আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বি এস এফ এর আকামের পর জনরোষের মুখে বিভ্রান্তির বেড়াজালে বাংলাদেশ ,এ মিথ্যাচার রুখতে হবে এখনি।।।

এক সুময় ব্যান খাইতে চ্রম টেস্ট লাগতো, এখন খাইতে কিরাম যেন তিতা তিতা লাগে.. তাই খাওন ছাইড়া দিচি... একটি ফেসবুক গ্রুপ এক্স ফাইল এক্স এর ওয়ালে নিচের পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে>> ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ এর পৈশাচিক বর্ববতার প্রতিবাদের যখন গোটা দেশের অনলাইন একটিভিস্ট, ব্লগার ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল দুনিয়া সোচ্চার হয়েছে তখন কিছু ছবি ফেসবুকে স্থান করে নিয়েছে। কিছু নির্মম ঘটনার আলোকচিত্র ও গ্রাফিক্স ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে। এইগুলোর সত্যাসত্য যাচাই না করেই ক্রোধের আগুনে টগবগ করে ফুটতে থাকে তরুণ সমাজ ফেসবুকের ওয়াল থেকে ওয়াল , এ ব্লগ থেকে ও ব্লগ শেয়ার করে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝখান দিয়ে লাভ হচ্ছে পিশাচ বি এস এফ এর।

আসলে এটি বি এস এফ এর অপকর্ম আড়াল করার কোন অপচেষ্টা হতে পারে। একটি ছবি খুব গুরুত্বের সাথে প্রচার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু আমরা জানিনা আসলে ছবিটি কিসের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি লোককে পেরেক ঠুকে গাছে ঝুলিয়ে রেখে দেয়া হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গ কেটে মুখে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এর সাথে বি এস এফ এর সম্পৃক্ততা নেই। প্রকৃত অর্থে এরশাদ সিকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিন ভোড়া গ্রামের ৭৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডাকাত সালাম হাওলাদারকে হত্যা করে গাছের সাথে পেরেক ঢুকিয় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ২০১০ এর মার্চ মাসের দিকে। বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক ডাকাতি, খুন ও ধর্ষনের মামলার আসামী সালামকে তারই সহযোগিরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে । এরপর লাশটিকে ইঞ্জিনিয়ার সুলতানা সালেহ টেকনিক্যাল কলেজের সামনের একটি রেইন্ট্রি গাছের সাথে দুই হাতে পেরেক ঢুকিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। কিন্তু এই ঘটনাকে বি এস এর কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রচার করার একটিই অর্থ হতে পারে সেটি দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার।

এর ফলে পুরো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের বিশ্বের বুকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করে আখেরে লাভবান হবে ভারত। তাই দেশের সকল ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা বিভ্রান্তির এই বেড়াজালে পা দেবেন না। মিথ্যাচার করে দেশের মানহানি করবেন না। এই ধরণের মিথ্যাচার বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মাথা হেঁট করে। বি এস এফ এমনিতেই যে অন্যায় করেছে তা দেখে বিশ্ব বিবেক ঘৃণায় রি রি করছে।

একে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করার কোন মানে হয় না। বিভ্রান্তির বেড়াজালে বাংলাদেশ, এ মিথ্যাচার রুখতে হবে এখনি । দেশের মান ইজ্জত রক্ষার্থে সবার কাছে অনুরোধ এই ছবি ট্যাগ করে , শেয়ার করে, মেসেজ করে ওয়াল থেকে ওয়ালে ছড়িয়ে দিন, অবশ্যই সাথে যেন এই বিবরণ থাকে। একটি কথা মনে রাখতে হবে মিথ্যাচার সম্মান বাড়ায় না বরং মানহানি করে। বিষয়টি সত্যিই গুরুতর।

এর মূল সুত্র পাওয়া গেছে। এক্স ফাইল অর্ণব আর্কের স্ট্যাটাস। এ মিথ্যাচার এখুনি রুখতে হবে বাংলানিউজ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।