পূর্বে আমরা জেনেছি ভূ-পৃস্টের উপর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা সর্ম্পকে,এর পরে জেনেছি ভূ-পৃস্টের 10টি গভীর গুহা সর্ম্পকে,জেনেছি সাগরের নীচে সবচেয়ে বড় স্ফটিকের গুহা সর্ম্পকে। আসুন আবার সাগরে ডূব দেই এবং দেখি বিশ্বের 10 টি আশ্চর্য সামুদ্রিক গুহা সর্ম্পকে জানবো। এই সামূদ্রিক গুহাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন সূমুদ্রে পানির নিচে ছড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিক ভাবে সৃস্ট এই সব গুহা গুলো দেখতে যেমন অদ্ভূত তেমনি এর গঠনশৈলী দেখার মত,প্রকৃতি যে কতবড় শিল্পী এই গুহাগুলি দেখলে বুজতে পারবেন।
1.সূরের গুহা (Cave of Melody):এর অবস্হান স্কটল্যন্ডের পশ্চিম উপকূলের মানব বসতিহীন দ্বীপ স্টাফা এর পাশে।
সূরের গুহা নামটি গ্যালিক নাম 'উয়াম বিন' ফিন্গএলস' থেকে অনুবাদ করা এই ফিন্গএলস গুহাটিই সূরের গুহা নামে পরিচিত। এই গুহাটি চটকদার ষড়ভূজ আকৃতির ব্যাসাল্ট পাথর থেকে গঠিত,দেখলে মনে হয় এটি মানূষের তৈরী। আগ্নেয়গিরির লাভা প্রবাহ সমুদ্রের পানির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এই লাভা ঠান্ডা হয়ে এই রকম আকৃতি ধারন করে। এই লাভা প্রবাহ শুধূ এই গুহা নয় স্কটল্যান্ডের আশ্চর্যজনক জায়ান্ট কজওয়ে তৈরী করে। এই গুটির ভিতরের গঠন এমন যে এর ভিতর দিয়ে যখন বাতাস চলাচল করে তখন এই গুহা থেকে অদ্ভূত শব্দ বের হয় যার কারনে এর নাম সূরের গুহা।
2.সী লায়ন গুহা (Sea Lion Cave):এই গুহাটি ব্যাসল্ট পাথরের তৈরী। এটি মার্কিন যূক্তরাস্ট্রের অরিগন অন্গরাজ্যে অবস্হিত। এই গুহার ভিতরে প্রচুর সী লায়ন বাস করে যার কারনে এই নামকরন। এই গুহাটি একটি প্রধান সড়কের নীচে অবস্হিত,এই গুহার ভিতরে পর্যটকদের যাবার জন্য সিড়ি তৈরী করা হয়েছে।
3.আলোফাগা ব্লো হোলস (Alofaaga Blowholes):এটি ঠিক সামুদ্রিক গুহার মত নয়,এটি আসলে আগ্নেয়শীলা দ্বারা তৈরী পানির নীচে একটি গুহা।
এবং সমুদ্রের পারে এই গুহার অনেক গুলো মুখ আছে ছড়ানো অবস্হায় থাকে। সমুদ্রের পানি প্রচন্ড বেগে যখন এই গুহার ভিতরে ঢোকে তখন এর সাথে যে বাতাস ঢোকে সেই বাতাস প্রচন্ড গরম হয়ে যায়, এবং পানিকে প্রচন্ড বেগে ধ্বাক্কা দেয়, তখন এই পানি উপরে থাকা ছোট গর্ত দিয়ে ঝরনার মত ছিটকে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে যায়। এবং
হঠাৎ দেখলে মনে হবে হবে উন্ষপ্রসবন (গেইসার)। এটি দক্ষিন প্যাসেফিকে স্যামন দ্বীপে অবস্হিত।
4.ব্লু গ্রোটটো (Blue Grotto):ইতালির উপকূলীয় দ্বীপ ক্যাপরীর কাছে অবস্হিত।
এটি বিশ্বের 10টি আশ্চর্য জনক গুহার একটি। এই গুহাটির প্রবেশ মূখ বেশ সরূ বিধায় এর ভিতরে ঢোকা বেশ অসুবিধা জনক। তবে ঢোকা যাবে যদি আবহাওয়া ভাল থাকে এবং গুহা মুখে পানি কম থাকে।
5.গ্রেট ব্লু হোল (Great Blue Hole):এটি বেলিজ এ অবস্হিত। এটি একটি বেসিন গর্ত এবং এর মুখ আগে উপরে ছিল।
এটি উপর থেক দেখতে খুব সূন্দর দেখায়,গুহাটির চারিদিক প্রবাল প্রাচীর দ্বারা বেস্টিত।
6.অংকিত গুহা (Painted Cave):এটি আমেরিকার ক্যালির্ফোনিয়া অন্গরাজ্যে অবস্হিত।
এই গুহাটি সান্তা ক্রূজ দ্বিপের একটি অংশ। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহওম পানি গুহা এটি 12,00 ফুট পর্যন্ত সটান লম্বা। এই গুহার প্রবেশ মুখ 130 ফূট উচু।
এই গুহার ভিতরের দেয়ালে প্রাচীন যুগের বিভিন্ন চিএ আকা আছে যা খ্রীস্টপৃর্বের 15,000 থেকে 10,000 বছর আগের। এছাড়া এর ভিতর বিভিন্ন প্রকার শৈবাল আছে। এছাড়াও এর ভিতরে একটি জল প্রপাত আছে এবং গুহার প্রবেশ মুখে একটি ঝরনা আছে।
7.বরফ গুহা (Ice Caves of Apostle Islands):এ্যাপোস্টেল দ্বীপ আমেরিকার উইসকনসিনে লেক সূপিরিয়রে অবস্হিত। শীতের সময় এই হ্রদ এবং এই গুহার ভীতরের পানি জমে বরফ হয়ে যায়।
তখন গুহার ভীতরের দেয়াল এবং ছাদ থেকে বিভিন্ন আকারের বরফের দন্ড ঝূলে থাকে। এটি পর্যটকদের কাছে খুব আর্কষনীয় এই বরফের তারা উপর স্কেটিং করে।
8.সমো গুহা (Cave of Smoo): এটি স্কটল্যান্ডের আর একটি বিখ্যাত গুহা। এটি চূনা পাথরের তৈরী একটি গুহা। এই গুহাটি অল্ট সমো নদীর দ্বারা তৈরী,এই নদীর পানী গুহার ছোট একটি মুখ দিয়ে জলপ্রপাতের মত ভীতরে ঢোকে।
এই গুহার পানি লবনাক্ত এবং গুহাটি মহাসাগরীয় পানির দ্বারা ক্ষয় প্রাপ্ত।
9.ব্লূ হোল ডেন (The Blue Hole of Dean):এটি বাহামিয়ান লং আইল্যান্ডে অবস্হিত। এটি বিশ্বের গভীরতম গোল মুখ বিশিস্ট গুহা। এর গভীরতা 200 মিটার,এই গুহার মুখটি পানির
উপরের পৃস্ট থেকে একটু নিচে। অনেক উপর থেকে এই মুখটি দেখতে খুব সুন্দর দেখা যায়।
10.পাউলা গুহা (Piula Cave):এটি সামোয়ান দ্বীপের কাছে উপলো দ্বীপে অবস্হিত। এই গুহাটি একটি ছোট পুকুরের মাঝে লাভা জমে ঠান্ডা হয়ে এই গুহার সৃস্টি হয়। এই গুহাটি অনেকদূর
গিয়ে সাগরের সাথে মিশেছে। এটি পর্যটকদের সাতারের জন্য খুব সূন্দর একটি স্হান,
এই সামুদ্রিক গুহাগুলি সামুদ্রিক ইকো-বৈচিত্র্যর একটি গূরত্বপূর্ন অংশ,কাজেই এই গুহাগুলিকে আগামী প্রজম্নের জন্য সূরক্ষিত রাখতে হবে।
ছবি সৌজ্যন্যে:গুগল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।