ইন্ডিয়াতে অপুষ্টি এবং শিশু মৃত্যুর হার এশিয়াতে সর্বোচ্চ।
ইন্ডিয়ার রাজধানী নয়াদিল্লী এবং আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ বস্তিতে বসবাস করে। এই সমস্ত বস্তিবাসী শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের পক্ষে দুইবেলা খাদ্য সংগ্রহ করা একটা বিলাসিতার ব্যাপার। এই সমস্ত বস্তির শিশুগুলিকে দেখলে বয়সের তুলনায় খুবই ছোট দেখায়।
ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাই তাদের জীবন, আর অপুষ্টি তো তাদের কাছে একটি অপরিচিত শব্দ।
অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীর উপর সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট এই করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। দারিদ্র, অপুষ্টি ইত্যাদি ইন্ডিয়ার জন্য একটি সুপরিচিত সত্য। প্রায় দুই দশক আগে পর্যন্ত ইন্ডিয়া বিশ্বের দরিদ্রতর দেশগুলির মধ্যে স্থান লাভকারী একটি অন্যতম রাষ্ট্র। কিন্তু বৈপরীত্যটা হচ্ছে, ইন্ডিয়া এখন ক্রমবর্ধমান দ্রুততম ডলার অর্জনকারী রাষ্ট্র।
অন্যদিকে কোটি কোটি ইন্ডিয়ান এখনও চরমভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতি সাম্প্রতিক অপুষ্টির উপর একটি গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শতকরা ৪২ ভাগ ইন্ডিয়ান শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা কিনা ইন্ডিয়ার চরম দারিদ্রকে প্রকটভাবে প্রকাশ করেছে। সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ, আর দ্বিতীয় দ্রুতগতির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ ইন্ডিয়ার বৈপরীত্য, সমস্যা এবং সংকটকেই চরম সত্যরূপে প্রকাশ করে। এখানে গণতন্ত্র অপুষ্ট জনগণের দিকে তাকিয়ে বিদ্রূপ করে, আর অপুষ্ট জনগণ গণতন্ত্রের দিকে সকরুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
ইন্ডিয়া হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সবচাইতে বৃহৎ দেশ। ইন্ডিয়ার অর্থনীতির গালভরা গল্প, এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি-হীনতা ম্লান করে দেয়। সামরিক আর অ-উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস না করেই, ইন্ডিয়ান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা আইন নামে একটা আইন পাশ করেছে। কিন্তু এই আইন কোন সুরক্ষা দিবে বলে মনে হয়না। ইন্ডিয়ার কোটি কোটি মানুষকে অপুষ্টির হাত থেকে বাচাতে হলে, সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে হবে।
আর সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে হলে, প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ইত্যাদি প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে। প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্কই, ইন্ডিয়ার জনগণের অপুষ্টি দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।