বিশিষ্ট রন্ধন, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিদ্দিকা কবীর আর নেই। মঙ্গলবার দুপুরে ১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
সিদ্দিকা কবীর ১৯৩৫ সালের ৭ মে পুরান ঢাকার মকিম বাজারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভি আহমেদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ও পরবর্তীতে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। সিদ্দিকা কবীরের মাতা সৈয়দা হাসিনা খাতুন ছিলেন গৃহিনী।
১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে সিদ্দিকা কবীর ব্যাংকার সৈয়দ আলী কবীরকে বিয়ে করেন।
সিদ্দিকা কবীর প্রথমে ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন ও সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটি হতে ১৯৬৩ সালে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় সিদ্দিকা কবীর তৎকালীন পাকিস্তান রেডিওতে ঘোষক হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেন।
স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পরে প্রথমে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি ইডেন কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফিরে তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। এখান থেকে তিনি ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৬৫ সালে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রান্না শেখানো শুরু করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি তদানিন্তন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরে বাইরে’ নামে রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা শুরু করেন।
সিদ্দিকা কবীর তার ‘রান্না খাদ্য পুষ্টি’ বইটির জন্য ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত বইগুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত বইটি অন্যতম। বইটি প্রথম প্রকাশের সময় মুক্তধারা, বাংলা একাডেমীসহ অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থা এটি প্রকাশ করতে রাজী হয়নি। পরে এটি নিজ খরচে প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশের পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৮৪ সালে ইংরেজি ভাষায় একটি কারি রান্নার বই লিখেন। ১৯৮০ সালে লিখেন পাঠ্যবই খাদ্যপুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থা যা স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। এছাড়া তিনি ১৯৯৭ সালে দৈনিক জনকণ্ঠে রসনা নামে কলাম লিখেন যা পরবর্তীতে খাবার দাবারের কড়চা নামে প্রকাশিত হয়। সূত্র:খবরটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।