আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি কি ঠিক বলছি ?

আপনি যদি কাউকে নামাজের জন্য বলেন তাইলে সে এটা মানতে ও পারে আবার না ও মানতে পারে । কিন্তু এর জন্য আপনার উপর সে ব্যক্তির পক্ষ থেকে তেমন কোন অভিযোগ বা বাধা বিপত্তি আসবে না । সে আপনাকে বলবে ও না যে এই কথাটা আর কাউকে বলবি না । আপনি যখন খুশি তখন যে কাউকে এই ভালো কাজের জন্য তাগাদা দিতে পারবেন । কোন ব্যক্তি , প্রতিষ্ঠান বা দল ও আপনার এই কাজে স্পটত কোন বাধা দেবে না এবং এটি ই বাস্তব ।

কারন সে জানে নামাজ ইসলামে ফরজ । এটি ছেড়ে দিলে আজাব ভোগ করতে হবে । ঠিক তেমনি আপনি যখন আবার তাকে মিথ্যা বলা ছেড়ে দিতে বলবেন তখন ও তার প্রতিক্রিয়া আগের মতন ই থাকবে । এই কাজটি আপনি একা না , দলবদ্ধ হইয়া ও করতে পারবেন । দেখবেন আপনার এই দলের উপর তেমন কোন বাধা বিপত্তি আসবে না ।

ঠিক তেমনি সুদ না খাওয়া , বৈবাহিক সম্পর্ক বেতিত কোন নারী/পুরুষের সাথে মিলিত না হউয়া , অন্যের অধিকার কেড়ে না নেয়া , কারো উপর জুলম না করা , ত্রাস সৃষ্টি করে অপর কে আধা মরা বা মেরে না ফেলা , সকল কাজ সৃষ্টিকর্তার হুকুম মত করার তাগাদা দেওয়া এসব ও সকল ধর্মের মূল কথা । এখন আপনি যদি কাউকে বা কোন প্রতিষ্ঠান কে বলেন সুদ খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে কি তার বা তাদের প্রতিক্রিয়া আগের মতই থাকবে । বাস্তবত না । কারন যারা সুদের কারবার এর সাথে জরিত তারা আপনার বিরুধধাচারন করবে কেননা এতে তাদের স্বার্থ জরিত । আবার আপনি যদি কাউকে বৈবাহিক সম্পর্ক বেতিত কোন নারী/পুরুষের সাথে মিলিত না হউয়ার জন্য বলেন তাইলে ও আপনাকে বাধার মুখোমুখি হতে হবে ।

আপনি যদি অন্যায় ভাবে কাউকে জুলম না করার জন্য বলেন তাইলে ও যারা স্বার্থের জন্য জুলম করে তাদের পক্ষ থেকে বাধা আসবে । অন্যায় ভাবে অন্যের অধিকার কেড়ে না নেয়ার জন্য বললে ও ঠিক আপনাকে বিপদে পড়তে হবে । তো আমি এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলাম যে কোন কোন ভালো কাজ করতে বললে কোন প্রকার বিপদ-আপদ বাধা-বিপত্তি আসে না আবার কোন কোন ভালো কাজ করতে বললে কঠিন তম বিপদ-আপদ বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয় । তো এর জবাবে আমার জ্ঞান এ এটাই এসেছে যে , “হক/ভালো ঠিক ততোটুকু বেচে থাকে যাতে বাতিলে্র/খারাপের কোন সমস্যা না হয়” যেমনি ভাবে আলো-আধার এক সাথে থাকতে পারে না ঠিক তেমনি ভাবে হক ও বাতিলও এক সাথে থাকতে পারে না । হয় হক থাকবে না হয় বাতিল থাকবে ।

একটি বনে বাঘ ও কুমির এর অনুপাত এভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, যে পরিমান কুমির থাকলে বাঘের কোন সমস্যা না হয় । আপনি কি কখন ও এমন মানুষ দেখেছেন যার মধধে একি সাথে তাকওয়া ও জিনা আছে ? হাঁ তাকওয়ার পরিমান যত বেশি হবে জিনার পরিমান তত কম হবে অথবা থাকবে না । তাহলে আপনি যদি কোন ভালো কাজ বা ভালো কাজের তাগাদা দেন তাহলে খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন যে আপনার এই কাজের বিপরীতে কোন বাধা আসছে কিনা ? যদি আসে, তাহলে বুঝবেন আপনি সত্তিকার ও পূর্ণ ভালো পথে আছেন । আর যদি না আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভালো কাজের মধ্যে পূর্ণতা নাই বা আদউ কোন ভালো কাজের মধ্যে আপনি নাই । আল্লাহ আমাদের তার সম্পূর্ণ হুকুম পালন করার তাউফিক দান করুন ।

কারন যে যত হুকুম পালন করবে সে তত আল্লাহর নিকটবর্তি । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।