জামাল বাসায় ফিরল গভীর রাতে ততক্ষণে অনন্যার দু'চোখে ঘুম নেমে এসেছে, তাই জামালকে কয়েকবার কলিং বেল এ টিপ দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। তারপর অনন্যা দরজা খুলে দিল।
জামাল জিজ্ঞেস করল, তুমি ঘুমিয়েছিলে নাকি?
অনন্যা রেগে গেল তার ইচ্ছা হলো একবার বলবে শীতের রাত, এত রাত পর্যন্ত কেউ বাইরে থাকে? কিন্তু মুখে কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে খাবার বাড়িয়ে দিল। জামাল খাওয়া শেষ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
অনন্যা মৃদুকন্ঠে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি খুব ক্লান্ত?
কেন বলো তো?
তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।
বলো।
তুমি অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকো আমার এতরাত পর্যন্ত জেগে থাকতে খুব কষ্ট হয়। তুমি সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে পারো না।
আমার অনেক কাজ, ব্যবসা আর পলিটিক্স সবকিছু নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত থাকি তাই ফিরতে অনেক দেরি হয়।
তোমার এত কী কাজ যে তুমি গভীর রাত পর্যন্ত বাসার বাইরে থাকো?
আমার কাজ তুমি বুঝবে না। তুমি আমার স্ত্রী তোমার কাজ ঘর সামলানো, সংসার দেখা। আমাকে বড় হতে দাও প্লিজ, আমি এখন রাজনীতি করছি, জনগণের সেবার কাজে নেমেছি, আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান হবো, এম.পি হবো আরো অনেক বড় নেতা হবো। আমার অনেক টাকাও প্রয়োজন, অঢেল অর্থ সম্পদ, লাক্সারিয়াস বাড়ি-গাড়ি সব।
অনন্যা জামালের কথার প্রথম দিকে একটু খুশি হলেও ধীরে ধীরে তার মুখ কালো মেঘে ঢেকে গেল।
অনন্যা ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে হলেও তার চাল চলন সাদাসিদে। জামালের রাজনীতি করার ইচ্ছা অনন্যার মনপুত হলেও তার অর্থ বিত্তের নেশার কথা জেনে অনন্যার বুক কেঁপে উঠল। সে বলল, রাজনীতি করো সেটা ঠিক আছে, ব্যবসা করো সেটা ঠিক আছে, উন্নতি করো সেটাও ঠিক আছে কিন্তু তোমার সীমাহীন টাকা-পয়সার মালিক হওয়ার ইচ্ছাটা আমি মেনে নিতে পারছি না।
জামাল কোন কথা বলল না, শুনেও না শোনার ভান করে চুপ করে রইল।
অনন্যার কথা শুনতে জামালের আগ্রহ নেই বুঝতে পেরে অনন্যা আর কোন কথা না বলে শুয়ে পড়ল।
অনন্যার চোখে ঘুম নেই। সবসময় তার নিজেকে নিঃসঙ্গ এবং সবচেয়ে অসুখী মনে হয়। অনেক সময় জামালকে তার সন্দেহ হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর হতে চলল কিন্তু জামাল একদিনও তাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যায়নি। দু'জনের সম্পর্ক যেন শুধু আইনের শিকলেই বাঁধা।
জামাল সেই সকালে বেরিয়ে যায় আর গভীর রাতে বাসায় ফিরে। এত দীর্ঘ সময় সে কি শুধু ব্যবসা আর রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকে নাকি অন্য কোন নারীর উপস্থিতি সবসময় তার হৃদয়ে বাস করছে সে জন্য সে অনন্যাকে ভালোবাসে না। শুধু মাত্র স্বামী-স্ত্রীর আনুষ্ঠানিকতাই পালন করছে। এমনিভাবে নানান কথা ভাবতে ভাবতে অনন্যা এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল।
চলবে...
জামাল বাসায় ফিরল গভীর রাতে ততক্ষণে অনন্যার দু'চোখে ঘুম নেমে এসেছে, তাই জামালকে কয়েকবার কলিং বেল এ টিপ দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।
তারপর অনন্যা দরজা খুলে দিল।
জামাল জিজ্ঞেস করল, তুমি ঘুমিয়েছিলে নাকি?
অনন্যা রেগে গেল তার ইচ্ছা হলো একবার বলবে শীতের রাত, এত রাত পর্যন্ত কেউ বাইরে থাকে? কিন্তু মুখে কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে খাবার বাড়িয়ে দিল। জামাল খাওয়া শেষ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
অনন্যা মৃদুকন্ঠে জিজ্ঞেস করল, তুমি কি খুব ক্লান্ত?
কেন বলো তো?
তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে।
বলো।
তুমি অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকো আমার এতরাত পর্যন্ত জেগে থাকতে খুব কষ্ট হয়। তুমি সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতে পারো না।
আমার অনেক কাজ, ব্যবসা আর পলিটিক্স সবকিছু নিয়ে আমি খুব ব্যস্ত থাকি তাই ফিরতে অনেক দেরি হয়।
তোমার এত কী কাজ যে তুমি গভীর রাত পর্যন্ত বাসার বাইরে থাকো?
আমার কাজ তুমি বুঝবে না।
তুমি আমার স্ত্রী তোমার কাজ ঘর সামলানো, সংসার দেখা। আমাকে বড় হতে দাও প্লিজ, আমি এখন রাজনীতি করছি, জনগণের সেবার কাজে নেমেছি, আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান হবো, এম.পি হবো আরো অনেক বড় নেতা হবো। আমার অনেক টাকাও প্রয়োজন, অঢেল অর্থ সম্পদ, লাক্সারিয়াস বাড়ি-গাড়ি সব।
অনন্যা জামালের কথার প্রথম দিকে একটু খুশি হলেও ধীরে ধীরে তার মুখ কালো মেঘে ঢেকে গেল। অনন্যা ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে হলেও তার চাল চলন সাদাসিদে।
জামালের রাজনীতি করার ইচ্ছা অনন্যার মনপুত হলেও তার অর্থ বিত্তের নেশার কথা জেনে অনন্যার বুক কেঁপে উঠল। সে বলল, রাজনীতি করো সেটা ঠিক আছে, ব্যবসা করো সেটা ঠিক আছে, উন্নতি করো সেটাও ঠিক আছে কিন্তু তোমার সীমাহীন টাকা-পয়সার মালিক হওয়ার ইচ্ছাটা আমি মেনে নিতে পারছি না।
জামাল কোন কথা বলল না, শুনেও না শোনার ভান করে চুপ করে রইল।
অনন্যার কথা শুনতে জামালের আগ্রহ নেই বুঝতে পেরে অনন্যা আর কোন কথা না বলে শুয়ে পড়ল। অনন্যার চোখে ঘুম নেই।
সবসময় তার নিজেকে নিঃসঙ্গ এবং সবচেয়ে অসুখী মনে হয়। অনেক সময় জামালকে তার সন্দেহ হয়। বিয়ের প্রায় এক বছর হতে চলল কিন্তু জামাল একদিনও তাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যায়নি। দু'জনের সম্পর্ক যেন শুধু আইনের শিকলেই বাঁধা। জামাল সেই সকালে বেরিয়ে যায় আর গভীর রাতে বাসায় ফিরে।
এত দীর্ঘ সময় সে কি শুধু ব্যবসা আর রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকে নাকি অন্য কোন নারীর উপস্থিতি সবসময় তার হৃদয়ে বাস করছে সে জন্য সে অনন্যাকে ভালোবাসে না। শুধু মাত্র স্বামী-স্ত্রীর আনুষ্ঠানিকতাই পালন করছে। এমনিভাবে নানান কথা ভাবতে ভাবতে অনন্যা এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল।
চলবে...
গডফাদার-০১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।