অবসর বোর্ডে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার আবেদন পড়ে আছে। টাকা না থাকায় ১৬ হাজার শিক্ষকের অবসর দেয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক আসাদুল হক গতকাল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় ২২ জন শিক্ষকের এক চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। পরে করিমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দ্রুত সময়ে পৌঁছে দেয়া হবে।
শিক্ষকদের হয়রানি কমিয়ে আনার জন্য অবসরের কার্যক্রম অনলাইন করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনলাইন কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষকদের আবেদন থেকে শুরু করে টাকা পাওয়া পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া সহজ হবে। ফলে শিক্ষকদের হয়রানি অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন। করিমগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ উদ্দিন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বর্ডির সভাপতি আবুল হাশেম চৌধুরী. কিশোরগঞ্জ জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদ উল্লাহ, করিমগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোক্তার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কামাল আজাদ প্রমুখ। আসাদুল হক বলেন, অর্থ সঙ্কটের কারণে শিক্ষকদের পেনশনের টাকা পেতে দুই থেকে তিন বছর লেগে যায়। তিনি বলেন, বিশেষ ব্যবস্থায় করিমগঞ্জ উপজেলার ২২ জন শিক্ষককে প্রায় ১ কোটি টাকা অবসর ভাতার চেক প্রদান করছি। আগামীতে দেশের সব শিক্ষক যাতে দ্রুত সময়ে এই পেনশনের টাকা পান, সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সদস্যসচিব আসাদুল হক বলেন, অবসর বোর্ডে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার আবেদন পড়ে আছে।
প্রতিদিনই ৬ থেকে ৭শ’ আবেদন পড়ছে। সারা দেশের মোট ২৬ হাজার ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের অধীনে। তিনি বলেন, অনলাইন কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষকরা ইউনিয়ন পরিষদেই সেবার মাধ্যমে তাদের সর্বশেষ খবর পেয়ে যাবেন। তাদের আর ঢাকা আসতে হবে না। অবসরের টাকা অনুমোদিত হলেই তাদের টাকা চেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেই আমরা এর সব কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবো। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষা কর্মকর্তার অবসরভাগ্য ঝুলে আছে। অবসর সুবিধা বোর্ড এ বাবদ বর্তমান সরকারের কাছে ৬শ কোটি টাকা চেয়েছিল। একাধিকবার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী জুলাই থেকে প্রতিমাসে অবসর সুবিধার জন্য দরকার হবে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাঁদার টাকা থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। প্রতিমাসে আরও দরকার হবে ৪৪ কোটি টাকা। তা না পেলে অবসর ভাতার জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হবে আবেদনকারীদের। সরকার এ ব্যবস্থা আপডেট করার জন্য অনলাইন করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।