অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল দেশ নয়। দেশের অর্থনীতিতে মূল সমস্যা বৈদেশিক বিনিয়োগের অভাব, মূল্যস্ফীতি এবং অধিক হারে ভর্তুকি দেওয়া। আজ মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
প্রশ্নোত্তরে গোলাম গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরো হিসাব অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৭৯ লাখ।
এই হিসাবে ২০১১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জনপ্রতি বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৬০ মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্য পেয়েছে। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ঋণ এবং ২৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন অনুদান। বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ২২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা জিডিপির মাত্র ২২ দশমিক ৩ শতাংশ ।
যে কারণে বাংলাদেশকে কম ঋণগ্রস্ত দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সে জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
কে এম খালিদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছেড়ে দিয়ে বাজারকে প্রভাবিত করা ঠিক নয়। কারণ রিজার্ভ বেশি কমে গেলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। রিজার্ভ ধরে রাখলে অচিরেই মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
তারানা হালিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য ছিল আমদানি কমিয়ে আনা। কিন্তু আমদানি বেড়ে গেছে। যা মুদ্রাবাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
মঈন উদ্দিন খান বাদলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নোবেলজয়ী ওয়ালটার লুইস বলেছেন, ‘যে দেশ টানা ১০ বছর কৃষি ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, সে দেশের চিন্তার কিছু নেই। আমাদের কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ।
বিদ্যুতের সমস্যা থাকলেও শিল্প খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এবং সরকার চাহিদা মাফিক বৈদেশিক বিনিয়োগ পাচ্ছে না। ’
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় ১৯ হাজার ৩৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। বর্তমান সরকারের প্রথম তিন বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ হাজার ৮৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ১৯ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।
শাহ জিকরুল আহমদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৮ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরে একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল পাঁচ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।