কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ছালিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ইতিহাস বিখ্যাত বিচারপতি ড. রাধাবিনোদ পাল। তার জন্ম ১৮৮৬ সালের ২৬ জানুয়ারি, মৃত্যুবরণ করেন ১৯৬৭ সালের ১০ জানুয়ারি। ছোটবেলায় বাবাকে হারান তিনি। চরম দরিদ্রতার মধ্যেও নিজের অসাধারণ চেষ্টা আর মেধার জোরে হয়েছিলেন জগৎবিখ্যাত বিচারপতি। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট, ব্রিটিশ- ভারত সরকারের আয়কর উপদেষ্টা, ইউনিভার্সিটি ল’ কলেজের অধ্যাপক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় টোকিও ট্রাইবুনালের বিচারক ছিলেন তিনি। আর যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে হয়েছিলেন জগৎবিখ্যাত। আজও জাপান স্মরণ করে এই বিখ্যাত বিচারককে। কিন্তু তার ইতিহাস আমাদের কাছে অজানা। তার বাস্তুভিটা জাল দলিলে হস্তান্তরিত হয়েছে।
তা রক্ষায় কোন সফল পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। বাস্তুভিটায় অডিটেরিয়াম, লাইব্রেরী ও মিউজিয়াম নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে আমরা দিন দিন হারিয়ে ফেলছি তার স্মৃতি। আমরা যারা নতুন প্রজন্মের তাদের কাছে তার সম্পর্কে সবকিছু অজানা। আমাদের ইতিহাস আমাদের সম্পদ।
পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তাদের বিখ্যাত মানুষের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী। আমরাও প্রত্যাশা করি আমরা জানবো আমাদের ইতিহাস বিখ্যাত মানুষের সম্পর্কে। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রকৃত মানুষ হতে আদর্শ হিসেবে সহায়ক হবে। তাই সরকারের নিকট আকুল আবেদন আমাদের ইতিহাস রক্ষার্থে ড. রাধাবিনোদ পালের বাস্তুভিটা সংরক্ষণ করে লাইব্রেরী, মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করুন। যা ড. রাধাবিনোদ পালকে জানতে নতুন প্রজন্মের জন্য সহায়ক হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।