মনটাকে সতেজ রাখার চেষ্টি করছি।
১.
পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যবসায়ী সুন্দরী এক কল গার্লের সেবা গ্রহণ করলেন এবং তাকে নগদ টাকা না দিয়ে তার অফিসে একটি বিল পাঠাতে বললেন। বিলতো আর গৃহিত সেবার নামে করা যাবে না তাই ব্যবসায়ী গার্লকে পরামর্শ দিলেন তুমি এমন একটা বিল আমার অফিসে পাঠাবে যেন আমি তোমার কাছ থেকে একটি এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলাম।
যথারীতি গার্ল পরের সপ্তাহে ব্যবসায়ীর অফিসে একটি বিল পাঠালেন।
এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা ।
ব্যবসায়ী সভাব সুলভ কারনে সেই বিলও কাটলেন ২৫০০ হাজার টাকা কেটে বাকী আড়াই হাজার টাকা পাঠালেন গার্ল এর কাছে। বিল কাটার কারন হিসেবে তিনি লিখলেন :
১) আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) একদম নতুন আগে কেউ ব্যবহার করেনি, কিন্তু ভাড়া নেয়ার পর দেখলাম এটি আগেও ভাড়া হয়েছে।
২) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক ছোট এবং সুন্দর, কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম অনেকে এই এ্যাপার্টমেন্ট ব্যবহার করায় এর আকার অনেক বড়। এত বড় এ্যাপার্টমেন্ট আমার পছন্দ নয়।
৩) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক গরম হবে ,
কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম এটি একেবারেই ঠান্ডা ।
কলগার্ল ব্যবসায়ীর এই কারন সহ অর্ধেক পেমেন্ট পেয়ে রেগে গেলেন এবং আড়াই হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে পুরো ৫০০০ টাকা দেবার অনুরোধ করলেন এবং ব্যবসায়ীর কারন গুলোর বিপরীতে লিখলেন:
১) তুমি কি করে ভাবলে এত সুন্দর এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভাড়া না হয়ে এতদিন পরে থাকবে?
২) এ্যাপার্টমেন্টটি (??) আসলে সুন্দর এবং ছোটই ছিল, কিন্তু তোমার যদি এই এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভর্তি করার মত ফার্নিচার (??) না থাকে তাহলে আমার কি করার আছে?
৩) এ্যাপার্টমেন্টটিতে (??) আসলে অনেক গরমই ছিল কিন্তু তুমিতো জানই না এটা কি ভাবে অন করতে হয়।
তাই আমার পুরো পাওনা ৫০০০ টাকাই দিতে হবে।
২.
: তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
: এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
: কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
: আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার উপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।
৩.
বিদেশ থেকে দুবছর পর বাড়ি ফিরে হাসান দেখল তার বউয়ের কোলে ছয় মাসের একটা বাচ্চা।
হাসান বউকে বলল, এটা কার বাচ্চা?
: কার আবার, আমার।
: কী! বল, তার নাম বল! কে আমার এত সর্বনাশ করেছে!
বউ চুপ।
: বল, কে সে? নিশ্চয়ই শয়তান জামাল!
: না
: তা হলে নিশ্চয়ই শয়তান জাফর!
: না, তাও না।
: তা হলে কে?
: তুমি শুধু তোমার বন্ধুদের কথাই বলছ আমার কি কোনো বন্ধু থাকতে পারে না।
৪.
রাজধানীতে দুপুরে বাসায় কেউ নেই। এক ভদ্র মহিলা কাপড় চোপড় খুলে গোসল করছেন। এমন সময় বাসার কলিং বেল বাজল। মহিলা ভাবলো, এমন দুপুর বেলায় কারও আসার কথা নয়। নিশ্চয় ফকির এসেছে।
শরীর ভিজিয়েছি আবার কাপড় পড়বো? আচ্ছা কাপড় ছাড়াই লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখি কে? যদি ফকির হয় তাহলে ভিতর থেকেই না করে দিবো ভিক্ষা দেওয়া যাবেনা। মহিলা দরজার ফুটা দিয়ে দেখেন, ফকির নয়, এসেছে পাশের বাসার অন্ধ ছেলে রাজু। মহিলা ভাবলেন, কাপড় গায়ে নেই, অন্ধ রাজুর সাথে দরজা খুলে কথা বললেও সমস্যা কি? ও তো আর দেখবেনা আমি ল্যাংটা। দরজা খুলে-
মহিলাঃ কি ব্যাপার রাজু তুমি এই দুপুর বেলায়, আবার তোমার হাতে মিষ্টিও দেখছি?
অন্ধ রাজুঃ জী খালাম্মা, এই মিষ্টিগুলো রাখেন, আম্মা পাঠিয়েছে।
মহিলাঃ কি কারনে মিষ্টি রাজু?
৫.
চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে।
এক লোক বললেন, ঘটনা শুনেছেন। গত রাতে আমাদের এলাকার মজনু সাহেব বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুয়ে আছেন। তিনি রাগ দমাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে রিভলবার বের করে গুলি করে দু’জনকেই মেরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন।
পাশে বসে থাকা রাকিব সাহেব বললেন, এটা তো তেমন কিছুই নয়, ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত।
লোকটি বললেন, কি বলেন? এক সাথে ট্রিপল ট্রাজেডি, আর আপনি বলছেন কিছুই না, আরো সাংঘাতিক হতে পারত? তো এর চেয়ে আর কি সাংঘাতিক হতে পারত?
রাকিব সাহেবঃ গতকাল যদি সোমবার না হয়ে বৃহস্পতিবার হতো তাহলে ঐ গুলিটা আমাকে খেয়েই মরতে হতো।
৬.
আশরাফিল বিয়া করসে এবং তার চাইরডা পুলা-মাইয়া হইসে। তার বউ কিন্তু তারে লইয়া বড়ই পেরেশান। প্রতি খেলায় ১ রান লইয়া আউট হইয়া যায়। একবার এক খেলায় পরত্তম বলে আউট হইয়া গেসিলো। কিন্তু আম্পায়ারের আউট না দেয়ার লাইফ পাইয়াও এক রান লইয়া ক্লিয়ার বোল্ড হইয়া যায়।
পাড়া প্রতিবেশীর খোঁটা শুইন্যা আশরাফিলের বউয়ের মিজাজ বিলা। আছড়াফুল ঘরে আসনের লগে লগে শুরু কইরা দিসে বাউন্সার: তুমি এই এক মারা ছাড়া আর কিসু পারো না?
আশরাফিল কয়: শুধুই যদি ১ মারতাম তাইলে চাইরডা পুলা-মাইয়া কেমনে হইলো?
আশরাফিলের বউ: তুমার ওই আম্পায়ারের মতো লোটা কামাল যদি আমারে না হেলপাইতো তাইলে ডাক (০) লইয়া থাকতে হইতো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।