আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় পন্য, বর্জন করে হই ধন্য

আজ আমাদের এক পত্রিকায় দেখলাম আমদের দেশেই পেয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাহলে কেন আমরা এখন আমাদের পেয়াজ কিনব না? পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় বাম্পার ফলনের আনন্দ বেদনায় রূপ নিয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার চাষির। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ দুই-তিন টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা-আড়িয়ালখাঁসহ অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিলসমৃদ্ধ শিবচর উপজেলার কৃষি জমিতে প্রতি বর্ষায় পর্যাপ্ত পলি পড়ে। এসব জমিতে প্রতিবছর বাম্পার পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।

চলতি বছর শিবচরের ১৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সাড়ে সাত হাজার একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ফলন বাম্পার হয়েছে। কৃষি দপ্তর একরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ মণ নির্ধারণ করলেও ফলন হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ মণ। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস ধরে জমি থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। প্রথম সপ্তাহে দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা করে পাওয়ায় স্বস্তিতেই ছিল চাষিরা।

কিন্তু পরের সপ্তাহে ১৫ টাকা, এরপর ১০ টাকায় নেমে আসে। বর্তমানে শিবচরের মধ্যমানের পেঁয়াজের দাম দুই-তিন টাকা ও উন্নতমানের পেঁয়াজ সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয় টাকায় নেমে গেছে। বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় চাষিরা নামমাত্র মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চরজানাজাত, বাঁশকান্দি, কুতুবপুর, বন্দরখোলা, দত্তপাড়া, কাদিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় মাঠে মাঠে এখন ধানের চারা লাগানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দাম কম থাকায় শুরুতে পেঁয়াজ না তুললেও ধান লাগানোর তাগাদায় তাই খাসেরহাট, সিরু চৌধুরীর হাট, শেখপুর হাট, উৎরাইল হাট, দত্তপাড়ার বাবনাতলাসহ বিভিন্ন হাটে পানির দামেই কৃষকেরা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

চরজানাজাত, খাসেরহাট বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোবাহান মিয়া বলেন, ‘আইজ (রোববার) তিন টাকা কেজি দরে বেচতাছি। ১০ কেজি নিলে দুই টাকা কইরাও দিমু। ধান লাগাইতে টাকা লাগবো, তাই কম দামে বেচন ছাড়া উপায় নাই। ’ বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ফারুক বলেন, ‘পাঁচ পুলাপাইন নিয়া আমাগো আটজনের সংসার কৃষি কাজের ওপরই চলে। পিঁয়াজ বিক্রির টাকাতে ধান চাষ করতে পারছি না।

তাই কৃষি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করছি। ’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দীগ বিজয় হাজরা বলেন, চলতি বছর পর্যাপ্ত সার ও অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকেরা দাম তেমন পাচ্ছেন না। জেলা কৃষি দপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু ইউসুফ বলেন, উৎপাদন বেশি হওয়ায় সারা জেলায়ই পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। ভারতীয় পন্য বর্জন করে হই ধন্য ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।