আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাপ , গার্লফ্রেন্ড আর বউ..............................

আজ কয়েকদিন থেকে আমি সাপ , গার্লফ্রেন্ড আর বউ এর মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিনা। কেন পাচ্ছিনা ? ১) ছোটবেলায় সাপের খেলা দেখতাম। খেলা দেখতে ভয় লাগতো, তারপরও দেখতাম। মনে মনে ভাবতাম সাঁপুরের কত সাহস, সাপ নিয়ে খেলা করে!!!!!!! একবার কামড় দিলে তো বাংলা সিনেমার মত কোন কথা নয়, সাথে সাথে শেষ। কেমন করে সাপ ধরে, কেমন করে পোষ মানায়, কেমন করে খেলা দেখায়, তাদের কি ভয় লাগেনা? একদিন এক সাঁপুরে জিজ্ঞাসা করলাম- “চাচা আপনাদের সাপ ধরতে ভয় লাগে না, সাপের খেলা দেখাতে আপনার ভয় করেনা?” তিনি উত্তরে বললেন, সাপ ধরাটা অভ্যাস হয়ে গেছে।

সাপ ধরার সময় সাপের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হয়। বিষ দাঁত ভেঙে দিলে আর ভয় করতে হয় না। তবে সাপ সুযোগ পেলে কামড় দিতে চায়। তার কিছুদিন পর শুনলাম, সাপের খেলা দেখাতে গিয়ে এক বালক সাপুরে মারা গেছে। হয়তো সে বিষ দাঁত ভাঙতে পারেনি।

সাপ সুযোগ পেয়েছে, কামড় দিয়ে দিয়েছে। (তবে এই সাপেরই মত আরেক খেলা, আমাদের জীবনে খেলা খেলতে হয়, এটা অনেকে বুঝেন আবার অনেকে হয়তো বুঝেন না। ) ২) বিয়ে করলে বাসর রাত করতে হয়, আর এই বাসর রাত প্রত্যেক নর-নারীর হৃদয়ের স্বপ্ন- হৃদয়ের কল্পনা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে বাসর রাত কি? কম-বেশি সবাই এর উত্তর জানে। তবে আমার উত্তরটা একটু ভিন্ন ধাচের।

আমার কাছে বাসর রাত একটা খেলার ময়দান। যেখানে খেলা হয় রাতে। এখানে একজন বর-আর একজন কনে মোট দু’জন খেলোয়ার থাকে। কোচ হিসেবে থাকে বন্ধু-বান্ধবীরা। খেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিড়াল মারা।

দু’দলের একটাই শ্লোগান বিড়াল মার বাসর রাতে। এই বিড়াল হচ্ছে অদৃশ্য এক সুযোগ। যে আগে দেখতে পেয়ে মারতে পারে, সে হয় সারাজীবনের জন্য জয়ী(মোটামুটি)। কোচরা অর্থাৎ বন্ধু-বান্ধবীরা সে বিড়াল মারার জন্য অনেক বুদ্ধি শিখিয়ে দেন। কিন্তু বাসর রাতে সেগুলো একটাও কাজ করেনা।

কারণ সেগুলো মনে থাকেনা। নিজের উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে খেলা খেলতে হয়। যদি মেয়েরা হেরে যায়, তারপরও তারা একটা সুযোগ নিয়ে থাকে। জীবনের কোন অংশে সুযোগ পেলে কামড় দিয়ে দিবে, সেক্ষেত্রে বাসর রাতের বিড়াল মারাটা পুরুষদের জন্য বৃথা হয়ে যায়। তাই বরদের সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হয়, যেন বউ কামড় দিতে না পারে।

(এইবার যেটা বলব, সেটা আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনা। ) ৩)(বি:দ্র: এখানে কোন ভন্ড প্রেমের কথা বলছি না। ) অনেক সময় দেখি, গার্লফ্রেন্ড তার বয়ফ্রেন্ডকে সবসময় ঝাড়ির মধ্যে রাখে। (বেশি দেখা যায়) আবার দেখা যায় বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডকে ঝাড়ির মধ্যে রাখে। (নেগলটে করার মত) এখন কথা হচ্ছে এই যে তারা একজন আরেক জনকে আন্ডার কন্ট্রোলে রাখে, এটা কিভাবে করে? কখন তারা বিষ দাঁত ভাঙে বা বিড়াল মারে এটা বুঝতে পারিনা।

মেয়েদেরকে কথায় পরাজিত করা সহজ, কিন্তু তাদের কুটিল বুদ্ধির সাথে যুদ্ধ করে জয় ছিনিয়ে আনা অসম্ভব। গার্লফ্রেন্ড সাজানো গুছানো কথা দিয়ে ম্যানেজ করা হলেও পরে সুযোগ বুঝে ফোঁস করে কামড় দিয়ে দেয়। আমার মনে হয় মেয়েদের মনে প্রতিশোধের আগুন ছেলেদের চেয়ে বেশি দাউ দাউ করে জ্বলে। তারা মুখে প্রকাশ করে না কাজে-কর্মে দেখিয়ে দেয়। পরিশেষে- সবকিছু দেখে আমি সাপ , গার্লফ্রেন্ড আর বউ এর মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।