টাঙ্গুয়ার হাওরে যাবার প্লান হঠাৎ করেই। জলাভুমির দেশ হল্যান্ড থেকে আরেক জলের দেশ বাংলাদেশ দেখতে এসেছে Burnieo দম্পতি। আমার সেই ট্রাভেল হেলপিং এর সুবাদে ঢাকা এসেই আমার সাথে দেখা করলো ওরা। জানালো বংলাদেশে থাকবে মোট ২৮ দিন। আমি মোটামুটি একটা ট্রিপ প্লান বানিয়ে দিলাম।
প্রথমেই ওরা শুরু করতে চায় টাঙ্গুয়ার হাওর দিয়ে। এক র্পযায়ে আমাকেও অনুরোধ জানালো ওদের সাথে যেতে। আমি ওদিকটায় কখোনো যাইনি তাই রাজী হয়ে গেলাম আগপাছ না ভেবেই। অফিসে এসেই বসকে বলে ছুটিটাও ম্যানেজ করে ফেল্লাম।
ডিসিশন নিয়েই প্রথম গেলাম কমলাপুর ষ্টেশনে।
বিদেশী দেখে অনেক কষ্টে ৩ টি টিকেট ম্যানেজ করে ফেললো ষ্টেশন ম্যানেজার। তাই পরদিন সকালবেলা কমলাপুর গিয়ে ট্রেনে উঠলাম। সিদ্ধান্ত হলো আমরা সুনামগন্জ এ রাত কাটাবো। বিকেলে সিলেট নেমেই সোজা বাস ষ্ট্যন্ড এ সুনামগন্জের বাসে উঠলাম। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে সুনামগন্জ।
প্রথম দেখাতেই পছন্দ হলো শহর সুনামগন্জ। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সুরমা নদী। আমরা একটা হোটেলে রুম নিলাম। সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে গোছল করলাম। এরপর স্থানীয় একজনের সহায়তায় পারদিন ৩৮০০ টাকায় সারাদিনের জন্য দুটো মটর সাইকেল ভাড়া নিলাম।
মাঝে একবার হাছন রাজার যাদুঘরটি দেখে এলামস। এরপর ঘুম।
পরদিন ভোরে উঠে চড়ে বসলাম মোটরসাইকেল এ। মোটর সাইকেল নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে চলতে লাগলো হাওরের দিকে। প্রায় দেড়ঘন্টা পরে পৌছালাম তাহিরপুরঅ সেখান থেকে মিনিট পনেরো পর সোলেমানপুর বাজার।
এ বাজারের ঘাট থেকেই একটা নৌকা ঠীক করলাম ২০০০ টাকা ৪ ঘন্টার জন্য। বাকীটা ছবিতে দেখুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।