শেষ বারের মতো সতর্ক করছি... টিভিতে একটা নিউজ দেখার পর কিছু প্রশ্ন আসছে মাথায় কিন্তু উত্তর গুলো জানা নেই। আইএমএফ বাংলাদেশকে বিনা সুদে ঋণ দেবে এই আশায় আছে সরকার। তাই তাদের পরামর্শে জ্বালানি তেলের উপর থেকে ভর্তুকি পর্যায় ক্রমে উঠিয়ে নিচ্ছে। গত বছর তিন দফায় দাম বাড়িয়েছে। এই বছর আরো দুইবার বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়ে রাখছেন অর্থ মন্ত্রী।
ডলার বিক্রির উপর কোন নিয়ন্ত্রন থাকছেনা। রাস্তার পুরনো জামা কাপরের মতো দোকানী যত ইচ্ছে দাম চাইবে, এবঙ তাদের ইচ্ছে মতো বিক্রি করবে। আমাদের দেশের সকল ব্যাংকের সর্বোচ্চ সূদের হার ঠিক করতো বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার তাও থাকছেনা। ব্যাংক গুলো যত ইচ্ছে সুদ নিতে পারবে।
যত ইচ্চে সুদ আদায় করতে পারবে। এবং যত ইচ্চে মুনাফা দিতে পারবে।
কি চমৎকার বিধান, তাই না।
আইএমএফ আমাদের জন্য কত কিছুই না করে। এটাও নিশ্চয় আমাদের ভালর জন্যই করেছে।
আমরা তো আর আমাদের ভাল বুঝতে পারিনা তাই আমাদের আইএমএফ এর পরামর্শ উপদেশ নিয়ে চলতে হয়।
তবু একজন খাঁটি বেকুব হিসেবে অনেক বিষয় বুঝতে চেষ্টা করি। আমাদের দেশের সরকার যদি তার জনগনের কোন পণ্যতে ভুর্তিকি দিতে চায় বা দেয় তাতে আইএফএফ এর সমস্যাটা কোথয়? তারা সরকার কে এই বিষয়ে চাপ দেয়ার সময় নিশ্চয় কোন একটা কারন উল্লেখ করেছে। কি সেই কারন?
এই কর্তাদের পরামর্শেই নাইজেরিয়ায় তেলের উপর থেকে ভূর্তুকি উঠিয়ে নিয়েছে। সেই দেশে তেলের দাম বেড়েছে দ্বিগুন।
এই নিয়ে চলছে আন্দোলন। আমাদের সরকার তো আর নাইজেরিয়ার মতো এত বোকা না। তাই তারা বাড়াচ্ছে কয়েক দফায়। আস্তে আস্তে। বাঁশ আমাদের দেবে কিন্তু আস্তে আস্তে ।
ব্যথায় যন্ত্রনায় চিল্লাবো কিন্তু বুঝবার উপায় থাকবে না যে এটা বাঁশ ঢুকানোর কারনে হচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের অনেক ডিগ্রী পাওয়া সরকার।
এই আস্তে আস্তে তেলের দাম বাড়ানোর বাঁশের আর একটা টাইপ বেশি খেতে হচ্ছে জনগনকে। যতবারই তেলের দাম বাড়ে, সেই সাথে বাড়ে বাস ভাড়া। এক স্টেশন থেকে আর এক স্টেশনে কম করে একটাকা বাড়ে।
তিন বারে কম করে তিনটাকা বেড়েছে। যদি একবারে বাড়াত তবে এই ভাড়াটা বাড়তো দুই টাকা। এটা অর্থনীতির হিসাব না। সহজ সরল হিসাব।
সরকার এই ভাড়া নিয়ন্ত্রনে কয়েক দফায় ভাষন দেয়।
যোগাযোগ মন্ত্রী এই বিষয় নিয়ে সরাদিনই টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে হাসি মুখে বসে থাকেন। টিভিতে দেখানোর একবারের পরিবর্তে তিনবার সুযোগ পাচ্ছেন এটাই কম কিসে।
না আজ সরকারের চালবাজ নীতি নিয়ে কিছু কওনের খায়েশ নেই। এটা তো আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়। আবার হতে পারে আর্ন্তজাতিক বিষয়ও।
তারা যে ভাবে আমাদের প্রতিটি কাজে নাক গলায় তাতে সন্দেহ অমুলক নয়। তাদের সাদা চামড়ার শয়তান গুলো যে এই বিষয়ে উপদেশ দেয় নাই তারইবা গ্যারান্টি কি?
কিন্তু কেন? কেন তারা আমাদের জ্বালানী তেলের উপর থেকে ভূর্তুকি তুলে নিতে বলছে?
ডলারে দাম সরকার যদি নিয়ন্ত্রন না করে তবে আইএমএফ এর কি সুবিধা হয়? না করলে তাদের কি সমস্যা হয়?
এমন কি হতে পারে আমাদের দেশে বিদেশি যে কোম্পানি গুলো ব্যবসা করে টাকা কে ডলার বানিয়ে বগল দাবা করে নিয়ে যায়। টেলিফোন কোম্পানি গুলো অন্যতম। তারা তাদের ইচ্ছে মতো ডলার কেনা বেচার সুবিধা পাবে। আমার খুব জানার ইচ্ছে কি বিষয় থাকতে পারে এই ডালারের দামের নিয়ন্ত্রন বাজারের উপর ছেড়ে দিয়ে?
ব্যাংকের ব্যপারটাও বিষ্ময়কর মনে হয়েছে।
আমাদের দেশের ব্যাংক গুলোর সর্বোচ্চ সুদের হার যদি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারন করে না দেয়। তবে প্রত্যেক ব্যাংক তাদের নিজেদের সুবিধা মতো যত বেশি মুনাফা অর্জন সম্ভব, তারা তাই করবে। আগের মহাজনের মতো অধিক সুধে ঋণ দিতে চাইবে। শুধু চাইবে কি ? দিবে। এতে আইএমএফএর কি সুবিধা হবে? বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন থাকায় তাদের কি অসুবিধা হচ্ছে?
আমাদের দেশের ব্যাংক গুলোতে বিদেশি অর্থায়ন কি পরিমানে? তারা নিজেদের লাভের জন্য আমাদের উপর তাদের ইচ্ছে মতো সুদ অরোপ করে আরো লাভবান হতে চাইছে।
এখন আর ইউনোস সাহেব কে বলা যাবে না যে তিনি সর্বোচ্চ সুদ নেন! ইউনুস সাহেবের ভালই সুবিধা হলো। তার উপর থেকে একটা অপবাদ কমলো।
অল্প কিছু ডলারের জন্য সরকার আমাদের দেশটাকে পতিতা বানিয়ে বাজারের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর কত ভয়ানক পরিনতি হতে পারে?
আমার জানার খুব শখ হয়। আইএমএফ কোন নীতির ভিত্তিতে দেশের উপর এই নিয়ন্ত্রন আরোপ করে যাচ্ছে? কারা দেয় এই প্রতিষ্ঠানের আদেশ নিষেদ উপদেশ? কাদের মাথা থেকে বের হওয়া চিন্তা গুলো এই দুর্বল রাষ্ট্র গুলোর উপর চাপিয়ে দেয়? সহজ কথায় এই আইএমএফ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটা কাদের? লাভের অংক গুলো শেষ পর্যন্ত কোন তহবিলে জমা হয়? কাদের পেটে হজম হয় শোষনের এত ডলার? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।