আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গডফাদার-২৩

সন্ধ্যায় জামাল তার অফিসে বসেছিল এমনসময় তার মোবাইলের রিং বেজে উঠল। জামাল মোবাইল রিসিভ করে বলল, হ্যালো। হ্যালো মিঃ জর্জ শুনুন, খুব গম্ভীর এক কণ্ঠস্বর। প্রথমে জামাল ভেবেছিল হয়তো রং নাম্বার থেকে কল এসেছে, সে বলল, সরি এখানে তো জর্জ নামে কেউ নেই। ইয়েস মিঃ জামাল আমাদের ব্যবসার লাইনে আপনার নাম জর্জ এবং পাস ওয়ার্ড নাম্বার ট্রিপল সেভেন।

অন্যসময় কেউ এমন কথা বললে জামাল হেসে ফেলতো কিন্তু মিঃ টি.আর খানের কণ্ঠস্বরটা যেন কেমন ভয়ংকর, তার সঙ্গে কথা বলতেই বুকটা কেঁপে উঠে। সে বিনয়ের সঙ্গে বলল, ইয়েস মিঃ খান এখন বলুন। অপর পাশ থেকে মিঃ খান এর কন্ঠস্বর ভেসে এলো, এখন থেকে হ্যালো বলেই আপনি ট্রিপল সেভেন বলবেন, আর হ্যাঁ মাল পাঠানো হয়েছে, যে কোন সময় মাল আপনার হাতে পৌঁছে যাবে আপনি ক্যাশ দিয়ে মাল বুঝে নিবেন। আমি কীভাবে চিনব? আমি ম্যাসেজের মাধ্যমে তার বায়োডাটা পাঠিয়ে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী চিনবেন।

রিমেম্বার ইট ও এ লাইনে গাদ্দারের পরিণতি মৃত্যু, মিঃ খান এর শেষ কথাগুলো খুব নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর শোনালো। জামাল যেন বুকে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা খেল, ইয়েস বস্। জামাল মোবাইল রেখে দিয়ে কয়েকমুহূর্ত চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে রইল। মিঃ খান এর সঙ্গে প্রথম আলাপের পরই জামাল মাল মার্কেটিং এর জন্য সবকিছু সাজিয়ে দিয়েছে। তাই জামালের অপেক্ষা শুধুমাত্র মাল হাতে পাবার।

জামাল একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সবেমাত্র রাত আটটা বাজে। জামাল অফিস থেকে বের হলো। অফিসের সামনে মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড করা ছিল কিন্তু সে মনে মনে ভাবল মোটর সাইকেল নিয়ে জাহিদের বাসায় বেশি যাওয়া ঠিক হবে না, তাতে খুব সহজে মানুষ তার যাতায়াত বুঝতে পারবে। তাই সে রিক্সায় চড়ে জাহিদের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। জাহানারা গেট খুলে দিয়ে বললেন, এসো বাবা।

জামাল রিক্সা বিদায় দিয়ে বাসার ভিতর ঢুকল। জাহানারা জামালকে জাহিদের রুমে বসতে দিল। পার্শ্বের রুম থেকে জুঁই জোরে জিজ্ঞেস করল, কে এসেছে মা? তোর জামাল ভাই মা, বলে তিনি বের হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর জুঁই ঘরে ঢুকে বলল, ভাইয়া অনেকদিন পর। হ্যাঁ তুমিও তো কোনদিন আসতে বললে না, তোমরা আসতে না বললে কীভাবে আসি বলো? আপনাকে আসতে বলতে হবে কেন? যখন খুশি তখন চলে আসবেন, বলে জুঁই মুচকি হাসি হাসল।

জামাল জুঁইয়ের হাসির প্রশংসা করে বলল, তোমার হাসিটা তো খুব সুন্দর এ কয়েকদিনের মধ্যে তুমি বেশ সুন্দর হয়েছ। জুঁই লজ্জায় মাথা নত করল। জামাল আবার বলল, জুঁই তোমার সঙ্গে অনেক দেরিতে দেখা হয়েছে আরো আগে তোমার সাথে দেখা হলে ভালো হতো। জুঁই মৃদু কন্ঠে বলল, আগে দেখা হলে কী করতেন? কী করতাম, বলে জামাল চেয়ার ছেড়ে উঠল তারপর থু থু ফেলার ভান করে বারান্দায় গিয়ে দেখল জাহানারা চা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত আর যুথি তার পড়া নিয়ে ব্যস্ত। জামাল ঘরে ঢুকে জুঁইয়ের চেয়ারের কাছে এসে দাঁড়িয়ে জুঁইয়ের দুঞ্চহাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে তার চোখে চোখ রাখল।

জীবনে প্রথম পুরুষের হাতের স্পর্শে জুঁইয়ের গা শিউরে উঠল। হৃৎপিন্ড দ্রুতগতিতে চলতে থাকলো। অজানা আশংকায় মুখ শুকিয়ে গেল। জুঁই হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার মৃদু চেষ্টা করল কিন্তু কেন জানি তার হাত দুঞ্চটো শিথিল হয়ে গেল, তার মুখ দিয়ে অষ্ফুটস্বরে একটা কথা বেরিয়ে এলো, ভাইয়া। জামাল আবেগজড়িত কন্ঠে বলল, জুঁই তুমি খুব সুন্দর! জুঁই কাঁপা স্বরে বলল, প্লিজ ভাইয়া হাত ছাড়ুন, আমার কথা শুনুন প্লিজ মা দেখে ফেললে- জামাল হাত ছেড়ে দিয়ে তার চেয়ারে গিয়ে বসে মনে মনে বলল তারমানে মা দেখে ফেললে সমস্যা, আর কেউ না দেখলে সমস্যা নেই।

জুঁই আজ তোমাকে ছেড়ে দিলাম আরেকদিন সুযোগ পেলে তুমি ছাড়া পাবে না। জুঁই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ভাইয়া আমি আসি। তবে আমিও যাই, জামাল অভিমানের সুরে বলল। না আপনি চা খেয়ে যাবেন। তুমি না থাকলে আমি একা একা বসে কী করবো? আপনি বসুন আমি আসছি, বলে জুঁই চলে গেল।

কয়েকমিনিট পর যুথি চায়ের ট্রে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে বলল, কেমন আছেন ভাইয়া? হুম ভালো, বলে জামাল কয়েক সেকেণ্ড যুথির বুকের দিকে তাকিয়ে রইল। যুথি লজ্জায় মাথা নত করে চায়ের কাপ বাড়িয়ে দিয়ে বলল, চা নিন ভাইয়া। জুঁ্ই আবার রুমে ঢুকল। জামাল একরকম চমকে উঠল, এতসব কী দরকার ছিল যুথি? যুথির বুকের দিকে জামালকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে জুঁই মনে মনে বলল, আমি চলে গেলে জামাল ভাই আবার যুথির দিকে নজর দিতে পারে তাই এখানে বসে থাকাই ভালো। জুঁই আবার চেয়ারে বসল।

যুথি চা দিয়ে চলে যাচ্ছিল জামাল জিজ্ঞেস করল, যুথির পরীক্ষা যেন কবে? আগামী মাসের সাত তারিখে ভাইয়া। তবে তো আমি এসে তোমাকে ডিসটার্ব করছি। জামালের আগমনে যুথি সত্যি সত্যি বিরক্তবোধ করছে। সে নিতান্তই ভদ্রতাবশতঃ বলল, এমন কথা বলবেন না ভাইয়া, আপনি আসলে আমরা খুব খুশি হবো। জুঁই রাগান্বিত চোখে যুথির দিকে তাকিয়ে শাসনের সুরে বলল, যুথি পড়তে বস্ ।

যুথি আর কোন কথা না বলে চলে গেল। যুথির আচরণ জামালের চোখ এড়িয়ে যেতে পারল না। সে ঠিকই খেয়াল করেছে যুথির মধ্যে তার রুপ আর যৌবনের একটা অহংকার আছে, জামালের মনে জিদ চেপে গেল, আগে জুঁইকে সাইজ করি তারপর যুথির রুপ আর যৌবনের অহংকার আমি দুমড়ে মুচড়ে দিব। জুঁই জিজ্ঞেস করল, কী ভাবছেন ভাইয়া? না কিছু না বলে জামাল চা শেষ করে বলল, জুঁই আমি আজকের মতো আসি বলে বিদায় নিল। জুঁই বলল, ভাইয়া আপনার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে? জামাল হেসে উঠল, আমার সঙ্গে? আমার সঙ্গে কথা বলবে তাতে আবার সংকোচ করছ কেন? বলে ফেল? ভাইয়া আপনি তো জানেন বাবা মারা যাবার পর সংসারের সমস্ত ভার ভাইয়ার ওপর পড়েছে বেচারা একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছে, তাই- কি জাহিদের বেতন বাড়িয়ে দিতে বলছ? না ভাইয়া তা বলিনি, আপনি বেতন বাড়াবেন কি না সেটা আপনার ব্যাপার।

তবে? ভাইয়া আমার একটা চাকরি দরকার। বেশ তো চাকরিতে দরখাস্ত করো, ইন্টারভিউ দাও তারপর আমার যদি কোন হেল্প লাগে তো করব। সেটা টাকা দিয়েই হোক আর তদবির দিয়েই হোক। জুঁই জামালের প্রশংসা করে বলল, ইউ আর সো গ্রেট ভাইয়া, আপনি আমাকে নিশ্চিন্ত করলেন। চলবে... সন্ধ্যায় জামাল তার অফিসে বসেছিল এমনসময় তার মোবাইলের রিং বেজে উঠল।

জামাল মোবাইল রিসিভ করে বলল, হ্যালো। হ্যালো মিঃ জর্জ শুনুন, খুব গম্ভীর এক কণ্ঠস্বর। প্রথমে জামাল ভেবেছিল হয়তো রং নাম্বার থেকে কল এসেছে, সে বলল, সরি এখানে তো জর্জ নামে কেউ নেই। ইয়েস মিঃ জামাল আমাদের ব্যবসার লাইনে আপনার নাম জর্জ এবং পাস ওয়ার্ড নাম্বার ট্রিপল সেভেন। অন্যসময় কেউ এমন কথা বললে জামাল হেসে ফেলতো কিন্তু মিঃ টি.আর খানের কণ্ঠস্বরটা যেন কেমন ভয়ংকর, তার সঙ্গে কথা বলতেই বুকটা কেঁপে উঠে।

সে বিনয়ের সঙ্গে বলল, ইয়েস মিঃ খান এখন বলুন। অপর পাশ থেকে মিঃ খান এর কন্ঠস্বর ভেসে এলো, এখন থেকে হ্যালো বলেই আপনি ট্রিপল সেভেন বলবেন, আর হ্যাঁ মাল পাঠানো হয়েছে, যে কোন সময় মাল আপনার হাতে পৌঁছে যাবে আপনি ক্যাশ দিয়ে মাল বুঝে নিবেন। আমি কীভাবে চিনব? আমি ম্যাসেজের মাধ্যমে তার বায়োডাটা পাঠিয়ে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী চিনবেন। রিমেম্বার ইট ও এ লাইনে গাদ্দারের পরিণতি মৃত্যু, মিঃ খান এর শেষ কথাগুলো খুব নিষ্ঠুর এবং ভয়ংকর শোনালো।

জামাল যেন বুকে একটা প্রচণ্ড ধাক্কা খেল, ইয়েস বস্। জামাল মোবাইল রেখে দিয়ে কয়েকমুহূর্ত চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে রইল। মিঃ খান এর সঙ্গে প্রথম আলাপের পরই জামাল মাল মার্কেটিং এর জন্য সবকিছু সাজিয়ে দিয়েছে। তাই জামালের অপেক্ষা শুধুমাত্র মাল হাতে পাবার। জামাল একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সবেমাত্র রাত আটটা বাজে।

জামাল অফিস থেকে বের হলো। অফিসের সামনে মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড করা ছিল কিন্তু সে মনে মনে ভাবল মোটর সাইকেল নিয়ে জাহিদের বাসায় বেশি যাওয়া ঠিক হবে না, তাতে খুব সহজে মানুষ তার যাতায়াত বুঝতে পারবে। তাই সে রিক্সায় চড়ে জাহিদের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। জাহানারা গেট খুলে দিয়ে বললেন, এসো বাবা। জামাল রিক্সা বিদায় দিয়ে বাসার ভিতর ঢুকল।

জাহানারা জামালকে জাহিদের রুমে বসতে দিল। পার্শ্বের রুম থেকে জুঁই জোরে জিজ্ঞেস করল, কে এসেছে মা? তোর জামাল ভাই মা, বলে তিনি বের হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর জুঁই ঘরে ঢুকে বলল, ভাইয়া অনেকদিন পর। হ্যাঁ তুমিও তো কোনদিন আসতে বললে না, তোমরা আসতে না বললে কীভাবে আসি বলো? আপনাকে আসতে বলতে হবে কেন? যখন খুশি তখন চলে আসবেন, বলে জুঁই মুচকি হাসি হাসল। জামাল জুঁইয়ের হাসির প্রশংসা করে বলল, তোমার হাসিটা তো খুব সুন্দর এ কয়েকদিনের মধ্যে তুমি বেশ সুন্দর হয়েছ।

জুঁই লজ্জায় মাথা নত করল। জামাল আবার বলল, জুঁই তোমার সঙ্গে অনেক দেরিতে দেখা হয়েছে আরো আগে তোমার সাথে দেখা হলে ভালো হতো। জুঁই মৃদু কন্ঠে বলল, আগে দেখা হলে কী করতেন? কী করতাম, বলে জামাল চেয়ার ছেড়ে উঠল তারপর থু থু ফেলার ভান করে বারান্দায় গিয়ে দেখল জাহানারা চা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত আর যুথি তার পড়া নিয়ে ব্যস্ত। জামাল ঘরে ঢুকে জুঁইয়ের চেয়ারের কাছে এসে দাঁড়িয়ে জুঁইয়ের দুঞ্চহাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে তার চোখে চোখ রাখল। জীবনে প্রথম পুরুষের হাতের স্পর্শে জুঁইয়ের গা শিউরে উঠল।

হৃৎপিন্ড দ্রুতগতিতে চলতে থাকলো। অজানা আশংকায় মুখ শুকিয়ে গেল। জুঁই হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার মৃদু চেষ্টা করল কিন্তু কেন জানি তার হাত দুঞ্চটো শিথিল হয়ে গেল, তার মুখ দিয়ে অষ্ফুটস্বরে একটা কথা বেরিয়ে এলো, ভাইয়া। জামাল আবেগজড়িত কন্ঠে বলল, জুঁই তুমি খুব সুন্দর! জুঁই কাঁপা স্বরে বলল, প্লিজ ভাইয়া হাত ছাড়ুন, আমার কথা শুনুন প্লিজ মা দেখে ফেললে- জামাল হাত ছেড়ে দিয়ে তার চেয়ারে গিয়ে বসে মনে মনে বলল তারমানে মা দেখে ফেললে সমস্যা, আর কেউ না দেখলে সমস্যা নেই। জুঁই আজ তোমাকে ছেড়ে দিলাম আরেকদিন সুযোগ পেলে তুমি ছাড়া পাবে না।

জুঁই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ভাইয়া আমি আসি। তবে আমিও যাই, জামাল অভিমানের সুরে বলল। না আপনি চা খেয়ে যাবেন। তুমি না থাকলে আমি একা একা বসে কী করবো? আপনি বসুন আমি আসছি, বলে জুঁই চলে গেল। কয়েকমিনিট পর যুথি চায়ের ট্রে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে বলল, কেমন আছেন ভাইয়া? হুম ভালো, বলে জামাল কয়েক সেকেণ্ড যুথির বুকের দিকে তাকিয়ে রইল।

যুথি লজ্জায় মাথা নত করে চায়ের কাপ বাড়িয়ে দিয়ে বলল, চা নিন ভাইয়া। জুঁ্ই আবার রুমে ঢুকল। জামাল একরকম চমকে উঠল, এতসব কী দরকার ছিল যুথি? যুথির বুকের দিকে জামালকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে জুঁই মনে মনে বলল, আমি চলে গেলে জামাল ভাই আবার যুথির দিকে নজর দিতে পারে তাই এখানে বসে থাকাই ভালো। জুঁই আবার চেয়ারে বসল। যুথি চা দিয়ে চলে যাচ্ছিল জামাল জিজ্ঞেস করল, যুথির পরীক্ষা যেন কবে? আগামী মাসের সাত তারিখে ভাইয়া।

তবে তো আমি এসে তোমাকে ডিসটার্ব করছি। জামালের আগমনে যুথি সত্যি সত্যি বিরক্তবোধ করছে। সে নিতান্তই ভদ্রতাবশতঃ বলল, এমন কথা বলবেন না ভাইয়া, আপনি আসলে আমরা খুব খুশি হবো। জুঁই রাগান্বিত চোখে যুথির দিকে তাকিয়ে শাসনের সুরে বলল, যুথি পড়তে বস্ । যুথি আর কোন কথা না বলে চলে গেল।

যুথির আচরণ জামালের চোখ এড়িয়ে যেতে পারল না। সে ঠিকই খেয়াল করেছে যুথির মধ্যে তার রুপ আর যৌবনের একটা অহংকার আছে, জামালের মনে জিদ চেপে গেল, আগে জুঁইকে সাইজ করি তারপর যুথির রুপ আর যৌবনের অহংকার আমি দুমড়ে মুচড়ে দিব। জুঁই জিজ্ঞেস করল, কী ভাবছেন ভাইয়া? না কিছু না বলে জামাল চা শেষ করে বলল, জুঁই আমি আজকের মতো আসি বলে বিদায় নিল। জুঁই বলল, ভাইয়া আপনার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে? জামাল হেসে উঠল, আমার সঙ্গে? আমার সঙ্গে কথা বলবে তাতে আবার সংকোচ করছ কেন? বলে ফেল? ভাইয়া আপনি তো জানেন বাবা মারা যাবার পর সংসারের সমস্ত ভার ভাইয়ার ওপর পড়েছে বেচারা একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছে, তাই- কি জাহিদের বেতন বাড়িয়ে দিতে বলছ? না ভাইয়া তা বলিনি, আপনি বেতন বাড়াবেন কি না সেটা আপনার ব্যাপার। তবে? ভাইয়া আমার একটা চাকরি দরকার।

বেশ তো চাকরিতে দরখাস্ত করো, ইন্টারভিউ দাও তারপর আমার যদি কোন হেল্প লাগে তো করব। সেটা টাকা দিয়েই হোক আর তদবির দিয়েই হোক। জুঁই জামালের প্রশংসা করে বলল, ইউ আর সো গ্রেট ভাইয়া, আপনি আমাকে নিশ্চিন্ত করলেন। চলবে... গডফাদার-০১  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।