বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা সহসাই বন্ধ হবার নয় সরকারী দল যাতে সংলাপ হতে না পারে সেজন্যে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশে-বিদেশে সবাই বলছে, সরকার এখন সব বিরোধিতা চুরমার করে দিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সবাই এও জানে যে, চোর অন্যদের দিকে আঙুল তুলে ‘চোর চোর’ বলে চিত্কার শুরু করে। এঁরাও সে রকম বিএনপির দিকে আঙুল তুলে ‘সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী’ বলে চিত্কার জুড়ে দিয়েছে।
সৈয়দ আশরাফের সহকারী মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে সংলাপ নয়। ফালতু কথার বাদশাহ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুদ্ধিজীবীদের মতামতকে বলেন, ‘রাবিশ’, ‘বোগাস। ’ তিনি বলেছেন, হরতালকারীরা সন্ত্রাসী, খালেদা জিয়া সন্ত্রাসী নেতা, তার সঙ্গে সংলাপ সম্ভব নয়। বিরোধী দলে থাকাকালে আওয়ামী লীগ কত দিন হরতাল করেছে, কত মানুষ মেরেছে আর কত নাশকতা করেছে, মুহিতের বোধ হয় মনে ছিল না। নইলে তিনি বুঝতে পারতেন, তার উক্তি বুমেরাং হয়ে আওয়ামী লীগকেই বেশি আঘাত করবে।
বদমেজাজি খুকুমণি বেকায়দায় পড়লে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে আবোল-তাবোল চিত্কার করতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হয়েছে সে অবস্থা। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, ‘আর জ্বালাবেন না। ’ তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলের এবং ১৮ দলের জোটের নেত্রীকে তিনি ‘পেয়ারের পাকিস্তানে’ চলে যেতে বলেছেন। কেন পাকিস্তানে যাবেন খালেদা জিয়া? তিনি তো পাকিস্তানকে করিডোর দেননি, বাংলাদেশের সড়ক, রেল, নদী ও বন্দরগুলো এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পাকিস্তানের হাতে তুলে দেননি! তুলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা ভারতের হাতে।
‘চলো চলো, দিল্লি চলো’ বলে সদলবলে তারই তো ভারতে চলে যাওয়া উচিত।
এখানে পড়লে আরো ভাল জানতে পারবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।