আমি ফ্রা ঙ্কে স্টা ই ন......... আমরা একটা তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। যে দেশের মূল হলো ভোগবাদ। খাও দাও মজা লুট এটাই হচ্ছে নিয়ম। কিন্তু তার পরেও একটা কথা থেকে যায় মানুষের জন্য সরকার।
আমরা ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে গেছি( গেছি কি?) প্রশ্ন থেকেই যায়।
কারণ মূল নীতি গুলোর একটি হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। সেখানে যদি সরকার জগন্নাথে শিক্ষা ফি বাড়িয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে এটা পুর্ণ স্ববিরোধিতা। কারণ সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষা চিকিৎসা খাতে সরকার সব সময় শত ভাগ ভর্তুকি দিয়ে আসে।
তা ছাড়া যদি আমরা যদি আমাদের মৌলিক অধিকারের দিকে তাকাই তা হলে আমরা দেখবো শিক্ষা মৌলিক অধিকারের একটা পুরুত্ত্বপুর্ণ স্থানে আছে শিক্ষা। যদি আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় শিক্ষা একটা গুরুত্ত্বপুর্ণ স্থানে থাকবে।
কিন্তু সে শিক্ষাকে যদি বানিজ্যকরণ করা হয় তা হলে সেখানে প্রশ্ন আসতেই পারে।
আজ বিকেলে যুব ইউনিয়নের এক বড় ভাই এর সাথে একটা মিটিং এ যাবার সময় দেখা হয়েছিলো আসিফ ভাই এর সাথে আমাদের কৌশিক ও ছিলেন সেই সাথে ছিলেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আমার গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ ছিলো তাই চলে যাই আমি তার পরেও আমি সহমত জানিয়ে এসেছি সেই আন্দোলনের সাথে।
আসিফ ভাই এর সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে মত পার্থক্য আছে যেমন ধর্ম; তার পরেও যেটা ভালো আমি সেটাকে ভালো বলবোই। এটাই আমার নীতি।
তাকে মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি বলা হচ্ছে বলা হচ্ছে জামাতের এজেন্ট। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শুরু হয়েছিলো ফারাক্কা দিয়ে এখন সব কিছুই কলাপ্স হয়ে যাচ্ছে। এটা শুরু হচ্ছে জগন্নাথে কিন্তু এর ভাইরাস যে সকল পাবলিক ভার্সিটিতে ছড়িয়ে পরবে না সেই নিশ্চয়তা দেবেন কে? আমাদের অথর্ব শিক্ষা মন্ত্রী?
জগন্নাথ মাত্র শুরু এর রেশ কোথায় গিয়ে কাটবে সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। যদি সরকার নিজেই শিক্ষাকে বানিজ্যি করণ করে ফেলে তা হলে প্রাইভেট ভার্সিটির মালিকেরা কি করবে? এখন যা শিক্ষা তার ৬ লাখ তাকায় বিকোচ্ছে সেটা ৬০ লাখ টাকায় বিকোবে। কারণ সরকার তো একবার ২.৫% টেক্স বসানোর ব্যবস্থা করেছিলোই সে লাইসেন্স তো তাদের দেয়ায় আছে।
আমাদের সচিব আর মন্ত্রী রা আমদের অধ্যদেশ দেখাচ্ছেন। আচ্ছে সংসদে আপনাদের ২/৩ ভাগ আসন কি বিনা টেক্সে গাড়ি কিনতে দিয়েছি? না এ ধরনের কালো অধ্যদেশ বাতিল করতে? আমি শুধু জগন্নাথে নয় আমি চাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামুল্যে শিক্ষা দেয়া হোক কারণ এটা নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার। সেনাবাহিনীকে বসিয়ে খাওয়ানোর জন্য ৩০০০ কোটি টাকা না দিয়ে যদি এই টাকা শিক্ষা খাতে দেন তা হলে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে এই নষ্ট সমাজে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্র লিগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিহিত করা ছাড়া এ ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ নিতান্তই হতাশব্যঞ্জক এবং অগ্রহণযোগ্য। দয়া করে ছাত্রদের ক্ষেপাবেন না।
তা হলে আরেকটি আরব বসন্ত হয়তো অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য সামনে। লড়াই শেষ হয়ে যায় নায়। ছাত্ররা ১৯৫২,১৯৭১,১৯৯০ এ পরিবর্তন এনেছে এটা ২০১২ খুব পেছনে ফেলে আসা ইতিহাস নয় কিন্তু এগুলো।
আমার পুর্ণ সহমত জানাচ্ছি আসিফ ভাই ও তার সহযোদ্ধদের সাথে। শিক্ষা হোক বানিজ্য মুক্ত এই স্লোগানের সাথে।
ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।