আউলা মাথার বাউলা পোলা।
তাহলে কি শেষ পর্যন্ত এ ই শোনা বাকি ছিল?
দেখুন তবে________
মহাশূণ্যে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি)।
এরই মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে এসপিআইকে নির্বাচিত করা হয়েছে। বিষয়টি এখন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাবে।
এসপিআইকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এসব প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত চুক্তি হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ (অব.) বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব।
দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ, টেলিফোন, রেডিওগুলো বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়ায় ব্যবহার করে। এতে প্রতি বছর ভাড়াবাবদ বাংলাদেশকে ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গুনতে হয়। নিজস্ব স্যাটেলাইট চালু করতে পারলে দেশে শুধু বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয়ই করবে না, সেই সঙ্গে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রচুর অর্থ আয় করা যাবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি কাঠামো তৈরি, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা, বাজার মূল্যায়ন, স্যাটেলাইট বাজারজাতকরণ এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সব প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করবে।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে দিতে হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
বিটিআরসি এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) কাছে কক্ষপথের ১০২ ডিগ্রি পূর্বে স্লট চেয়েছে। তবে বিটিআরসির এই স্লটে আপত্তি জানিয়েছে ১৮টি দেশ।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরপরই এসপিআই এসব দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ১০২ ডিগ্রি স্লটটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এজন্য এসপিআইকে দেনদরবার করে আমাদের অনুকূলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে হবে।
বিটিআরসি আবেদন আহ্বান করলে প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দেয়।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত কার্যাদেশ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান দর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল।
আর্থিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তাব যাচাইয়ের পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এসপিআইকে নির্বাচিত করা হয়।
বিটিআরসি’র বিশেষজ্ঞদের মতে, হাওড়-বাওর, পাহাড় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের দ্বীপগুলোসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এখন পর্যন্ত সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্ক পর্যাপ্ত নয়। তাই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি চালু করা খুবই জরুরি।
____________________
উৎসঃ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১২
___________________________________
বাংলাদেশের নিজের স্যাটেলাইট হচ্ছে খবর খুব ভাল।
কিন্তু আমি নতুন কোন সুন্দর একটা নাম আশা করেছিলাম। আশায় এক্কেবারে গুড়েবালি।
টাকার নোট এ দেখতে দেখতে অতিষ্ট হয়ে গেলাম। এখন আবার স্যাটেলাইট এর নামেও??!!!
কালে কালে এই দেশে আর কত রঙ্গ দেখবো!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।