আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর যেন শিরোনাম না হয় কাঁদল ছাত্র,কাঁদল শিক্ষক

অদ্ভুত পৃথিবী এখন সময় এসেছে আমাদের এক হবার , সময় এসেছে জীর্নতা ভেঙ্গেদিয়ে ঘুরে দাড়াবার আর সময় এসেছে ছাত্রদের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার। আমরা আর চাইনা কোন ছাত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে বুয়েটের সনির ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বকর ছিদ্দিকর মত ছাত্রদের মৃত্যু কিংবা বাধনের সম্ভ্রমহানি । এবার মনে হচ্ছে সাধারন ছাত্রদের জেগেওঠার সময় তার জ্বলজন্ত উদাহরন হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন । আমি স্যালুট জানাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যারা ছাত্রলীগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।

ঐক্যবদ্ধ হলে যে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব তার নুমুনা দেখাল এই তরুন দেশ প্রেমিক ছাত্ররা। আর যেন শিরোনাম না হয় কাঁদল ছাত্র,কাঁদল শিক্ষক , কুয়েটের শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন ঐক্যবদ্ধ হোন দেখিয়ে দিন আমরাও পারি , এই কুত্তার বাচ্চাগুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিন আপনাদের পাশে থাকবো আমরা । কুয়েটের ঘটনা পরে আমিও চোখে অশ্রু সংবরন করতে পারলাম না এই কুত্তার বাচ্চারা তাদের শিক্ষকদের মারে এবং এই কুত্তাগুলোর একটি উদ্ধৃতি “কিসের শিক্ষক মার”। এই অবস্থায় আমাদের কিছু একটা করা দরকার এক মাত্র উপায় সব ছাত্র-ছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন । এবার আসি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ,গত চার বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত থেকে আটটি আন্দোলোন হয়েছে এর মধ্যে ৩৭ তম ব্যাচের ছাত্র জোবায়ের হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেছে কারন এই আন্দোলনে সাধারন শিক্ষার্থীদের স্বতঃফুর্ত অংশগ্রহন ।

আমিও এই আন্দোলনে অংশগ্রহন কারী ছাত্র আমরা ছাত্র লীগের শত বাধা উপেক্ষা করে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি । গত পরশু থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হয় ওই দিন বিকেলে ভিসির অফিস ঘেরাও করা হয় , ওই সময় ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে আন্দোলন ছেড়ে ঢাকায় চলেযেতে বলে কারন আমি সেখানে প্রায় ২০ জনকে নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছিলাম। গতকাল থেকে আমাদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু হয় সকাল প্রায় ৯ টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীর ফোন আসে যাতে আমি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করতে বলি (কারন আমি বিশেষ একটি বিভাগের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করি)এবং আরও হুমকি আসে যেকোন মূল্যে ক্লাসে যেতে হবে তা না হলে খারাপ হবে। আমার সোজা উত্তর আমরা ক্লাসে যাচ্ছি না , পরে আমি শিক্ষকদের ফোনে জানিয়েদেই আমরা আজ ক্লাস করবো না এর পর আমাদের আন্দোলন চলতে থাকে আর চলছে ......। এখন সময় এসেছে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এক হয়ে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে ঐক্য বদ্ধ আন্দোলন করা ।

রাজনীতিবিদদের বাচাতে রাজনীতিবিদরা এগিয়ে আসে , পুলিশেকে-পুলিশ,চোর কে চোর,আমালাকে আমলারা ,সবাইকে তাদের সমগোত্রীয়দের বাচায় কিন্তু আমদের বাঁচাবে কে আমাদের কে বাঁচতে হলে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে ,আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।