আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন হয়রানী: রাবির সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষকের ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার:

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা যৌণ নিপিড়ণ যেনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ের আঙ্গিণা অতিক্রম করতে পারছে না। নতুন বছরের এক গুনোধর শিক্ষককে দেয়া হলো শাস্তি। আহা কি আনন্দ যৌন নির্যাতন করত? শিক্ষক হয়ে সমাজের উচু শ্রেণীতে থাকার পর কেন তারা এই রকম লোলুপ দৃষ্টি দেয়? তাদের উচিত না সমাজকে কিছূ দেয়ার? বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে পাচ্ছি ব্লগ লেখার আর সংবাদ লেখার উপযুক্ত তথ্য?>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> যৌন হয়রানীর অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষককে ৩ বছরের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বহিষ্কার (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জিএম আব্দুল ওহাব। সম্প্রতি সমাজকর্ম বিভাগের একাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

তবে বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার জন্য সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষকরা আদাজল খেয়ে লেগেছেন। বিভাগীয় সম্মান হানির ভয়ে কেউ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেনি। বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের দিকে একই বিভাগের রিপন হোসেন নামক এক জুনিয়র শিক্ষকের শালিকাকে দীর্ঘদিন যাবত একই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জিএম আব্দুল ওহাবের উত্ত্বক্ত করে আসছিলেন। একই সাথে তাকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক ভাবে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে। অনৈতিক ব্যবহারের অভিযোগে ওই মেয়ে পরে বিভাগীয় সভাপতি বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তার অভিযোগ পাবার পর বিভাগ থেকে গোপনে কয়েকবার বৈঠক বসে। কিন্তু দাম্ভিক প্রকৃতির ওই শিক্ষক বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করেন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অত্যন্ত সু-কৌশলে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ৩ বছরের জন্য সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষা ও আনুসঙ্গিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক জি এম আব্দুল ওহাব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। পরে কয়েকবার যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন বন্ধ রাখেন।

বিভাগীয় শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন জানান, বিষয়টি বিভাগ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় আপনি বিভাগীয় সভাপতির সাথে যোগাযোগ করুন। উনি যেটা ভাল মনে করেন তা বলবেন। আমার কোন প্রকার বলার নেই। এ ব্যাপারে বিভাগীয় সভাপতি ড. সৈয়দা আফরীন মামুন জানান, কার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা বলতে পারবো না। আব্দুল ওয়াহাবের বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যপারটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় আমি কোন প্রকার মন্তব্য করতে পারছি না।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় যৌন নিপীড়ণ তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদিকা অধ্যাপক ড. তানজিমা ইয়াসমিন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যতটুকো জানি তা হচ্ছে অক্টোবরের শেষের দিকে এক শিক্ষার্থী আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যৌন হয়রানীর অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে বিভাগীয় শৃঙ্খলা কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩ বছরের জন্য ক্লাস নেয়া থেকে বিরত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, তবে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ না করায় আমাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিভাগীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর এম নূরুল্লাহ জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।

তবে বিভাগ থেকে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।