তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা কে তিনি?
তার হুকুমে মিশরজুড়ে তোলপাড়? একে একে মিশরের আমীর উমারা ও উজিরদেরকে দাঁড় করানো হচ্ছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে- গোলাম কেনা-বেচার হাটে- তাদেরকে বিক্রি করা হচ্ছে- এসবই ঘটছে একজন মানুষের নির্দেশে- স্বয়ং শাসকও বসে আছেন মাথা নীচু করে- কিন্তু কে তিনি? তার নাম এবং সে্ই ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে আজকের শেষ পর্ব।
গত পর্বের পর........
রাজ্যজুড়ে মানুষের অব্যাহত চাপ ও উৎকন্ঠার ভার সইতে না পেরে বাদশাহ ইসমাইল তাকে সসম্মানে মুক্ত করে দিলেন। কিন্তু ততক্ষণে মত বদলে গেছে এ মানুষটির। তিনি মনস্থির করেছেন, মিশর চলে যাবেন। এ সিরিয়া ও শাম অঞ্চলের এ শাসক মুসলিম উম্মাহর সাথে খেয়ানতকারী।
তার সাহচর্য ও নৈকট্য মোটেও পছন্দনীয় কিংবা নিরাপদ নয়। এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
৬৩৯ হিজরীতে তিনি দামেশক ছেড়ে মিশরে চলে গেলেন। মিশরের শাসক নাজমুদ্দীন আইয়ুব এ মহান মানুষের আগমনি সংবাদে উৎফুল্ল হলেন। তাকে সমাদরে বরণ করে নিলেন।
দেশের প্রধান খতীব, বিচারালয় এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্বসমূহ তার হাতে তুলে দিলেন। মিশরের আলেম-উলামা ও জ্ঞানী-গুণী মানুষগুলো এ শায়খের আগমনে আনন্দিত হলেন। এমন নির্ভিক আলেম ও শায়খ মানুষকে কাছে পেয়ে মিশরবাসীর হৃদয়জগতে সাহসের দোলা লেগে গেল।
শাসকের এমন সমাদর এমন দেশবাসীর এতো ভালোবাসা পেয়েও নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ এ শায়খ। তিনি মিসরে এসেই দেশটির শাসনব্যবস্থা এবং শাসকদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করলেন।
ইসলামের নামে কিংবা খেলাফতের নামে শাসনক্ষমতায় বসে কেউ নিজের আখের গোছাচ্ছে কি না- যারা শাসক হয়ে মসনদে বসে আছেন- তারা সত্যিই এ পদের যোগ্য কি না- প্রজা ও সাধারণ মানুষের অধিকার পূর্ণভাবে আদায় করা হচ্ছে কি না- এমন নানা বিষয়ে তিনি সচেতন হলেন। মিশরের প্রধান খতীব এবং প্রধান বিচারপতি হিসেবে এটুকু কাজ ও খোঁজ নেওয়া তো তার পেশাগত দায়িত্ব এবং দ্বীনি কর্তব্য। এসব বিষয়ে কোনো ছাড় কিংবা আপোষ অথবা আঁতাতের সামান্যতম সুযোগও তিনি কাউকে দেননি। এর সামান্য প্রমাণ আজকের ঘটনাটি।
মিশরের বিভিন্ন পদে সমাসীন আমীর-উমারা ও মন্ত্রীদের অতীত ইতিহাস তদন্ত করতে গিয়ে তিনি দেখলেন- এদের প্রত্যেকেই গত শাসনামলে বিভিন্ন পর্যায়ে গোলাম ও দাস হয়ে বাস করছিলেন।
ক্ষমতার পালাবদলে নতুন নেতৃত্বের সাথে আঁতাত ও আপোষের পথ ধরে এরা ছলচাতুরির মাধ্যমে এখন মস্ত বড় বড় উজির-আমলা হয়ে আছেন।
ইসলামী আইনবিধানের নিয়ম অনুযায়ী দাসপ্রথা অনুৎসাহিত এবং বর্জনীয় হলেও একজন সাবেক দাস পূর্ণ স্বাধীন মানুষের মতো ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য অবশ্যই তার মনিব কর্তৃক ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন হতে হবে। কেনা দাস বা গোলাম যদি কোনো ছলচাতুরী করে মালিক বা মনিবের চেয়েও বড় হয়ে যায় কিংবা পালিয়ে যায়- তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে তখনও সে গোলাম এবং একজন পূর্ণ স্বাধীন মানুষের মতো তার জন্য হুকুম-আহকাম প্রয়োজ্য নয়। বরং মালিকের আযাদ করার স্পষ্ট ঘোষণা কিংবা গোলাম যদি তার ক্রয়মূল্য মালিককে আদায় করে দিতে পারে- তখনই সে মুক্ত ও স্বাধীন মানুষ হিসেবে যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগের সুবিধা ও সামর্থপ্রাপ্ত হবেন। ইসলামী হুকুম আহকামের কিছু বিধান এমনও রয়েছে- যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য পালনকারীকে অবশ্যই পূর্ণ স্বাধীন ব্যক্তি হতে হয়।
সুতরাং শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আমীর ও উজীরদের বেলায় তো এ স্বাধীন সত্ত্বার অস্তিত্ব আরও বেশি প্রয়োজনীয়।
শায়খ তার তদন্তে দেখতে পেলেন, শাহী সালতানাতে সমাসীন নায়েবুস সুলতান- যা দেশের ২য় সর্বোচ্চ পদ- থেকে নিয়ে এখানকার মন্ত্রী ও উজিরদের অধিকাংশই এখনও গোলাম এবং তাদেরকে বিধিমতো কেউ আযাদ করেননি। তিনি সমগ্র মিশরবাসী এবং শাসকমহলকে অবাক ও হতবাক করে দিয়ে তার বিচারালয় থেকে হুকুম জারি করলেন, এদেরকে আবার বিক্রি করা হবে এবং কেউ তাদেরকে কিনে আযাদ করতে হবে। নয়তো এদের হাতে শাসনব্যবস্থা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিধি-বিধানের চুক্তিনামা এবং ক্ষমতা অবৈধ।
বহিরাগত একজন প্রধান বিচারপতি এখানে এসে দেশটির নায়েবুস সুলতানসহ উল্লেখযোগ্য প্রায় সব উজীরকে পুনরায় বিক্রি করার আদেশ জারি করেছেন- দেশের মন্ত্রী-আমলাদেরকে বাজারে বিক্রয় করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে আযাদ বা স্বাধীন হয়ে আসতে হবে- শাসকদের বিরুদ্ধে এমন সাহসী হুকুমজারির খবর শুনে অবাক পুরো শাসক পরিবার, গোটা মিশরের গুনী সমাজ এবং সাধারণ দেশবাসিও।
পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বিরল ও সাহসী সিদ্ধান্তের ঘটনা এটাই প্রথম, এটা শেষও।
শায়খের এমন হুকুমে ছুটে এলেন শাসক নাজুম্দ্দীন আইয়ুব। তিনি হাতজোড় করে তাকে বললেন, এ হুকুম বদলে দিন, অন্য যে কোনো উপায়ে এদেরকে আযাদের ব্যবস্থা করে দিন। শায়খ সাফ জানিয়ে দিলেন, শরীয়তে এ সিদ্ধান্তের বাইরে আর কোনো বিধান নেই। দাস হয়ে থাকা মানুষ শাসনক্ষমতায় বসে প্রজার উপর শাসনছড়ি ঘোরানোর কোনো সুযোগ নেই।
মানবতা এবং স্বাধীনতার সম্মান বজায় রাখতে হলে এটুকু মেনে নেয়ার বিকল্প নেই।
এতোদিন ধরে পরিচয় লুকিয়ে ছলচাতুরী করা উজিরদের ঘুম হারাম হয়ে গেল। এবার যে তারা ধরা পড়েই গেল। ক্ষমতার খেলবদলে নিজেদের পরিচয় ঢেকে উজির তকমা লাগিয়ে যে বাবুগিরি তারা করে আসছিল- তা খুলে পড়ে গেল। কিন্তু তারা তখনও মেনে নিতে পারছিলো না, এটা তো হতে দেয়া যায় না।
শায়খকে এ সিদ্ধান্ত বদলাতেই হবে। এ হুকুম মেনে নেয়া যায় না। পর্দার আড়ালে তারা নানা কৌশলে লিপ্ত হলো। যাদেরকে বেছে বেছে শায়খের কাছে সুপারিশের জন্য যেতে বলা হলো- এরা সবাই মাফ চেয়ে দূরে সরে গেলো।
শায়খের কানে খবর এল, নায়েবুস সুলতানসহ অন্যান্য উজিররা এ সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত নন।
তারা এ সিদ্ধান্ত বদলাতে সব করবেন- যা কিছু করা প্রয়োজন। তবুও এমন সংবাদে তিনি মোটেও বিচলিত নন।
বাদশাহ নাজমুদ্দিন আইয়ুবের কাছে তিনি খবর পাঠালেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে এমন হুকুম দেইনি। এটা তাদের এবং এ দেশের মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ। আপনি এবং আপনারা আমাকে বিচারপতির যে দায়িত্ব দিয়েছেন- এ হুকুম এ দায়িত্ব পালনের অংশ।
যদি এ হুকুম মানার কোনো ্ইচ্ছা না থেকে থাকে- তবে আমার কাছ থেকে বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে নিন। যে বিচারপতির হুকুম মানতে দেশের শাসকরা কুণ্ঠিত- অমন বিচারালয়ের দায়িত্ব আমার দরকার নেই। ’ এটুকু লিখে তিনি রাজার কাছে খবর পাঠালেন এবং ওদিকে তার পরিবারকে তৈরী হতে বললেন।
যার এমন কঠিন সিদ্ধান্ত ও অটল ইশারায় গোটা মিশর ও মিশরবাসী দুলছে- শাসকরা ভীত কম্পিত হয়ে বসে আছে- সত্যিই কি তাদেরকে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হবে- এমন আশঙ্কায় দিন গুনছে- সেই মানুষটির পারিবারিক সহায় সম্বল মাত্র দুটি গাধা। একটিতে তিনি চড়েন আরেকটিতে তার পরিবার।
সাথে সামান্য তাঁবু ও বিছানা। মাত্র কয়েক মিনিটেই তিনি এবং তার পরিবার তৈরী। বিচারপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ এবং একই সাথে এ দেশও তিনি ছেড়ে চলে যাবেন। নিজের শেখা ইলম ও আদর্শের সাথে আপোষ করে এক মুহূর্তের জন্যও তিনি কোথাও থাকতে রাজি নন। এ তার আজীবনের পণ।
খবর রটে গেল। শায়খ চলে যাচ্ছেন মিসর ছেড়ে। যেন লঙ্কাকান্ড ঘটে গেল রাজ্যজুড়ে। শায়খের মিসরত্যাগের খবর শুনে শহরের সব আলেম ও ছাত্র- এ অঞ্চলের জ্ঞানী ও সমাজপতিদের অধিকাংশ- মিসরের ব্যবসায়ী সমাজ এবং মিসরের সাধারণ মুসলমান- তারাও দলে দলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। সবাই ছুটছে এ দুটি জীর্ণ শীর্ণ গাধার পেছনে।
মানুষের ঢল নেমে এলো প্রধান সড়কগুলোতে- তারা সবাই শায়খের পিছু নিয়েছেন। এ বিশাল জনস্রোত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এরা সবাই শায়কের পিছু পিছু চলে যাবেন তার সাথে। যে দেশের শাসকরা এ মানুষটির কদর বুঝলো না, তার নির্মোহ সিদ্ধান্তের মূল্য বুঝলো না- তারা কেউ এমন দেশে থাকবেন না।
মিসরবাসী রাস্তায় নেমে এসেছে। শায়খ চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
মিসরের আলেম-উলামাসহ অজস্র অগণন সাধারণ মানুষও তার পিছু নিয়েছে। এমন ভয়ংকর খবর ততক্ষণে রাজপ্রাসাদে পৌঁছে গেছে । বাদশাহর দু চোখে অন্ধকার নেমে এসেছে। শায়খের প্রতি সাধারণ ও গুণী মানুষদের এমন নিরঙ্কুশ সমর্থন কেনো- কেনো তার অত বিস্ময়কর জনপ্রিয়তা- এসব ভাববেন নাকি দৌড়ে গিয়ে তাকে আটকাবেন- বাদশাহ নাজমুদ্দীন আইয়ুব ঘোড়া-সেপাই নিয়ে ছুটলেন। অল্পক্ষণেই শায়খের নাগালে পৌঁছে গেলেন।
তারপর তার কাছে উজিরদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইলেন। প্রতিশ্র“তি দিলেন, তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। ছলচাতুরি করে পরিচয় লুকিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আমীর-উমারাদেরকে বিক্রয় করা হবে ইসলামী বিধানমতে।
বাদশাহর প্রতিশ্র“তিতে শায়খ বিশ্বাসী হলেন। তিনি ফিরে চললেন।
পেছনে সমবেত মিশরবাসী আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে স্লোগান তুললেন। আনন্দে আত্মাহারা মানুষগুলো শায়খকে নিয়ে ফিরে এলেন তার আগের কুটির আস্তানায়। এমন অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তাও মানুষকে ছুঁতে পারে- একরাশ বিস্ময় ঘনীভূত হলো কালের সুদীর্ঘ আয়নায়।
ঠিক তার কয়েকদিন পর। আয়োজন করে দরদাম ধরে প্রকাশ্যে শহরের হাটে বিক্রি করা হলো দেশের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী উজির, মন্ত্রী ও আমলাকে।
চারপাশে উৎসাহী উৎসুক মানুষের নির্বাক ভীড়ে বায়তুল মাল বা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তাদেরকে কিনে নেয়া হলো বাদশাহর উপস্থিতিতে যার যার উপযুক্ত দামে। তারপর রাষ্ট্রীয় তরফে তাদেরকে পূর্ণ স্বাধীন হিসেবে আযাদ করা হলো। পুনরায় তাদেরকে আগের সম্মানী পদ ও পদবী ফিরিয়ে দেওয়া হলো। এভাবেই এক অবিস্মরণীয় ঘটনা সেদিন বিশ্ব ইতিহাসের খাতায় লেখা হলো। একজন ভিনদেশী শায়খের সুকঠিন সিদ্ধান্তে নিজদেশের মন্ত্রী-আমলাদের এমন অসহায় দশা দেখে মিশরবাসী অবাক হয়ে ভাবছিলো- এমন নির্মোহ নির্ভিক মানুষটি এতোদিন কোথায় ছিলো? সেদিন থেকেই তার উপাধীমুকুটে নতুন যোগ হলো- ‘তিনি আমীরদের বিক্রেতা’।
মুসলিম সাম্রাজ্য এবং বিশ্বময় ইসলামী শাসনামলের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই্ একটিই এবং এই একবারই ঘটেছিল। রাজা ও উজিরদের উপর ছড়ি ঘোরানোর মতো অসীম সাহসী এমন একজন মানুষ একবারই এসেছিলেন ইতিহাসের কোলে- এ মানুষটির নাম শায়খ ইযযুদ্দীন ইবনে আব্দুস সালাম। একজন বিচারপতি এবং প্রধান খতীব হওয়ার পাশাপাশি তিনি একাধারে তাফসীর, হাদীস, সীরাত, আকিদা, ফিক্বহ এবং উসূলে ফিক্বহ শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলী রেখে গেছেন।
৬৬০ হিজরীর ১০ জুমাদাল উলা বা ১২৬১ সালে ৮৩ বছর বয়সে মিশরে তার ইন্তেকাল হয়। মৃত্যুর পর তার জানাযা নিয়ে যেন গোটা মিশরবাসী রাস্তায় নেমে এসেছিল।
দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে মানুষ তার দাফনকাফেলায় অংশ নিয়েছিল। খোদ মিশরের শাসক ও উজির-উমারা তো ছিলোই।
তার জানাযা নিয়ে চলমান মানুষগুলোর মাঝ থেকে হঠাৎ একটি উঁচু টিলার উপর উঠে দাঁড়ালের মিশরের শাসক। ভ্র“ কুঁচকে তিনি এ কাফেলার শুরু কিংবা শেষ অংশটি দেখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু না, কোথাও যেন এর শেষ নেই।
তিনি তার পাশে দাঁড়ানো উপদেষ্টা ও উজিরকে কানে কানে বললেন, ‘এই আজ প্রথম মিশর আমার শাসিত বলে মনে হচ্ছে। অন্তত এ মানুুষটি যতদিন বেঁচে ছিলেন, মিশরবাসী তো তারই শাসনতলে ছিলো। আজ তার মৃত্যুর পর আর কেউ এমন রইলো না, যার সামান্য ইশারায় আমার রাজ্যক্ষমতা কেঁপে উঠবে। মিশর সত্যিই আজ শুধু আমার একচ্ছত্র হলো। এ বিষয়ে আমি আপাতত নিরাপদ।
’
আজকালের আলেম সমাজ কি জানেন তাদের এ পূর্বসুরীর এমন বিস্ময়কর ঘটনা- যেখানে বাস্তবতার ঝলকে কল্পনা থেমে যায়- পৃথিবী অবাক তাকিয়ে থাকে- ইলমের ভেতর সত্যিই কি এমন সাহস ও শক্তি লুকিয়ে থাকে?
তারা জানেন না বলেই নিজেরাও আজ ভীত, সন্ত্রস্ত এবং কম্পিত। নেতাদের সামনে সবাই আজ জ্বী হুজুরে ব্যস্ত। চারিদিকে আজ তাই তোষামোদের বাজার সবসময় উত্তপ্ত। আহা!
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।