আমি আজ হরতালের মধ্যেই একটা কাজে মিরপুর গিয়েছিলাম । ফেরার পথে মিরপুর এক নাম্বার থেকে আজিমপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের একটা গাড়ীতে উঠলাম। গাড়ীতে উঠে দেখি হরতালের কারনে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম । প্রায় যাত্রীই দুই সিটের জায়গায় একাই বসেছেন। তাদের প্রত্যেকের পাশে হয় নয়া দিগন্ত অথবা আমার দেশ পত্রিকা রাখা ।
আমি অবাক হলাম এত মানুষ নয়া দিগন্ত আর আমার দেশ পড়ে ? কিছুক্ষন পরে জানা গেল আসল বিষয়। গাড়ীতে একজন হকার উঠেছে সে পত্রিকা বিক্রী করছে। কেউ না চাইতেই পাশে একটা করে পত্রিকা রেখে যাচ্ছে । দামের সময় বলছে খুশি হয়ে যা দেবেন । তারমানে কি কেউ যদি খুশি হয়ে ৮টাকার পত্রিকার জন্য ২টাকা দেয় ? তাহলে হকারের পোষাবে কি করে।
কিন্তু সে এভাবেই আগ্রহ নিয়ে এই ২টি পত্রিকাই বিক্রী করছে। আমার কাছে এসে ঐ দুটি পত্রিকা এগিয়ে দিয়ে বলছে খুশি হয়ে যা দিবেন আমি বললাম এই তুমি কি ভিক্ষুক না হকার যা দিবেন বলছ কেন? আর শুধু এই ২টি পত্রিকা এগিয়ে দিচ্ছ কেন ? অন্য পত্রিকা গুলো দিচ্ছ না কেন? সে জানাল কেন সমস্যা কি এই ২টাতো বাংলাদেশেরই পত্রিকা । কি স্মার্ট আনসার। তাকে পরিক্ষা করার জন্য কিনা জানি না । আমার পাশের সিটে বসা এক যাত্রী হকারের কাছ থেকে একটি ইত্তেফাক পত্রিকা চেয়ে নিল এবং ৫টাকা দাম দিল হকার বলল এইডা আপনার বিবেক পত্রিকার দামতো ৮টাকা লোকটি বলল তুইতো বললি খুশি হয়া যা দেবেন আমি খুশি হয়ে তোকে ৫টাকা দিলাম।
সে তখন আবারও আমার দেশ এগিয়ে দিয়ে বলল এইটা নেন।
তারমানে কি আমার দেশ আর নয়া দিগন্ত হকার যা খুশি দামে বিক্রী করতে পারছে আর ইত্তেফাক পারছে না তার মানে ঐ দুটি পত্রিকা কি সে ফ্রি পয়েছে ? যার কারনে যে দামেই বিক্রী করুক তার লাভ হবেই ।
যাদের বিশ্বাস হচ্ছে না তারা এখনও যেতে পারেন আমি ঘন্টা খানেক আগে আসলাম ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।