আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন চায় তাই ঘুরি

ইনবার্সিটির থার্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্যা শেষ, কোথা্ও ঘুরতে যাইতে মন্চায় । কিন্তু চাইলেই তো আর হয়না, সময় থাকতে হবে। এক কথায় অল্প বয়সে পাকুনির মতন অবস্থা। পড়াশোনার পাশাপাশি ছুডো খাডো পার্ট টাইম জবের কারনে চাইলে তো কোথা্ও যা্ওয়া যায় না। অফিস থেকে ১ দিন ছুটি পা্ওয়ায় বন্ধুদের বিষয়টা জানালাম, তা্রা্ও রাজি।

এক হালি একজন মিলে শাহাবাগ থেকে বাঙলামোটর গেলাম, বন্ধুর অফিসের সিএনজি ড্রাইভার আমাদেরকে বাঙলামোটর পর্যন্ত লিফট দিলো। মাচুমের কথায় বাঙলামোটর থেকে ৬ নাম্বার গাড়িতে উঠে পড়লাম, গন্তব্য কমলাপুর রেল স্টেশন। মগবাজার পর্যন্ত যাবার পর হেলপার বলল গাড়ি কমলাপুর যাবে না , বাধ্য হয়ে মগবাজার নেমে বলাকা পরিবহনে করে কমলাপুরের ট্রানজিট নিলাম। কমলাপুর নেমে সবাই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে চললাম স্টেশনের ভিতরে, যদি ট্রেনটা পা্ওয়া যায়, কারণ রাত তখন সাড়ে এগারটা। ভিতরে ঢুকে দেখলাম দুইডা টেরেন খারাইয়া আচে, পূর্ব অভিজ্ঞতা মোতাবেক আমরা যথারীতি মেইল ট্রেনের বগিতে সিট খোঁজা শুরু করলাম।

কোথাও সিট না পা্ওয়ায় আনসার মামার দুয়ারে হাত পাতলাম, মামা অামাদের নিরাশ করলেন নাম, তার বদান্যতায় ৪ টা ৫ জনে ভাগাভিাগি করে বসলাম। আমােদের তো আবার সিটের নিচেও ঘুমানোর অভ্যেস আছে, তাই সমস্যা হলো না। ্ও আচ্ছা একক্ষন তো বলাই হলো না আমরা কোথা্য় যাচ্চি, অআমাদের প্লান ছিল আখাউড়া স্টেশনে নেমে সেখানে রাত কাটানো, কিন্তু ট্রেন পৌছাতে দেরী হবে ভেবে আশুগন্জ নামার সিদ্দান্ত নিলাম। গালিব অআবার রাতে খায়নি তাই টঙ্গি স্টেশনে খাবার নেয়ার জন্য বডিগার্ড স্টাইলে নামতেই ট্রেন ছেড়ে দিলো। চেচামেচি করে ্ওকে পেছনের বগিতে উঠতে বলে আমরা আবার আড্ডা দেয়া শুরু করলাম।

্ওদিকে গালিবের মোবাইলৈ চার্য নাই, ফোন করে যে ্ওর খবর নিবো সে ব্যব্সথা্ও শালা রাখে নাই। হঠাত একটু পরে একটা নাম্বার থেকে ্ও ফোন করে জানালো যে কোন সমস্য নাই আমি ভালৈাই আছি। এদিকে আনসার মামা ভাড়া নেয়া জন্য বারবার আমাদের তাগাদ দিচ্চিল , আমাদের টাকা গালিবের কাছে থাকায় ভাড়া দিতে সমস্যা হচ্চিল। রাত আড়াইটার দিকে আমরা ভৈরব স্টেশনে নেমে বাদাম আর পপকর্ন ভাজা খেলাম। রাতের রেল স্টেশনের দৃশ্য সত্যিই অন্যরকম, সবার মাঝে ব্যস্ততা আর তাড়াহুড়া এর মধ্যে অআমরা ৫ ঘুরুন্চি সেটা উপভোগ করছি।

ভৈরব ছাড়ার পর আমরা স্তির করলাম , আশুগন্ঝে নেমে যাবো। ( ছোখের পাতা ভারী হয়ে আসচে, বাকিটুকু কাল শেষ করবো) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।