আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়ত জামাত কখন ও ই নিষিদ্ধ হবে না

এই দেশে কখন ও ই হয়ত জামাত কে নিষিদ্ধ করা হবে না। আর নিষিদ্ধ করতে চাইলে ও সেটা হয়ত সম্ভব না। কারন এরা শুধু মাত্র এক টা রাজনৌতিক দল ই না। বরং রাজনৌতিন অবস্থান শক্ত করার পাশাপাশি এরা সামাজিক ভাবেও অনেক শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। ইসলামিক ব্যাংক এর কথা আসা যাক এই ব্যাংক বর্তমানে কয়েকশ কোটি টাকা মালিক।

প্রমান আছে নাকি এদের সাথে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা। কিন্তু সরকার এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতেছে না। এর পর আশা যাক ইবনে সীনার কথা। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন হয়তো এক জন জামাতী কখন ও ই ইবনেসীনা ব্যাতিত অন্য কোনো হাসপাতালে যাবে না কখন ও ইসলামিক ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংক এ যাবে না। যদি কখন ও এরা রাষ্ট ক্ষমতায় আসতে পারে কতটা স্বজন প্রীতি হবে চিন্তা করেন- এই ইবনে সীনার মাধ্যমে উপার্জিত টাকা ব্যয় হচ্ছে জামাত এর পিছনে।

- অন্য দল গুলো ফ্যাইন্যান্সিং সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু জামাতের সেটা নাই - এই ছাড়া রেটিনা সহ অনেক গুলো কোচিং সেন্টার আছে এই মাধ্যমে এরা তরুন প্রজন্মের অনেক কে ই তাদের দলে ভিড়ীয়ে নিতেছে। এক সময় অস্র তুলে দিবে জঙ্গি হামলায় উদ্ভুদ্ধ করবে। তারা গ্রাম বাংলায় মানুষ এর সাথে খুব ভালো ভাবে আস্তে আস্তে মিশে যাচ্ছে। ইসলাম কে তারা পুজি করে নিতেছে - তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা তখন নিজেদের কে বাঁচানোর জন্য ইসলাম কে ব্যবহার করে আসছে সেই ৫২ থেকে শুরু আজ অব্দি এক ই কাজ করে যাচ্ছে। ৭১ এর পরে যদি জামাত কে সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করা হতো তাহলে হয়ত বিস টা সারা শরীরে মিশে যেতো না।

কিন্ত এখন আর সেটা অনেক কঠিন কাজ। ২০১৩ এ এসে যদি নিষিদ্ধ না হয় তবে আর কোনো দিন হবে না। কিন্তু সেইটা রাস্ট পক্ষ থেকে কতটা সদিচ্ছা আছে? নাকি ভোটের রাজনীতি এর সমীকরনে হারিয়ে যাবে জামাত নিষিদ্ধের ব্যাপার টি- গ্রাম অঞ্চলে গেলে বুঝা যায় তারা সাধারনের মাঝে কিভাবে মিশে যাচ্ছে দিনের পর দিন। কার ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে মিশতেছে। বের করে আনতেছে তার কোনো কোন উইক পয়েন্ট আছে।

যার টাকার দরকার তাকে টাকা দিতেছে যার চিকিৎসা দরকার তাকে সহযোগিতা করতেছে এই ভাবে কাছে যায় কাছে গিয়ে তার দুর্বল যায়গা টা নিয়ে নিচ্ছে। এক সময় জামাত শিবির এর রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু প্রথম দিকে তাদের হিংস্রতা দেখা যায় না। আসতে আসতে দেখা যায়। এই বার কথা হইলো পৃথিবীর কি অন্য কোনো দেশে সম্ভব স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির একটা স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার অধিকার পায় ? এরা এখন ও এই দেশ টা কে নিজের দেশ মনে করতে পারে নি।

সেই সাথে যুক্ত হচ্ছে নব্য রাজাকার। ৪৩ বছর আগে যদি স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে দেশ ত্যাগ করানো যেতো সেটা যত সহজে সম্ভব হতো আজ তত সহজ হবে না। ২০১৩ এ যদি এদের নিষিদ্ধ করা না যায় এর পরে এই দাবি টা তোলা যাবে কিনা কে জানে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।