আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষ-কাপুরুষ-অপুরুষ-প্রতিবন্ধী জন্মদাতা!!!!!!

Cheiro Sharier এর বাংলা ব্লগ প্রথম পর্ব- (১) রাত ১টা- বাবার বারো’টা- হটাৎ ষ্টোক- চিৎকার চেচামেচী কান্নার শোরগোলে এম্বুলেন্স ডাক্তার মেডিকেল কিন্ত কৈ পুরুষ বলতে বাবা ছাড়া কেউ নেই সংসারে পুরুষ না কাপুরুষ বা অপুরুষ কি বলা যায় তা’রে? “কন্যা ছাড়া জন্ম দিতে পারেনি যে কোন পুরুষেরে”! এ রাত বিরাতে কন্যা বের হবে ঘর হতে?! তারে তো রেখেছিলাম ঘরে আবদ্ধ করে- আর কি’বা জানে সে? পথঘাট ও যে চেনেনা ভালো করে ছেলে হতো যদি! - ধরে আনতো জাগিয়ে মহল্লার ট্যাস্কি’টারে............ (২) অসুস্থ পিতা কাত্‌রাচ্ছে মেডিকেলের বেডে কন্যা মেহমানের মত! করে আসবে? তাতে ও যে স্বামী-শশুর বাড়ীর অনুমতি লাগে ছেঃ ছেঃ ছেঃ বৃদ্ধ পিতা-মাতা অনাহারে অর্ধাহারে শেষ বয়সে জামাই বাবাজী দিতে পারে ভিক্ষা-দয়া পরবশ হলে সুজোগ পেলে খোটা দিতে ছাড়বেনা মোর অবলা মেয়েটারে তাই ঘৃনা করে পিতা-মাতা সন্তান “কন্যা” হলে বাস্তবতার নিরিখে............................................................ (৩) “কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা”হতে মুক্তি পেতে ঘরে বদ্ধ করে-কত শত শৃঙখলে তারে পুঁথিগত বিদ্যা শিখিয়ে-ফেয়ারনেস ক্রীম মাখিয়ে একখান মাল বানিয়ে লাজুক উজবুক চেহারাতে উপঢোকন তুলে দেয় পন্যরুপে- “নে বাবা চাষাবাদ কর -যেমন ইচ্ছে তোর”……………….!!! ছেঃ ছেঃ ছেঃ হয়তো সেটাই ঠিক ছিলো আইয়ামে জাহেলিয়াতে......................................................... দ্বিতীয় পর্ব- (৪) “এবরশন” করার জোড় যুক্তি ছিলো মনে যখন দেখেছিলাম “আলতা -স্নো” আলট্রাসোনোগ্রামে সে ভয় যা বাস্তবতার নিরিখে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিলো আমার মনুষত্বকে-পৈরোষত্বকে মানবিকতাকে শেষ পর্যন্ত দ্বিধাগ্রস্ত বির্ধস্তত মনটাকে হারিয়েছি পণ করে কন্যা নহে এ সন্তান আমার- গড়বো মানুষরুপে আজ আমার সে “নৌশীন” ক্লাস সেভেনে পড়ে………………………. তৃতীয় পর্ব (৫) সন্তান আমার সাইক্লিং করে ফুটবল খেলে ক্রিকেটে ও কম নয় সুজোগে জিম করে “দৌড়” ছেলেদের সাথে সমান তালে পুরুষের ইউনিফর্ম পড়ে……………………………. ব্যান্ডের গান গায়-পারদর্শী কোরান পড়ায় পথ ঘাট চেনে সব-মাছ কেনে টিপে টিপে! হিসেব দেয় আমায়- জাবেদা-নগদানে আইন-আদালত-কোর্ট- পুলিশ ষ্টেশন থেকে সংসদ জানে অনেকটা-করছি চেষ্টা-বাস্তবতার প্রয়োজনে (৬) প্রায়শঃ বিব্রত-বিডম্বনার শিকার হতে হয় তাকে পরিবর্তিত হয়েছি আমি-হয়নি সমাজ-আ’জো বড্ড সেকেলে “ছেলেরা” বন্ধু না ভেবে - আই লাভ ইউ বলে! আর মেয়েরা বলেঃ আরেব্বাস্‌! তুমি ছেলে না মেয়ে!!! আগুন্তুকরা অবাক দৃষ্টিতে- লিংগ ভেদাভেদে দ্বিধায় পড়ে মুরুব্বি’রা বলে “যা গেছে গোল্লা” বাঘ না ছাগলের বাচ্চা হাঃ হাঃ হাঃ হাসছি না কাঁদছি রাগে ক্ষোভে দুঃখে…………………. কিন্তু বুঝি হায়-বিড়ম্বনার চাপে-সে ও ভোগে কভু হতাশায়-শুধু মেয়ে বলে সমাজের অসামাজিকতায়………………………….. (৭) নৌশীন সাথী হারা সমসাময়িক মেয়ে যারা বাবা-মা বড় কড়া!!! তথাকথিত রীতি’র শৃঙখলে বন্দী তারা লেয়ার-বয়লার মুরগীর মতো তাপমাত্রা দিয়ে করছে বড় যেন অপেক্ষার পালা মাল চালান দিয়েই দায় সারা................................................! শেষ পর্ব কিন্তু না, আমি হতে চাই না- সে জন্মদাতা ঘৃনা করি হায় সে স্ববিরোধী পিতা-মাতা যারা স্বীয় ভাবে দূর্ভাগা আর হত্যা করে সন্তানের “মানুষ” নামের স্বীয় সত্বাকে সন্তান আমার পরিবারের ভাবি কর্ণধার- দেশ-দশ সমাজের করবে উপকার নয় লিংগ ভেদাভেদে স্বীয় শির উঁচু করে-মানুষের পরিচয়ে কিন্তু এই আমি ও যেন ক্রমেই কুকড়ে যাচ্ছি সেকেলে সমাজের অপচ্ছায়ায় অপরাধ এটাই- আমি চাইনা সে দূর্ভাগা পিতা হতে মোর কলিজার টুকরা সন্তানেরে দেখতে চাইনা কভু অবলা নারীরুপে………………………………………

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।