আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক নৈশ ভোজনের ইতিকথাঃ

কে বোঝে কতটা বিষন্ন অনন্ত এই চন্দ্রায়ণ নিরব কয়েকটি মূহূর্ত কাটার পরে তুমি বললে শয্যা রচনা কর গভীরতর সমুদ্র তলে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর সমুদ্রে রচনা করলাম ফুল শয্যা কোথায় তুমি বধূ হে আমার? বিবর্তনে বহুযুগ কেটে গেলো তুমি এলে না সুগঠিত দুটি হাতের বদলে আমার দেহে এখন পাখনা পা দুটো হারিয়েছি আমি আরো অনেক আগে এখন আমার সমস্ত গায়ে রূপালী আঁশের গন্ধ নিঃস্পলক তোমার পথ চেয়ে এখন আমি খোলা চোখ এক প্রেমিক মৎস্য তবু তোমার প্রতিক্ষায় আমি ক্লান্ত নই; হঠাৎ প্রতিক্ষার প্রহরান্তে একদিন সত্যিই তুমি এলে দু'ঠোঁটের কোণে তোমার ম্লান হাসি দেখে ভাবি, মনে মনে বুঝি কষ্ট পেয়েছো আমায় দেখে.. এক মুহূর্তে আমার সব দুঃখ প্রজাপতির রঙিন পাখা মেলে হলো মিলনের সুখ-সুর। হঠাৎ তুমি আবার নিরব হলে পরমুহূর্তেই বললে,'এখানে নয় বন্ধু, চলো...' প্রেমের আলিঙ্গনে তুমি আমায় বুকে তুলে নিলে; বহু বছরের নির্ঘুম খোলা দুটি চোখে আমার স্বপ্নময় আলস্য এলো ভরে.. স্বপ্ন ভাঙতেই দেখি, আমি তোমার ঘরে সুদৃশ্য এক্যুরিয়ামে ভাবি মনে মনে, বুঝি সুখ এখন শুধু তোমায় দেখে দেখে.. সন্ধ্যায় এলো এক সুন্দর অতিথি তুমি আমার দিকে চেয়ে দু'ঠোঁটের কোণে আকঁলে এক ত্রিকোণমিতিক হাসি, বুঝলাম সবই আমি! সন্ধ্যা-পর তুমি এসে বললে, 'ওহে বোকা মৎস্য বুঝেছো কি আমার প্রেমের কোথায় ছিল উদ্দেশ্যে?' অবশেষে প্রেমিক ভোজনের আয়োজনে আমার প্রেমের ইতি-তে বলী তবুও স্বার্থক আমি- কেননা, আমার প্রেমের ইতিখতে স্বাক্ষর রেখেছিলে তুমি তোমার নিষ্ঠুর কোমল দু'টি হাতে... ২৩/০৫/০৭ [ছবিঃইন্টারনেট]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।