আজ প্রায় ১ মাস পর ব্লগে লিখছি। ছুটিতে দেশে গিয়েছিলাম মনে করেছিলাম দেশের আনন্দ ব্লগের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করব।
কিন্তু শারজাহ্ এয়ার পোর্টে আমাদের কে এই "বাঙ্গালী
ইধার জাও, ইধার আউ" বলে তাচ্ছিল্য করে ডাকা হচ্ছে। এর পর এয়ারক্রাফট এ উঠে সাক্ষাত পেলাম ২ ইণ্ডিয়ান ক্রু। একজন ছেলে একজন মেয়ে, এরাও মসকরা সুরে কথা বলা শুরু করল।
যা অন্য এয়ার লাইন্সে এরকম মসকরা দেখা যায় না। যাই হোক সঠিক সময়ে ঢাকায় পৌছালাম।
১লা জানুয়ারীতে ফেরার সময় এয়ার আরাবীয়াতে ক্রুদের ব্যবহার ভালই পেলাম। কিন্তু যখন আবার শারজাহ্ এয়ারপোর্টে আসলাম শুরু হলো দূরব্যবহার। এবার "বাঙ্গালী ছাগল" বলে সম্বধন করা হল, এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো: আমরাও হুরোহুরী করি এবং লাইন দাঁড়াতে পচ্ছন্দ করি না, তাই বলে একটা ইন্টারন্যশনাল এয়ারপোর্টে ছাগল বলে দুরব্যবহার করতে পারেনা।
আবার বাঙ্গালীদের জন্য কিছু নিয়ম আছে যা অন্য জাতির জন্য নেই।
বাংলাদেশী নতুন হোক আর পুরোণো হোক সবাইকে আই (চোখ) ইস্কানিং করতে হয়। আই ইস্কানিং করার পূর্বে একটা পেপারে নিজের নাম, পাসপোর্ট নং, জাতীয়তা লিখতে হয়, এই পেপার টা ওরা প্লেনের মধ্যে দিতে পানে কিন্তু দেয় না। পেপারটা লিখার কোন টেবিল বা ঐজাতীয় কিছু নাই যেখানে লিখবে। আই ইস্ক্যানিং করার সময় বেশী খারাপ ব্যবহার করে।
আর একটা জিনিস খেয়াল করলাম: এয়ার আরাবীয়াতে বেশীর ভাগ নতুন লোক আসে, যারা আরবী ইংলীশ ভাষা যানেনা। না বুঝলে যে খারাপ ব্যবহার করতে হবে তা তো ঠিক না।
শারজাহ্ এয়ারপোর্টের লোক জানে বাংলাদেশীরা এখানে লেবারের কাজ করতে আসে। এক্সজিকিউটিভ শ্রেণীর লোকেরা একবার যারা এয়ার আরাবীয়াতে চড়ছে তারা কোন দিন চড়বে না, ভাড়া কম বলে আমিও চড়েছিলাম।
এই ব্লগের মাধ্যমে সবাইকে বলতে চাই কেউ যদি U.A.E. আসেন Air Arabia-তে অবশ্যই না।
হয়তো আপনারা বলতে পারেন প্রতিবাদ করেননি কেন? কার সঙ্গে কাকে নিয়ে প্রতিবাদ করব। তবে বেশীর ভাগই ভীষণ কষ্ট বলতেছিল পয়সার জন্য বিদেশে আইসা খারাপ ব্যবহার পাইতেছি।
আজ এপর্যন্তই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।