আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাউদকান্দি-পেন্নাই-বাবুরহাট মতলব সড়কের বেহাল অবস্থা, নির্মাণ কাজও বন্ধ

অন্যের থেকে ও অন্যরকম এমন কিছু করার শখ। দেশের বেশ কয়েকটি বড় থানা বা উপজেলার মধ্যে মতলবের নাম উল্ল্যেখযোগ্য। আকার-ইকার ছাড়া বেশ সহজ সরল একটি নাম পেলেও এই এলাকার রাস্তা ঘাট যে কি পরিমান জটিল (খারাপ অর্থে) তা ঐ অঞ্চলের সকল বাসিন্দা খুব ভালোভাবে জানেন। এই উপজেলার রাস্তা-ঘাট তথা সড়ক ব্যবস্থা সবসময়ই নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোন কিছু নিয়ে কোনদিনও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোড়ালোভাবে দাবি করার মত কিছু ছিল না।

কিন্তু দল যেটাই হোক আর জনপ্রতিনিধি যাকেই নির্বাচন করা হোক, ওদের সবাই এক জায়গায় এক। তারা কেউই জনগণের কষ্ট লাগবের কোন উদ্যেগ সচেতনভাবে গ্রহন করেন না। সামনে পিছনে গাড়ি ছুটিয়ে ভাঙ্গা চোড়া রাস্তা দিয়ে রাজার বেশে, কয়েক ঘন্টার জন্য এলাকায় এসে সবকিছু ভুলে যান। একটি রাস্তার ছবি দেখুন... আরেকটি খবর যুগান্তরে প্রকাশ হয়েছে এই রাস্তা নিয়েই, এই খবরেও আমাদের দৈন্যতা চরমভাবে প্রকাশ পেয়েছে। খবরটি পড়ুন... চরম অর্থ সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে দাউদকান্দি-পেন্নাই-বাবুরহাট-মতলব সড়কের নির্মাণ কাজ।

২০১৩ সালের জুনের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ২০ ভাগ। এ সড়কে রয়েছে অসংখ্য বাঁক সেসব বাঁক সোজাকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণ এ পর্যন্ত হয়নি। বরদিয়া আড়ংবাজার থেকে মতলব বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার চরম বেহাল দশায় ওই সড়কে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য প্রায় অর্ধেক দূরত্ব কমিয়ে আনতে দাউদকান্দি- পেন্নাই-বাবুরহাট-মতলব সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যয়) প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয় ২০০৯ সালে। এ সড়কটির দৈর্ঘ্য কুমিল্লা সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার, এর মধ্যে চাঁদপুর জেলার অংশে রয়েছে ২৮ কিলোমিটার।

দীর্ঘ এ সড়কটিতে কুমিল্লা সীমানা পর্যন্ত ২০৫টি বাঁক রয়েছে। যাকে মরণফাঁদ বলা যায়। আর বড় ব্রিজ রয়েছে চারটি। এগুলোর দৈর্ঘ্য ৯১.৫০ মিটার। কালভার্ট রয়েছে ১৭টি।

ওই বাঁকগুলো সোজাকরণে ২৮ হাজার ৩৫৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জমি অধিগ্রহণ বাবদ ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু তখন অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই জমি অধিগ্রহণ বাবদ মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা আগের থেকে ১০ গুণ বেশি। ওই সড়কের চাঁদপুর অংশ নির্মাণের আগে আরডিপিপি মূল্য ছিল ৫৬ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।

বর্তমানে এটি বেড়ে হয়েছে ১১১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর বিপরীতে জুন ২০১১ পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে ২ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া হলেও ছাড় দেয়া হয়েছে ১ কোটি টাকা। বাকি ১ কোটি টাকা ফেরত নেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত টাকা দিয়ে কাজ হয়েছে ২৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার রাস্তা।

আর ব্রিজ চারটির মধ্যে একটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান অবস্থায় আছে। দুটি ব্রিজের স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজ চলছে। বাদ বাকি একটির এখনও টেন্ডার হয়নি। আর কালভার্ট ১৭টির মধ্যে ৮টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ সড়কের বাঁকগুলো সোজা করে পুরো সড়কটি প্রস্তুত করলে ঢাকা-চাঁদপুরের দূরত্ব বর্তমানের চেয়ে ৭০ কিলোমিটার কমে আসবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।