জামাল চেয়ারে বসেছিল। জাহিদ একটা খাতা নিয়ে তার রুমে ঢুকল।
জামাল বলল, জাহিদ বসো।
জাহিদ কোনদিন জামালের সামনের চেয়ারে বসেনি। জামালও কোনদিন জাহিদকে এমন স্নেহ মাখা কন্ণ্ঠ বসতে বলেনি।
আজ হঠাৎ জামালের কথা শুনে জাহিদ এদিক-সেদিক একবার তাকিয়ে বলল, আমাকে বলছেন ভাইজান?
হ্যাঁ তোমাকে বলছি বসো।
জামাল বলল, জাহিদ তুমি যখন আমার ফার্মে প্রথম জয়েন করলে তখন কি তোমার বায়োডাটা, ছবি, সার্টিফিকেটগুলো দিয়েছিলে?
জাহিদের মুখ অজানা আতংকে শুকিয়ে গেল, ভাইজান হঠাৎ করে বায়োডাটা, ছবি, সার্টিফিকেট এগুলো কি কাজে লাগছে? হঠাৎ কোন....
তুমি মনে হয় ভয় পেয়েছ? ভয়ের কিছু নেই আসলে আমি স্প্যাশাল শ্রেণীর একটা লাইসেন্স করছি, তাই প্রিকোয়ালিফিকেশনের জন্য ম্যানেজার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সব স্টাফদের বায়োডাটা, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এমনকি ফার্মের মিকচার মেশিন, ভাইব্রেটরসহ সকল মালামালের তালিকা দিতে হচ্ছে। তাই তুমি তোমার বায়োডাটা আর এক কপি ছবি দিও।
জাহিদের চোখে মুখে একটা তৃপ্তির আভা ফুটে উঠল।
জাহিদ মিষ্টি হেসে বলল, জি ভাইজান, ঠিক আছে বলে জাহিদ চেয়ার ছেড়ে উঠছিল।
জামাল আবার বলল, উঠছ কেন? বস। জাহিদ আমি আমার ব্যবসাকে আরো নতুনভাবে সাজাতে চাই।
জাহিদ কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
জামাল বলল, আসলে আমার ইচ্ছা একটা গ্রুপ অফ কোম্পানীজ করা এই যেমন জামাল কন্সট্রাকশন, জামাল রাইস, জামাল জুট এমনিভাবে কয়েকটা ছোট ছোট কোম্পানি মিলে জামাল গ্রুপ অফ কোম্পানীজ। কন্সট্রাকশন, রাইস আর আমার অন্যান্য ব্যবসাগুলো দেখাশুনা করা তোমার একার পক্ষে বেশ কঠিন হচ্ছে আবার এগুলো ব্যবসা আর পলিটিক্স করা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে তুমি রাইস আর ঐ বলে জামাল একটু ইঙ্গিত করে ....ব্যবসা দেখাশুনা করবে আর কন্সট্রাকশন দেখার জন্য একজন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাপোয়েন্টম্যান্ট দিব।
জাহিদ মৃদু হাসল।
জামাল বলল, হাসছ কেন?
জাহিদ কিছু বলল না নীরবে বসে রইল।
জামাল আপন মনে বলতে থাকল, জাহিদ আমি অনেক কিছু ভাবছি, শুধু ভাবছি বললে ভুল হবে স্বপ্ন দেখছি, আসলে স্বপ্ন না দেখলে উপরে উঠা যায় না।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইজান ।
ও ভালো কথা তোমার আর মাল লাগবে না কি? সব স্পটে খবর নাও আবার মাল লাগলে বলবে।
ভাইজান মার্কেটে যে মাল আছে তাতে এক সপ্তাহ চলবে।
ঠিক আছে আগামী সপ্তাহে মালের অর্ডার দিতে হবে। আর হ্যাঁ তুমি খুব সাবধানে চলাফেরা করবে, অপরিচিত লোকের সঙ্গে এ বিষয়ে কোন কথা বলবে না। কি নাম বললে যেন বলে জামাল একটু হাসল তারপর বলল ফেন্সি কুইন, ফেন্সি কুইনদের সঙ্গে কথা বলার সময় খেয়াল রাখবে কেউ যেন তোমাকে দেখে না ফেলে।
জি ভাইজান।
যেভাবে বললাম তুমি সেভাবে কাজ করো, তোমার বায়োডাটা এক কপি ছবি, সার্টিফিকেট এবং কন্সট্রাকশনের জন্য একজন ইঞ্জিনিয়ার অ্যাপয়েন্টম্যান্ট না হওয়া পর্যন্ত সবকিছু তোমাকে দেখতে হবে। তুমি কাজ করো আমি পার্টি অফিসে যাই বলে জামাল তার অফিস থেকে বের হয়ে গেল।
চলবে..
গডফাদার-০১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।