আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠিক শহরের হƒৎপিণ্ডেই

সাইফ শাহজাহান [] শুচি সৈয়দ [] আবারও দুটি মৃত্যু সংবাদ বিষণœ করে তোলে আমাকে। দেশের অন্যতম শিল্পোদ্যোক্তা স্যামসন এইচ চৌধুরী আর সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক দীনেশ দাশের মৃত্যু জীবনের অনিত্যতাকেই যেন স্মরণ করিয়ে যায়। ‘মরণরে তুঁহু মম শ্যামও সমান’Ñ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এই পংক্তিকে উজ্জ্বল-উদ্ধার বলে না ভাবলেও মৃত্যু ভয়ে ভীতি বোধ আমার কমই। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু নানা ভাবে আমাদেরকে নাড়া দিয়ে যায় বটেই। আধুনিক চীনের মহান নেতা তাঁর এক বিপ্লবী সহযোদ্ধার মৃত্যুতে শোকসভার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘কোন কোন মৃত্যু পাখির পালকের চেয়েও হালকা, আর কোন কোন মৃত্যু থাই পাহাড়ের চেয়ে ভারী।

’ বুক ভার করা এই মৃত্যুতে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ সাংবাদিক দীনেশ দাশের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ানোয় অনেক হতাশার ভেতরও আশায় উজ্জীবিত হয়েছি যে না এখনো জগৎ সহমর্মী মানুষের জগৎ! একই ভাবে এদেশের মহীরুহ শিল্পোদ্যোক্তা স্যামসন এইচ চৌধুরীর শোকসভায় স্বতঃস্ফুর্ত মানুষের ঢল দেখে তাঁর সন্তানদের মত আমার মনেও এই উপলব্ধিটি জšে§ছে যে, মানুষের শুভযাত্রায়, মানুষ একাকী নয়! তাঁর স্ত্রী অনিতা চৌধুরী শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বলেছেন, ৩৫ হাজার সন্তানের অভিভাবক শূন্যতার কথা। কিন্তু স্যামসন এইচ চৌধুরীর শেষযাত্রা প্রমাণ করেছে যে, এদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসায় অভিষিক্ত তিনি। অনেক দিন আগে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি লেখা লিখেছিলাম। লেখাটির কোথাও তাঁর নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করিনিÑ আজকে সেই লেখাটি মত ও পথের পাঠকদের সামনে নতুন করে পেশ করছি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত ভালোবাসার স্মারক চিহ্ন রূপে শোক-শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবেÑ ১. ঠিক শহরের হƒৎপিণ্ডের জায়াগাটিতেই একটি লাইব্রেরিÑ হ্যাঁ, আমরা পাবনা শহরের সন্তানেরা যত দূরেই থাকি না কেন, ছড়িয়ে ছিটিয়েÑ যেন তার স্পন্দন শুনতে পাই। আমি সেই স্পন্দন অনুভব করছি এ লেখাটি লিখতে বসে।

আমার বিশ্বাস যারা পাবনা শহরে বেড়ে উঠেছেন তারা আমার কথার সত্যতা স্বীকার করবেন। পাবনা শহরে শত বর্ষের প্রাচীন অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থান আমার মতে, শহরের হƒৎপিণ্ডের জায়গাটিতেই। তবে আমরা সেটা উপলব্ধি করি খুব কমই। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি কবিতা আছে যাতে কবি বলছেন : ‘লোকটা, তার জামার বাম পকেটটা সামলাতে সামলাতেই চলে গেল, অথচ সেই পকেটটার ঠিক নিচেই ছিল তার আশ্চর্য সুন্দর হƒদয়! লোকটা জানলো-ই-না!!’ আমরাও আমাদের আশ্চর্য সুন্দর হƒদয়টি সম্পর্কে কমবেশি এ রকমই উদাসীন। আমরা আমাদের হƒদয়ের অস্তিত্ব উপলব্ধি না করেই ঝরে যাই, চলে যাই।

আমার কথাটাকে হয়তো সর্বার্থে সঠিক বলে দাবি করা ঠিক হবে না। শতবর্ষ আগে একজন হƒদয়বান যেটির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন শতবর্ষে পরে কাল-পরিক্রমায় আজ সেটি আরেকজন হƒদয়বানের উদ্যোগে আরেক শতাব্দীতে গৌরবদৃপ্ত পা রাখতে যাচ্ছে। প্রাণৈশ্বর্যে পাবনার মানুষ পরবর্তী প্রজšে§ প্রবাহিত এই ঘটনার ভেতর দিয়ে। হƒৎপিণ্ড যে রকম মানুষের সমস্ত শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে, বাঁচিয়ে রাখে জীবনকে, ঠিক সেই রকমই পাবনার মানুষকেÑ তার সাংস্কৃতিক চেতনাকেÑ বাঁচিয়ে রাখবার দায়িত্ব এই লাইব্রেরির ওপরই বর্তাচ্ছে। আমার বিশ্বাস নতুন ভবনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং যাকে বলে ঘবি ইষড়ড়ফ সেটাও আজ জরুরি বলে উপলব্ধি করবেন সবাই।

এখন প্রয়োজন গতিশীল চিন্তা, স্থবির চেতনা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে এই লাইব্রেরি সম্পর্কে লেখার আমি কে? কীইবা আমার অধিকার? আমার লেখার এক্তিয়ারই বা কতোটুকু? এই সব প্রশ্নের একটিরও উত্তর আমি দিতে পারবো না। আমি পাবনার ছেলে, লেখালেখির সঙ্গে জড়িত সে জন্যই বোধ করি পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক শিবজিত নাগের একটি ক্ষীণ মৌখিক আমন্ত্রণের সূত্রেই এই লেখাটি এবং বলাই বাহুল্য একটা দুর্নিবার অন্তর্তাগিদও বটে এই লেখার কারণ। সর্বোপরি উপলব্ধি করছি যেন সামান্য হলেও আমার নাড়ি জড়িয়ে আছে এই লাইব্রেরি এবং তার বইপত্রের সঙ্গে। তাই বলা চলে নাড়ির টানেও।

আমরা যারা পাবনার ধূলো কাদা গায়ে মেখে এ শহরের সংস্কৃতি, রাজনীতি, খেলাধুলার মাঠ পেরিয়ে এসেছি তাদের নাড়িতো বাঁধা পড়ে আছে এই ছোট্ট শহরের গোটাকয় প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণেও। ২. মানুষের জীবনে বইয়ের চেয়ে বড় বন্ধু, বড় স্বজন আছে কি-না তা আমার জানা নেই। আর এই পরম-সুহƒদ পরম-স্বজন বইয়ের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন আমার পিতা। অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির ছোটদের বিভাগের সদস্যও করে দিয়েছিলেন তিনিই। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান হওয়ার বেদনাটা আমি খুব জানিÑ তাই বই হয়ে উঠেছিল আমার ভাই, আমার বোন।

মনে পড়ে, আমাদের পাড়ায় রাধানগর, গোপাল লন্ড্রীর ঠিক পেছনে একটি পাঠাগার ছিল; তিন চার আলমারী বইয়ের সংগ্রহে সমৃদ্ধ সেই পাঠাগারটি চালাতেন এলাকার বড় ভাইয়েরা, নাম ছিল ‘ইছামতি পাঠাগার’। এই পাঠাগারটির সঙ্গে জড়িত সেই সব উজ্জ্বল তরুণদের প্রতি আজও আমি সাংঘাতিক কৃতজ্ঞতাবোধ করি জানিনা আজ তারা কোথায়? আমাদের পাড়াতেই আরেকটি পাঠাগার ছিলÑ নতুন ব্রীজের ঠিক নিচে ইছামতি নদীর কোল ঘেঁষে, যেটি হচ্ছে ‘শহীদ মৌলানা কসিমুদ্দীন আহমেদ স্মৃতি কেন্দ্র পাঠাগার’, এই পাঠাগারটির অনেক বই আমি অযতেœ ঘুণ পোকায় খেয়ে যাওয়া দেখেছি, দেখে তখনও কষ্ট পেয়েছি, এখন কষ্ট লাগছে, দুঃখজনক সেই স্মৃতি মনে পড়ায়। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধে সময় হানাদার পাক বহিনীর হাতে নিহত পাবনার আপামর মানুষের মাঝে জনপ্রিয় শিক্ষক ও সমাজসেবী মৌলানা কসিমুদ্দীন আহমেদ স্যারের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর নামে নামাঙ্কিত সেই পাঠাগারটি আজ আর আছে কি-না আমি জানিনা। মৌলানা কসিমুদ্দীন আহমেদ স্মৃতি কেন্দ্র ভবনেই এই স্মৃতি পাঠাগারটির ঠিক উল্টোদিকের ঘরেই ছিল পাবনা জেলা তথ্যকেন্দ্র ও লাইব্রেরি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় লাইব্রেরিটি চলত, লাইব্রেরিটির লাইব্রেরিয়ান ছিলেন চিশতি ভাইÑ মৌলানা কসিমুদ্দীন আহমেদ সাহেবের বড় ছেলে চিশতি ভাইÑ মনে পড়ছে তার কথাও।

তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শোধ করা যাবে না, আমাদের প্রতি তার প্রশ্রয়ের ঋণ। সেই প্রশ্রয়কে আজ ভালোবাসা বলেই তো বোধ হচ্ছে, আর ভালোবাসা কি কখনো শোধ করা যায়, কোনও মূল্যেই? মৌলানা কসিমউদ্দীন আহমেদ স্মৃতি কেন্দ্রের এক তলা ভবনের দু’টি রুমে ভাড়ায় চলতো জেলা তথ্যকেন্দ্র লাইব্রেরি। জেলা তথ্যকেন্দ্রের সংবাদপত্রপাঠের কক্ষটি ছিল আমাদের প্রতি শুক্রবারের কবিতা পাঠের আসর কবিকণ্ঠর কবিতা কেন্দ্র। উনিশ শ’ আটাত্তর সাল, তখন সরকারি ছুটির দিন ছিল রোববার, আমরা শুক্রবারে আসর বসাতাম। চিশতি ভাইকে যে আমরা কত জ্বালিয়েছি তা আজ বুঝতে পারছি।

৩. শহরের লাইব্রেরিগুলোর ভেতর অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি ছিল অন্যরকম। রবীন্দ্র-নজরুল জš§জয়ন্তী, পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্র-নজরুল মৃত্যুবার্ষিকীসহ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা, জাতীয় আবৃত্তি উৎসব এসব ছিল লাইব্রেরির আলাদা আকর্ষণ। ১৯৭৮ সালে অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি উদযাপন করেছিল বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার দ্বিশত বর্ষ স্মারক অনুষ্ঠান। প্রায় পনের দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল। আর ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে লাইব্রেরি হয়ে উঠেছিল আমাদের ঘর-বাড়ি।

পনের দিনের সেই কর্মযজ্ঞের জড়িত কর্মীদের বোধকরি লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ একদিন দুপুর বেলা খিচুরি খাইয়ে সেলিব্রেট করেছিলেনÑ তার হিসেব জাহেদী ভাই দিতে পারবেন। শ্রদ্ধাপদ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন জাহেদী সেই অনুষ্ঠানমালার জন্য চমৎকার একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত রচনা করেছিলেন, এখনও সে গানের দু’টি চরণ গেঁথে আছে মনে : ‘প্রাণের শিখা, প্রাণের প্রদীপ সেইতো পাঠাগার/তিমিরে যখন মগ্ন ভুবন তখন জ্বালায় আলোর দুয়ার। ’ Ñহ্যাঁ, জেলা শহর পাবনার অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি সেরকমই একটি পাঠাগার। পাবনার প্রাণের শিখা, পাবনার তিমির ভুবনে খুলে দেওয়া আলোর দুয়ার। ১৯৭৮ সালে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার দ্বিশত বর্ষপূর্তি স্মারক ওই অনুষ্ঠানের মূল সেমিনারে একঘণ্টার একটি জাদুকরি বক্তৃতা দিয়েছিলেন পাবনা এবং দেশের কৃতী সন্তান অধ্যাপক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

বই সংশ্লিষ্ট বাংলা মুদ্রণ শিল্পের গোড়াপত্তন থেকে ক্রমবিকাশকে তিনি সেদিন পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে ছবির মতো করে তুলে ধরেছিলেন। যেন বক্তৃতা নয়, চোখের সামনে একটি চলমান চলচ্চিত্রের ধারাভাষ্য শুনেছিলেন সমস্ত মিলনায়তনের শ্রোতারাÑ পিনপতন নিঃস্তব্ধতায়! দেখতে দেখতে সে ঘটনার চব্বিশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে আজ। দুই হাজার সালে একটি নতুন সহস্রাব্দে পা রেখে বই বিষয়ে লেখা একটা সংশয়াচ্ছন্ন দোদুল্যমানতার ব্যাপার। বই কি ভবিষ্যতের জাদুঘরে ঠাঁই খুঁজবে? কম্পিউটারের বাটন টিপলে আজ ঘরের ভেতর উপচে পড়ে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসসহ পৃথিবীর বড় বড় গ্রন্থাগার। আজ পৃথিবীর এ-মেরু ও-মেরু এ-প্রান্ত ও-প্রান্ত একাকার হয়ে মিশে যায় নিমেষে।

পূর্বে যেখানে নোবেল কিংবা পুলিৎজার কিংবা বুকার প্রাইজ পাওয়া বইটির চেহারা দেখার সৌভাগ্য হত ৫/১০ বছর পর আজ সেখানে পরদিনই সেটা ইন্টারনেট ওয়েব সাইটে সহজলভ্য। এ ধরনের একটি কালিক বাস্তবতায় চাই সচেতনতা, বই পাঠক এখন অনেক বেশি গতিশীল অস্তিত্ব। এক আলমারী রবীন্দ্র রচনাবলী এখন মাত্র একটি ডিভিডিতে বহন ও সংরক্ষণ যোগ্য। প্যাপিরাসের পৃষ্ঠা থেকে তাল পাতার পুঁথি, কাগজের বই থেকে সিডি, ডিস্ক, পেন ড্রাইভÑ বইয়ের এই বিবর্তনে লাইব্রেরিকে এখন হতে হবে প্রযুক্তির স্পর্শধন্য। শুধুমাত্র হাত-পা চালিয়ে এই অগ্রযাত্রায় শরিক হবার উপায় নেইÑ এ যাত্রায় প্রয়োজন মেধা ও মনন।

প্রয়োজন প্রজ্ঞারও। আমার এক শ্রদ্ধাভাজন বলেন, ‘পাবনায় মরেও সুখ। ’ ‘সেটা কি রকম?’ এ প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর, ‘পাবনার শ্মশান এবং গোরস্থান দু’টিই খুব সুন্দর। যা বাংলাদেশের অন্য কোনও শহরে দুর্লভ। ’ তার কথার বেশি ভাগটাই বোধ হয় সত্য।

আমি সেই সুহƒদের কথার অনুকরণে বলতে চাই, যেন বলতে পারিÑ ‘পাবনায় বেঁচেও সুখ। ’ ‘কী রকম?’ এ প্রশ্ন যদি কেউ করে, তবে যেন বলতে পারিÑ ‘এ শহরের ঠিক হƒৎপিণ্ডের স্থানটিতে অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি নামে একটি অসাধারণ সুন্দর পাঠাগার আছে, যে পাঠাগারটি আমাকে সারা পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত করে, যার প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আমি পৃথিবীকে অনুভব করতে পারি। অনুভব করতে পারি নিজের নাড়ির স্পন্দন পৃথিবীর নাড়ির স্পন্দনের সঙ্গে ওতপ্রোত। ’ পাঠক, আজ পাবনা শহরের বুকে একটি সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি হয়েছে অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি, বনমালী ইনস্টিটিউট, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চ, প্রেসক্লাবÑ এসবকে ঘিরে; সেটা হতে পেরেছে ভগ্নপ্রায় অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সুদৃশ্য ভবনটি নির্মাণের পথ ধরে। লাইব্রেরিটি তার উদ্যোগে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আধুনিক ব্যবস্থাপনায় সমৃদ্ধ।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে হƒৎপিণ্ডের মতই। শুধু পাবনা শহরের হƒৎপিণ্ডটিকেই তিনি রক্ষা করেননি, তিনি রক্ষা করতে প্রয়াসী ছিলেন বাংলাদেশের শিল্পের প্রাণও। যে কথা দেশের শিল্পপতিরা অকুণ্ঠচিত্তে বলছেন তাঁর স্মরণ সভায়। আশি দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনের শহীদদের আÍত্যাগকে স্মরণ করে একটি কবিতা লিখেছিলামÑ ‘মৃত্যু অর্থ অমানিশা ভাঙা আলো/ কিছু মৃত্যুতে বিদ্যুৎ চমকালো। / মৃত্যু অর্থ কখনো সূর্যোদয়/ আজকে মৃত্যু আগামীকালের জয়।

’ মৃত্যুর সূর্যোদয়ে নতুন বোধের জাগরণ ঘটুক দেশব্রতী সবার বুকেÑ তাঁর মৃত্যুতে এই প্রেরণা বোধ করি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।