে দেখলাম অনেকদিন ধরেই কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে, আপনি এবং আপনার ভাইব্রাদার (লোকে যাদের আসিফ মেহেদীর চ্যালা বলে) ধর্মের বিরুদ্ধে আপনাদের ঢাল তলোয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, শোভন অশোভন সব সম্ভাব্য ভাষায় ধর্মকে হেয় করা শুরু করেছেন। এর বিপরীতে কিছু লোক আবার আপনাদের গালাগালি করছে, ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করছে, ভেতরে ভেতরে যে ফুঁসছে না, ক্ষোভে রাগে জ্বলে পুড়ে মরছে না সেটাও নিশ্চিত করে বলা যায়না। এসবের মানে কি…? এসবে দেশ ও জাতির কি উপকার হচ্ছে?? এসব করে দেশ ও জাতিকে আপনি এবং আপনার ভাইব্রাদাররা কিভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন…??? আপনারা যারা নাস্তিক তাদেরকে যদি একটা সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে বলতে হয় আপনারা ‘নাস্তিক সম্প্রদায়ের’ লোক। আপনারা কি তবে ব্লগে-ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন না? আপনার এক চ্যালা দেখলাম সেদিনকার এক পোস্টে কমেন্ট শুরু করেছে ‘বিস্মিল্লাহি হেরামীর হেরাম’ লিখে। এতে ব্যাক্তিগতভাবে আমিও আহত হয়েছি, যদিও আমি নিজেকে মানবধর্মের লোক হিসেবে দাবি করি, আমার বাবা যা পরম বিশ্বাস সহকারে সব কাজ শুরুর আগে উচ্চারন করে সেটা নিয়ে উনি ব্যাংগ করেছেন।

আপনি তাতে লাইক দিয়ে আমার বেদনাটুকু আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনি কাইন্ডলি আমাকে বোঝাবেন, সেই কমেন্টে দেশ ও জাতির কি উপকার হয়েছে? আমি না হয় গোঁড়া, সাম্প্রদায়িক, আপনি আপনার দৃষ্টিকোন থেকেই বোঝান কিভাবে আপনার চ্যালার সেই কথাটা যুক্তিযুক্ত। মৌলবাদ কিন্তু সব সময়েই খারাপ, সেটা যে বিষয়েই হোক না কেন, আমার মনে হচ্ছে আপনারা একটা গোষ্ঠী ‘নাস্তিক্য মৌলবাদের’ দিকে ঝুঁকছেন। নাস্তিকতা যদি আপনাদের বিশ্বাস হয় তবে সেটা আপনাদের নিজেদের মধ্যেই রাখা কি ভালো না? আর নাস্তিক্য কে ভালো প্রমান করার জন্যে ধর্মকে ছোট করতে হবে কেন?? কাউকে ছোট করে কি আসলেই বড় হওয়া যায়? আপনারা আপনাদের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে যদি মানুষের অনুভূতিগুলো বিবেচনায় না নেন তবে আপনাদের সাথে ধর্মীয় মৌলবাদী জামায়াত শিবি্রের অমিল কোথায়? তবে আপনারা আর প্রগতিশীল থাকলেন কোথায়? জামায়াত শিবিরের লোকেরা হিন্দুদের হেয় করে বলে ‘মালাউন’, ইচ্ছাকৃতভাবে হেয় করার জন্যে এমন ভাবে কটাক্ষ করে ধার্মিকদের নিয়ে কিছু বললে আপনারাও কি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে গেলেন না? রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরংগ’ বইয়ের নায়ক চরিত্রটি ছিল নাস্তিক, সে তার ভাতিজাকে গরব করে বলেছিল বিশ্বাসীরা নিজেদের বিশ্বাসকে প্রতিষ্টিত করতে যেয়ে নাস্তিকদের পেছনে লাগে, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় কিন্তু কই নাস্তিকেরা তো বিশ্বাসীদের পেছনে লাগতে যায়না (বইটা এই মুহুর্তে আমার হাতের পাশে নেই, একজাক্টলি কথাগুলো হয়তো বলতে পারিনি কিন্তু কথাটির সারমর্ম এটাই ছিল)। কিন্তু আপনাদের সেই গোষ্টী্টিকে আমি সেই আদর্শ নাস্তিকের চেয়ে ভিন্ন দেখতে পাচ্ছি, আপনারা তো দেখি ফেসবুকে-ব্লগে বিশ্বাসীদের পেছনে ঝাপিয়ে পড়েছেন, ভাব দেখলে মনে হয় পারলে আপনারা বিশ্বাসীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়েও দিয়ে আসতেন।

চতুরংগ বইটি পড়ে নাস্তিকদের সম্পর্কে আমার একটি ভালো ধারনা জন্মেছিল, আমি এখনো ভাবি নাস্তিকেরা নিজেদের মত শুধু নিজেদের কাছেই রাখে, আশেপাশের কয়েকটা ছোট ভাইদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করে। কিন্তু আপনাদের দেখলে আমার গোঁড়া কিছু লোকদের কথা মনে পড়ে যায়। ঠিক যেভাবে তাব্লীগ জামাতের লোকেরা পীরপন্থিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কোরান হাদিস নিয়ে, আপনারাও সেভাবে বিজ্ঞানের বই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিশ্বাসীদের উপরে। আপনারা আপনাদের বিশ্বাস নিয়ে থাকেন কে বাঁধা দিয়েছে, আপনারা ক্লোজ গ্রুপে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন, যারা আগ্রহী তারা অংশ নেবে আলোচনায়। আপনাদের ‘বিস্মিল্লাহি হেরামীর হেরাম’ আমাকে দেখতে হলো কেন? আপনার পুরনো একটা স্ট্যাটাসে পড়লাম আপনি বলেছেন মানুষ কি ভাবলো কি না ভাবলো, দুঃখ পেল কি না পেলো এর চেয়ে আপনার কাছে আপনার যুক্তি বড়, সেগুলো আপনি ছড়িয়ে দেবেন।

ঠিক আছে আপনার যুক্তি বড়, কিন্তু আপনি আমাকে বোঝান তো সেগুলো সমাজের কি উপকারে আসছে? আপনি ধর্মের খারাপ দিকগুলো নিয়ে বলতে পারেন যেটা আমিও বলি, কিন্তু সামগ্রিকভাবে ধর্মের পেছনে লাগার উদ্দেশ্যটা কি? এটা কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়? এটা কি প্রতিক্রিয়াশীলতার উদাহরন নয়? ধর্মকে গালাগালি করলেই যুব সমাজ এগিয়ে যাবে? জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী হয়ে যাবে? ধর্মের যে দুটো পজিটিভ দিক দেখালাম সেগুলো কি কোনদিন আপনার চোখে পড়েনি? বিশ্বাস নিয়ে নামাজ পড়লে কিংবা প্রার্থনা করলে যে মানসিক প্রশান্তি হয় সেটা আপনি অস্বীকার করেন? সেই প্রশান্তি নিয়ে পড়াশোনা করলে একটা ছাত্রের রেজাল্ট এমনিতেই ভালো হবে, আল্লাহ-খোদা-গড কারো নিজের হাতে এসে উপহার দেয়ার কোন দরকার নেই। কেন ধার্মিক কোন বিজ্ঞানী নেই? তারাও কি বিজ্ঞানে অবদান রাখেনি কিংবা রেখে চলছে না? বাংলাদেশ থেকে স্কলারশীপ নিয়ে যারা বড়বড় দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষনায় যায় তারা সবাই নাস্তিক? ধার্মিকতার সাথে বিজ্ঞানমনস্কতার কোন কন্ট্রাডিকশন তো আমি দেখিনা, একটা বিজ্ঞানী তার মানসিক প্রশান্তির জন্য ধর্মীয় কাজে রত হতেই পারেন, এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে হবে? আমার কথা হচ্ছে এই, ধর্মের খারাপ দিকগুলো নিয়ে কথা বলা যায়, কিন্তু ধর্ম নিষিদ্ধ করে দিতে হবে একেবারে, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করতে হবে, কিংবা ধর্ম আমাদের পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা আমি বিশ্বাস করিনা। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে নাস্তিকদের মানবতাবোধ, বেশ কয়েকজন ভালো নাস্তিকের সংস্পর্শে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল, চতুরংগ বইয়ের সেই নাস্তিক নায়ককেও তাদের মত মনে হয়েছিল, আপনাদের মুক্তমনাদের মূলনীতিতেও দেখলাম অন্য কয়েকটা মূলনীতির পাশাপাশি মানবতাবোধও রয়েছে। কিন্তু আপনারা যেভাবে কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি করছেন এতে সেই মানবতাবোধ ভূলুন্ঠিত হচ্ছে। আপনিও জানেন এটা পুরোই বিশ্বাসের ব্যাপার, মানুষ বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকে।

আমি নিজে আরজ আলী মাতুব্বরের কিছু প্রশ্ন নিয়ে এক ছোট মৌলভীর সাথে আলোচনা করেছিলাম, সেই প্রশ্ন শুনে তার যে অবস্থা হয়েছিল সেটা দেখে আমার মায়া হয়েছিল, একটা লোক উদভ্রান্তের মতো হয়ে গিয়েছিল, যা দেখে আমার নিজেরই খারাপই লেগেছিল। কি দরকার বলুন মানুষের বিশ্বাস নিয়ে নাড়াচাড়া করার, একটা মানুষ থাকুক তার বিশ্বাস নিয়ে যতক্ষন পরযন্ত না এতে কারো অমংগল হয়। অপ্রিয় সত্য কথাও বলতে হয়না, আর আপনারা একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মানুষের বিশ্বাসে তোলপাড় করেই চলেছেন, হ্যাঁ বিষয়টাকে আমি বিতর্কিতই বলবো যতক্ষন না সৃষ্টির ভিডিও যুটেজ দেখতে পাই। আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয় নিয়ে যেমন মন্তব্য করা উচিত না, তেমনি বিষয়টা সম্পর্কে আমি এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি নই, আর এইটা এমন একটা বিষয় যার কোনদিনও নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাই সবার বিশ্বাস নিয়ে থাকুক, এটা নিয়ে ঝগড়া, মারামারি, সংঘাত কাম্য নয়।

আপনার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থাকতেই পারে, ব্লগে কিংবা ফেসবুকে ক্লোজড গ্রুপে সেগূলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন আপনার সমমনাদের সাথে। আপনার অনেক লেখা পড়েই আমার মনে হয়েছে সেগুলো কেবল বিশ্বাসীদের কষ্ট দেয়ার জন্যেই লেখা হয়েছে। চলেন আমরা সব ধর্মমত সব বিশ্বাসের উর্দ্ধে উঠে মানবতাবোধকেই সবার উপরে স্থান দেই, মানবধর্মে বিশ্বাসী হই, তাহলেই দেখবেন সমাজের অর্ধেক ঝামেলা মিটে গেছে, জ্ঞান বিজ্ঞান কিছুতেই আর পিছিয়ে থাকবো না আমরা… ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.