আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝিনাইদহে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর গৃহপরিচারিকার মাথার চুল কাটা হলো!

দূরে অাছি......তার্হ ফেরা সহজ....কাছের মানুষ কখনো ফেরে না......... ঝিনাইদহ শহরের উপ শহর পাড়ায় মঙ্গলবার বিকালে জোছনা খাতুন (৩৬) নামে এক গৃহপরিচারিকাকে বেদম মরধরের পর তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে। আহত জোছনা হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী। ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ জোছনা খাতুন জানান, তিনি ৩ বছর ধরে হরিনাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের শহরের বাসায় কাজ করছেন। জোছনা তার ওপর নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাসার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের জামাই তপু আসেন।

তাদেরকে টেবিলে খাবার দেয়া হয়। আমি কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় জামাই তপু তার চোয়ালে সাজোরে থাপ্পড় মারেন। এ সময় মিরা নামে এক মহিলা নির্যাতনে অংশ নেন। তাদের নির্যাতনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি বিবস্ত্র ও তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে। এরপর তাকে গাড়ির ড্রাইভার সোহাগ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গেলে ড্রাইভার সোহাগ তাদেরকে নির্যাতিতার কাছে যেতে বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা কোঅর্ডিনেটর আমিনুর রহমান টুকু জানান, জোছনাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লংঘন। তিনি বলেন, এ সব অহসায় ও নির্যাতিত মহিলাদের পাশে মানবাধিকার আছে এবং আইনগতসহ সব সহায়তা প্রদান করে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদারের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ড্রইভার জানান, চাচা জরুরি কাজে ভারত গেছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।