হরবোলা বন্ধুর সাথে কোন এক প্রাইভেট ব্যাংকে গিয়েছিলাম। কথা প্রসঙ্গে বন্ধু বলল, কয়েক মাস হয় আমি কানাডা হতে এসেছি। এই শুনিয়া ব্যাংকের কর্তা ব্যাক্তিটি তার ব্যাংকে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট করার জন্য আমাকে এমনভাবে ধরল আমিতো লজ্জায় পড়ে গেলাম। জানতাম ডেসটিনি, ইউনিপেটু ও লাইফ ইন্সোরেন্স কম্পানী গুলো মানুষকে আঁঠা দিয়া ধরে। এখন দেখছি ব্যাংক গুলো সুপার গ্লু ও ফেভিকল দিয়া মানুষ ধরছে।
বুঝলামনা ব্যাপার কি? ব্যাংকের কর্তাব্যক্তিটি বললেন, ভাই ব্যাংকে টাকা নাই। টাকা সব গেল কই। ভাই, যাদুর মার্কেটে।
ব্যাংকের টাকা যাদুর মার্কেটে যায় ক্যামনে বুঝলামনা। সারাদিন মাথার ভিতরে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরুতে দেখি পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক জোয়র্দার, ইকোনোমিক্সের গৌরী সেন বাবুর সাথে দৌঁড়াচ্ছেন। জোয়র্দার স্যারকে জিজ্ঞাসিবা মাত্র বললেন, “থারমোডাইনামিক্স পড়নাই বাপু?” তাপ উচ্চ তাপমাত্রার অঞ্চল হতে নিম্নতাপমাত্রার অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। টাকাও তাপের মত। না স্যার, বাংলাদেশে টাকা গরিব থেকে ধনীর কাছে যায়। আরে বাপু তাহলে ইলেকট্রন, নেগেটিভ হতে পজেটিভে যায়।
স্যার এটাতো বিদ্যুতের প্রচলিত ধারণার বিপরীত। স্যারের খটকা লাগায় গৌরী স্যারেকে দেখিয়ে দিলেন। গৌরী স্যার ম্যালথাস, আডামস্মিথ, অমর্ত সেন ও ইউনুছ ঘাঁটিয়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আতাউর ও আবুল মাল স্যারকে দেখিয়ে দিলেন। মা-জননী আপনি সিঙ্গাপুরে থাকায় উনারা বলতে অপারগ।
মাগো, আপনার প্রতি উনাদের অতিশয় ভক্তি দেখে আমি প্রীত হলাম।
একটা মুরগা ক্যামনে দু’টা ডিম দেয়, এই প্রশ্ন আপনাকে করতে কুন্ঠাবোধ করছি। এইভাবে সব প্রশ্ন আপনার দিকে ধেয়ে আসলে বাংলাদেশে বিগ ক্রাঞ্চ ঘটিবে। ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের টাকা ক্যামনে যাদুর মার্কেটে গেল জানাবেন। দাদা-দিদা ক্যামনে যৌবন পেল তা গবেষণার বিষয়। ডুংডাং বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরীসেন বাবু তা করবেন।
সহকারী অধ্যাপক কেরামত আলীর ঘুম ভেঙ্গে গেল। দেখিলেন, সকলে মতিঝিলের দিকে দৌঁড়াচ্ছেন। তিনিও লুঙ্গীর কাছা না মেরে ভৌঁ-দৌঁড় দিলেন। পশ্চাৎ দেশে গুঁতা খেয়ে সম্বিৎ ফিরে ফেলেন। দেখলেন মাথা ল্যাপটপে।
শীতের রাত, গায়ে কম্বল, লুঙ্গী গলায়। লেকচার নোট তৈরী করার কাগজ পায়ের তলায়, কলমটা পশ্চাৎ দেশে। স্বপ্ন সব ধোঁয়াশা ও শীতকালীন কুয়াশার জালে আটকা পড়েছে।
চলবে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।