আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ পরিচিতি : মেক্সিকো

মেক্সিকান যুক্তরাষ্ট্র বা সাধারণ নামে মেক্সিকো, উত্তর আমেরিকার একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশের উত্তর সীমান্তে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ ও পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ-পূর্বে গুয়াতেমালা, বেলিজ ও ক্যারিবিয়ান সাগর এবং পূর্বে মেক্সিকো উপসাগর অবস্থিত। প্রায় দুই মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত মেক্সিকো আয়তনের বিচারে দুই আমেরিকার পঞ্চম বৃহত্তম রাষ্ট্র তথা বিশ্বের চতুর্দশ বৃহত্তম স্বাধীন রাষ্ট্র। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১০৯ মিলিয়ন, জনসংখ্যার বিচারে মেক্সিকো বিশ্বের একাদশ জনবহুল রাষ্ট্র। প্রাককলম্বিয়ান মধ্য আমেরিকায় ইউরোপীয়দের আগমনের পূর্বেই ওলমেক, তোলতেক, তেওতিউয়াকান, মায়া ও আজটেক সভ্যতার মতো একাধিক উন্নত সভ্যতা বিকাশ লাভ করেছিল।

১৫২১ সালে স্পেন নিউ স্পেন প্রতিষ্ঠা করে। এই দেশটিই পরে মেক্সিকো উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৮২১ সালে এক স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে মেক্সিকো স্বাধীনতা অর্জন করে। মেক্সিকোর স্বাধীনতা-উত্তর পর্যায় ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা, অঞ্চল হস্তচ্যুত হওয়া, গৃহযুদ্ধ এবং বৈদেশিক হস্তক্ষেপ, দুটি সাম্রাজ্য ও দুটি দীর্ঘ আভ্যন্তরীণ একনায়কতন্ত্রের ইতিহাস। সর্বশেষ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের শেষে ১৯১০ সালে সংঘটিত হয় মেক্সিকান বিপ্লব।

এই বিপ্লবের ফলে ১৯১৭ সালের সংবিধান এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান হয়। একটি আঞ্চলিক শক্তি এবং ১৯৯৪ সাল থেকে অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-এর একমাত্র লাতিন আমেরিকান দেশ মেক্সিকো উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে দঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। মেক্সিকোকে সদ্য শিল্পায়িত দেশ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। জিডিপির বিচারে মেক্সিকো বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থব্যবস্থা। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের হিসেবে মাথাপিছু জিডিপির বিচারে লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম রাষ্ট্র।

দেশের অর্থব্যবস্থা মেক্সিকোর নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (নাফটা) সহযোগীদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমানে মেক্সিকো বিশ্বের এক উত্থানশীল শক্তি হওয়া সত্ত্বেও অসম আয়বণ্টন ও ড্রাগ-সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা বলে বিবেচিত হয়। এটি ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে উত্তরে ও সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত দেশ, এবং পৃথিবীর বৃহত্তম স্পেনীয় ভাষাভাষী রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম মেক্সিকান যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকোর অধিবাসীরা দেশটিকে অনেক সময় মেক্সিকান প্রজাতন্ত্র, যদিও এই নামটি সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়।

মেক্সিকোর সরকারব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই তিনটি শাখায় বিভক্ত–নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচার। কিন্তু মেক্সিকোতে নির্বাহী শাখাটি অপর দুইটি শাখার উপর অনেক বেশি আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করেন। বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ সময় ধরে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল ইনস্টিটিউশনাল রেভ্যুলিউশনারি পার্টি ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। ২০০০ সালে এসে প্রথমবারের মতো এর প্রার্থী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজিত হয়।

সেইবার ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টির বিসেন্তে ফক্স জয়লাভ করেন। (সংগৃহিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।