আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ মার্চ চল চল ঢাকা চল চট্টগ্রামের জনসমুদ্রে খালেদা জিয়া

Click This Link বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি বীর চট্টলার জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে সরকার পতন আন্দোলনে ১২ মার্চ 'চল চল ঢাকা চল' কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এই লুটেরা বেইমানদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তিনি সরকারকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। বাধা দিলে অথবা কোনো ঘটনা ঘটলে দায় আপনাদের। তাই বাধা না দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। দেখবেন জনপ্রিয়তা কী শূন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে।

এত চুরি-চামারি, লুটপাট করলে, বিদেশি দালালি করলে কি আর মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়? বেগম খালেদা জিয়া ২৯ জানুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিলের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষার কারণে বড় কোনো কর্মসূচি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিজুড়ে সারা দেশে গণসংযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কর্মসূচি দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে ১০ অক্টোবর বিভাগীয় সদর অভিমুখে রোডমার্চের যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সূচনা ঘটিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, গতকাল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে এসে তার পরিসমাপ্তি টানলেন। রবিবার ঢাকা থেকে প্রায় ছয় সহস াধিক গাড়ির বহরযোগে রোডমার্চ করে পথে কুমিল্লা, ফেনী পেরিয়ে চট্টগ্রামে এসে সরকারের বিদায় ঘটাতে সারা দেশের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সে াত ঢাকামুখী করার কর্মসূচি দিলেন। বেগম খালেদা জিয়া শেষ বিকালে জনসমুদ্রে পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় সরকারের তিন বছরের দুঃশাসন, ব্যর্থতা, লুটপাট, গুম-হত্যা, নির্যাতন, ওয়াদাভঙ্গের রাজনীতি, ভারতনির্ভরশীলতা, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, সেনাবাহিনী ধ্বংসের চক্রান্ত, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, এরশাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাসহ চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বেগম খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপ হলো লোক দেখানো। রাষ্ট্রপতি কিছু করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ যা বলবে তা-ই করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা আওয়ামী লীগ ঠিক করে রেখেছে। শুধু ইসিই নয়, আগামী দিনে আবারও কীভাবে ক্ষমতায় আসবে সে পরিকল্পনাও তারা করে রেখেছে।

'৮৬ সালে এই চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনা বলেছিলেন এরশাদের সঙ্গে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান হবে। এখান থেকে ঢাকায় ফিরে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে বসে, আর এরশাদ সরকার গঠন করেন। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এরশাদকে বিরোধী দলে বসিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু এ ধরনের কোনো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না। '৭৩ সালে আওয়ামী লীগ হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে এনেছিল।

তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, হাবিবুর রহমান এবং লতিফুর রহমানের আমলে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। তারা সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন করেছেন।

কিন্তু ফখরুদ্দীনের সরকার ছিল অবৈধ। তিন মাসের বদলে দুই বছর ক্ষমতায় থেকে লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপি সরকার আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কারা আন্দোলন করেছিল? এই শেখ হাসিনা সেদিন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখন জামায়াত ছিল তাদের কাছে ভালো আর এখন যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার কর্তৃক ভারতের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার প্রামাণ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, দিলি্লর শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকার জন্য নয়, দেশ স্বাধীন করেছি স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য।

স্বাধীনতার পর ভারত চায়নি বাংলাদেশের নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকুক। এ সরকার সেনাবাহিনীকে শেষ করে রক্ষীবাহিনীর মতো একটি বাহিনী করতে চায়। নামমাত্র একটি সেনাবাহিনী থাকবে আর রক্ষীবাহিনী পরিচালনা করবে ভারত। তারা ভালো ভালো সেনা অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে। অনেক সেনা অফিসারকে গুম, হত্যা, গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তারা সেনাবাহিনীকে ভারতের আজ্ঞাবহ পুতুল বাহিনীতে পরিণত করতে চায়। তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এবং বিডিআরকে ধ্বংস করার জন্য ভারতের দিকে ইঙ্গিত করেন। খালেদা জিয়া বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আসল তদন্ত হবে। জড়িতদের বিচার করা হবে। আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে যেসব কথা দিয়েছিল ক্ষমতায় এসে সব রক্ষা করেছে।

কথা দিয়েছিল ট্রানজিট দেবে, ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়েছে। তাদের জন্য রাস্তা করতে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছে। ওই রাস্তা বাংলাদেশের কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তারা আমাদের দেশের ওপর দিয়ে কী নিয়ে যাবে, তা দেখা যাবে না। এই চট্টগ্রাম বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

বেগম জিয়া চট্টগ্রামের জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন_ আপনারা এ বন্দর ব্যবহার করতে দেবেন? জবাব আসে 'না'। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেলানীর মতো কিশোরী মেয়েকে ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল, এই পুতুল সরকার তার প্রতিবাদ করেনি। শেখ হাসিনাকে 'হাসুজি' হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে হাসুজির এত খাতির তাই ভাবলাম আমরা কিছু পাব। তিস্তা চুক্তি হলো না। প্রটোকল না মেনে জামদানি, ইলিশ, মিষ্টি নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেলেন মমতার কাছে।

তাতে মমতা নড়লেন না। বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব? কেউ বলে হাসু, কেউ বলে মমতা দিদি। এত সম্পর্ক তবুও আমরা কিছু আদায় করতে পারিনি। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, আপনাদের সম্পর্ক করতে হবে জনগণের সঙ্গে। শুধু নিয়ে যাবেন, কিছু দেবেন না তা হবে না।

সমাবেশের শুরু থেকে শেষাবধি ক্ষণে ক্ষণে উত্তাল তরঙ্গের মতো পরিবেশ কাঁপিয়ে স্লোগান-ধ্বনি উঠছিল 'এ মুহূর্তে দরকার, খালেদা জিয়ার সরকার'। এ স্লোগানের প্রতি দৃষ্টি টেনে বেগম জিয়া বলেন, এ স্লোগান নয়। স্লোগান হবে_ 'এই মুহূর্তে দরকার জনগণের সরকার'। আমরা ফেরেশতা নই মানুষ। অতীতে আমাদের কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে।

অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করব। খালেদা জিয়া বলেন, তারা তিন বছরে দেশ ও মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি। নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করেনি। তিনি বলেন, এখন ডাল ১২০ টাকা, তেল ১৫০ টাকা, মোটা চাল এক কেজি ৩৫-৪০ টাকা। মানুষ খেতে পারে না।

অন্যদিকে মন্ত্রী-এমপিরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানদের বিয়ে দেন। তিনি বলেন, ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার ওয়াদা করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দিয়েছি কি? এখন বিদেশে তাদের কোনো বন্ধু নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বিদেশ থেকে মানুষ ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আর আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আজকে সারা দেশে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। বিনা টেন্ডারে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট নিজেদের দলের লোকদের দেওয়া হয়েছে। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে গেছে তারা।

বিদ্যুতের এই ভর্তুকির জন্য দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের মানুষও বিদ্যুৎ পায় না। সরকারের পরিকল্পনা হলো শিল্পকারাখান বন্ধ হবে আর ভারতের লোকেরা এসব কিনে নেবে। যারা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়েছেন, বিদ্যুতের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে পারছেন না।

খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসনের ইতিহাস, গণতন্ত্র ধ্বংসের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষ হত্যার ইতিহাস, দুর্ভিক্ষের ইতিহাস। স্বাধীনতার পরে লালবাহিনী, নীলবাহিনী, রক্ষীবাহিনী গঠন করে তারা ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী হত্যা করেছিল। সিরাজ সিকদারকে হত্যা করেছিল। একদিকে হত্যাকারীদের বিচার করবেন, অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেবেন, তা হবে না।

তিনি বলেন, এখন প্রতিনিয়ত মানুষ গুম হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অফিসারও গুম হচ্ছে। লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৯৫ সালের দৈনিক ইনকিলাবের একটি কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, এই পত্রিকায় লেখা রয়েছে 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না : শেখ হাসিনা'। এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছি, দোষের কী।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য শেখ হাসিনা জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। তখন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী ছিল না, ভালো ছিল। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ কোনো উন্নয়ন করেনি। যা উন্নয়ন হয়েছে সব আমাদের সময় হয়েছে। কর্ণফুলী সেতু, গোমতী সেতু, ভৈরব সেতু, যমুনা সেতু, লালন সেতুসহ সব বড় বড় সেতু আমরাই করেছি।

পদ্মা সেতু দুর্নীতির কারণে এ সরকার করতে পারেনি। আমরা মাওয়া ও দৌলতদিয়ায় দুটি পদ্মা সেতু করব। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে তোমাদের জন্য কাজ করব। আমরা নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলব। ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয় বরং একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলব।

যাদের চাকরি গেছে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে রোডমার্চকে ঘিরে আলোড়িত বাণিজ্যনগরীতে ফজর থেকেই মিছিল আর স্লোগানে উত্তাল আবহ ছড়িয়ে পলোগ্রাউন্ডমুখী মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। কাল প্রভাতে এ নগরীর মানুষের ঘুম ভেঙেছে স্লোগানের কোরাস নিনাদে। সকাল ১০টার মধ্যেই নারায়ে তাকবির ধ্বনি তুলে ঊর্মির মতো মিছিলের পর মিছিল এসে বিশাল পলোগ্রাউন্ড ময়দান জনারণ্যে পরিণত হয়। জনসভা শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা আগেই মাঠ এবং আশপাশে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

শহরের সব অলিগলি সড়কমালা ছাপিয়ে মানুষের সে াত ছিল জনসভা ময়দানমুখী। শহরজুড়েই ছিল মাইক আর ডিজিটাল ডিসপ্লে। প্রবীণরা বলেছেন এত বড় জনসমাবেশ আর দেখেননি। সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন মঞ্চে দাঁড়িয়ে জমায়েতের শেষ কোথায় তা দেখতে গিয়ে দৃষ্টি খেই হারিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত উত্তোলন করেন তখন এমন এক দৃশ্যপট রচিত হয় যেন এ সমাবেশমঞ্চের অদূরে বহমান বঙ্গোপসাগরের ঢেউরাশির শব্দমালা আর এ জনসমুদ্র একাকার হয়ে যাচ্ছে।

দৃশ্যত চট্টগ্রাম ছিল কাল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের নগরী। জনসভায় আগত মানুষের চোখে-মুখে ছিল সরকারবিরোধী তীব্র রোষ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব). অলি আহমদ, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কলা্যাণ পার্টির মেজর জে. (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এম মোরশেদ খান, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ মন্জুর আলম, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মো. শাহজাহান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, জামায়াতে ইসলামীর নগর আমির মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি, কারাবন্দী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহধর্মিণী ফারহাত কাদের চৌধুরী, পুত্র হুম্মম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন ও শাহজাহান জুয়েল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি বীর চট্টলার জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে সরকার পতন আন্দোলনে ১২ মার্চ 'চল চল ঢাকা চল' কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এই লুটেরা বেইমানদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি সরকারকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। বাধা দিলে অথবা কোনো ঘটনা ঘটলে দায় আপনাদের। তাই বাধা না দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। দেখবেন জনপ্রিয়তা কী শূন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে। এত চুরি-চামারি, লুটপাট করলে, বিদেশি দালালি করলে কি আর মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়? বেগম খালেদা জিয়া ২৯ জানুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিলের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।

পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষার কারণে বড় কোনো কর্মসূচি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিজুড়ে সারা দেশে গণসংযোগ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কর্মসূচি দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে ১০ অক্টোবর বিভাগীয় সদর অভিমুখে রোডমার্চের যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সূচনা ঘটিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, গতকাল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে এসে তার পরিসমাপ্তি টানলেন। রবিবার ঢাকা থেকে প্রায় ছয় সহস াধিক গাড়ির বহরযোগে রোডমার্চ করে পথে কুমিল্লা, ফেনী পেরিয়ে চট্টগ্রামে এসে সরকারের বিদায় ঘটাতে সারা দেশের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সে াত ঢাকামুখী করার কর্মসূচি দিলেন। বেগম খালেদা জিয়া শেষ বিকালে জনসমুদ্রে পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় সরকারের তিন বছরের দুঃশাসন, ব্যর্থতা, লুটপাট, গুম-হত্যা, নির্যাতন, ওয়াদাভঙ্গের রাজনীতি, ভারতনির্ভরশীলতা, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, সেনাবাহিনী ধ্বংসের চক্রান্ত, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, এরশাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাসহ চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপ হলো লোক দেখানো।

রাষ্ট্রপতি কিছু করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ যা বলবে তা-ই করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা আওয়ামী লীগ ঠিক করে রেখেছে। শুধু ইসিই নয়, আগামী দিনে আবারও কীভাবে ক্ষমতায় আসবে সে পরিকল্পনাও তারা করে রেখেছে। '৮৬ সালে এই চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনা বলেছিলেন এরশাদের সঙ্গে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান হবে।

এখান থেকে ঢাকায় ফিরে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে বসে, আর এরশাদ সরকার গঠন করেন। আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এরশাদকে বিরোধী দলে বসিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু এ ধরনের কোনো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না। '৭৩ সালে আওয়ামী লীগ হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে এনেছিল। তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, হাবিবুর রহমান এবং লতিফুর রহমানের আমলে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। তারা সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন করেছেন। কিন্তু ফখরুদ্দীনের সরকার ছিল অবৈধ।

তিন মাসের বদলে দুই বছর ক্ষমতায় থেকে লুটপাট আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপি সরকার আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কারা আন্দোলন করেছিল? এই শেখ হাসিনা সেদিন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখন জামায়াত ছিল তাদের কাছে ভালো আর এখন যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার কর্তৃক ভারতের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার প্রামাণ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, দিলি্লর শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকার জন্য নয়, দেশ স্বাধীন করেছি স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য। স্বাধীনতার পর ভারত চায়নি বাংলাদেশের নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকুক।

এ সরকার সেনাবাহিনীকে শেষ করে রক্ষীবাহিনীর মতো একটি বাহিনী করতে চায়। নামমাত্র একটি সেনাবাহিনী থাকবে আর রক্ষীবাহিনী পরিচালনা করবে ভারত। তারা ভালো ভালো সেনা অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে। অনেক সেনা অফিসারকে গুম, হত্যা, গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা সেনাবাহিনীকে ভারতের আজ্ঞাবহ পুতুল বাহিনীতে পরিণত করতে চায়।

তিনি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এবং বিডিআরকে ধ্বংস করার জন্য ভারতের দিকে ইঙ্গিত করেন। খালেদা জিয়া বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আসল তদন্ত হবে। জড়িতদের বিচার করা হবে। আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে যেসব কথা দিয়েছিল ক্ষমতায় এসে সব রক্ষা করেছে। কথা দিয়েছিল ট্রানজিট দেবে, ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়েছে।

তাদের জন্য রাস্তা করতে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছে। ওই রাস্তা বাংলাদেশের কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তারা আমাদের দেশের ওপর দিয়ে কী নিয়ে যাবে, তা দেখা যাবে না। এই চট্টগ্রাম বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। বেগম জিয়া চট্টগ্রামের জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন_ আপনারা এ বন্দর ব্যবহার করতে দেবেন? জবাব আসে 'না'।

সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেলানীর মতো কিশোরী মেয়েকে ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল, এই পুতুল সরকার তার প্রতিবাদ করেনি। শেখ হাসিনাকে 'হাসুজি' হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে হাসুজির এত খাতির তাই ভাবলাম আমরা কিছু পাব। তিস্তা চুক্তি হলো না। প্রটোকল না মেনে জামদানি, ইলিশ, মিষ্টি নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেলেন মমতার কাছে। তাতে মমতা নড়লেন না।

বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব? কেউ বলে হাসু, কেউ বলে মমতা দিদি। এত সম্পর্ক তবুও আমরা কিছু আদায় করতে পারিনি। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, আপনাদের সম্পর্ক করতে হবে জনগণের সঙ্গে। শুধু নিয়ে যাবেন, কিছু দেবেন না তা হবে না। সমাবেশের শুরু থেকে শেষাবধি ক্ষণে ক্ষণে উত্তাল তরঙ্গের মতো পরিবেশ কাঁপিয়ে স্লোগান-ধ্বনি উঠছিল 'এ মুহূর্তে দরকার, খালেদা জিয়ার সরকার'।

এ স্লোগানের প্রতি দৃষ্টি টেনে বেগম জিয়া বলেন, এ স্লোগান নয়। স্লোগান হবে_ 'এই মুহূর্তে দরকার জনগণের সরকার'। আমরা ফেরেশতা নই মানুষ। অতীতে আমাদের কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করব।

খালেদা জিয়া বলেন, তারা তিন বছরে দেশ ও মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি। নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করেনি। তিনি বলেন, এখন ডাল ১২০ টাকা, তেল ১৫০ টাকা, মোটা চাল এক কেজি ৩৫-৪০ টাকা। মানুষ খেতে পারে না। অন্যদিকে মন্ত্রী-এমপিরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানদের বিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার ওয়াদা করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দিয়েছি কি? এখন বিদেশে তাদের কোনো বন্ধু নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বিদেশ থেকে মানুষ ফিরে আসছে। তিনি বলেন, ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

আর আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আজকে সারা দেশে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। বিনা টেন্ডারে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট নিজেদের দলের লোকদের দেওয়া হয়েছে। এই খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে গেছে তারা। বিদ্যুতের এই ভর্তুকির জন্য দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের মানুষও বিদ্যুৎ পায় না। সরকারের পরিকল্পনা হলো শিল্পকারাখান বন্ধ হবে আর ভারতের লোকেরা এসব কিনে নেবে। যারা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট বানিয়েছেন, বিদ্যুতের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে পারছেন না। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস একদলীয় শাসনের ইতিহাস, গণতন্ত্র ধ্বংসের ইতিহাস।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষ হত্যার ইতিহাস, দুর্ভিক্ষের ইতিহাস। স্বাধীনতার পরে লালবাহিনী, নীলবাহিনী, রক্ষীবাহিনী গঠন করে তারা ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী হত্যা করেছিল। সিরাজ সিকদারকে হত্যা করেছিল। একদিকে হত্যাকারীদের বিচার করবেন, অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেবেন, তা হবে না। তিনি বলেন, এখন প্রতিনিয়ত মানুষ গুম হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর অফিসারও গুম হচ্ছে। লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। ১৯৯৫ সালের দৈনিক ইনকিলাবের একটি কপি দেখিয়ে তিনি বলেন, এই পত্রিকায় লেখা রয়েছে 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না : শেখ হাসিনা'। এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছি, দোষের কী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য শেখ হাসিনা জামায়াতকে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন।

তখন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী ছিল না, ভালো ছিল। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ কোনো উন্নয়ন করেনি। যা উন্নয়ন হয়েছে সব আমাদের সময় হয়েছে। কর্ণফুলী সেতু, গোমতী সেতু, ভৈরব সেতু, যমুনা সেতু, লালন সেতুসহ সব বড় বড় সেতু আমরাই করেছি। পদ্মা সেতু দুর্নীতির কারণে এ সরকার করতে পারেনি।

আমরা মাওয়া ও দৌলতদিয়ায় দুটি পদ্মা সেতু করব। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে তোমাদের জন্য কাজ করব। আমরা নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলব। ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয় বরং একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ে তুলব। যাদের চাকরি গেছে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে রোডমার্চকে ঘিরে আলোড়িত বাণিজ্যনগরীতে ফজর থেকেই মিছিল আর স্লোগানে উত্তাল আবহ ছড়িয়ে পলোগ্রাউন্ডমুখী মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। কাল প্রভাতে এ নগরীর মানুষের ঘুম ভেঙেছে স্লোগানের কোরাস নিনাদে। সকাল ১০টার মধ্যেই নারায়ে তাকবির ধ্বনি তুলে ঊর্মির মতো মিছিলের পর মিছিল এসে বিশাল পলোগ্রাউন্ড ময়দান জনারণ্যে পরিণত হয়। জনসভা শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা আগেই মাঠ এবং আশপাশে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। শহরের সব অলিগলি সড়কমালা ছাপিয়ে মানুষের সে াত ছিল জনসভা ময়দানমুখী।

শহরজুড়েই ছিল মাইক আর ডিজিটাল ডিসপ্লে। প্রবীণরা বলেছেন এত বড় জনসমাবেশ আর দেখেননি। সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন মঞ্চে দাঁড়িয়ে জমায়েতের শেষ কোথায় তা দেখতে গিয়ে দৃষ্টি খেই হারিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত উত্তোলন করেন তখন এমন এক দৃশ্যপট রচিত হয় যেন এ সমাবেশমঞ্চের অদূরে বহমান বঙ্গোপসাগরের ঢেউরাশির শব্দমালা আর এ জনসমুদ্র একাকার হয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যত চট্টগ্রাম ছিল কাল আক্ষরিক অর্থেই উৎসবের নগরী।

জনসভায় আগত মানুষের চোখে-মুখে ছিল সরকারবিরোধী তীব্র রোষ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও নগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব). অলি আহমদ, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কলা্যাণ পার্টির মেজর জে. (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এম মোরশেদ খান, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ মন্জুর আলম, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মো. শাহজাহান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, জামায়াতে ইসলামীর নগর আমির মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি, কারাবন্দী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহধর্মিণী ফারহাত কাদের চৌধুরী, পুত্র হুম্মম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন ও শাহজাহান জুয়েল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।