দেখিয়া শুনিয়া চরম বিরক্ত
একবার হইল কি, এক ছাগু মসজিদের বদনা চুরি কইরা পালানোর সময় এলাকার কিছু লোকজনের হাতে কট খাইল ! বলাই বাহুল্য ঐ দলের মধ্যে বেশ কিছু বজ্জাত পোলাপাইনও ছিল !
শাস্তি স্বরূপ কেউ তারে খাড়ার উপরে গদাম দিতে চাইলো, কেউ ডিম নিয়া আইলো আর কেউ আবার কি মনে কইরা নিয়া আইল কাঁঠাল গাছের ডাইল!! ( এক বান্দর পোলা বাড়ী গিয়া ডিম না পাইয়া খোঁয়ারে ডিম পাড়া মুরগীটারেই নিয়া আইলো। সবাইরে কইল, মুরুব্বীরা একটু ওয়েট করেন। আমার মুরগীটা এই এখনই ডিম পাড়ল বইলা!)
মুরুব্বিরা আগা গোড়া কিছু বুঝতে না পাইরা হালকা গদাম দিয়া তারে থানায় জমা দিল।
বিচার শুরু হইল:
জজ সাহেব তারে কইল "ঐ মিয়া তুমি সা্চ্চা মুসলমান হইয়া মসজিদের বদনা চুরি করতে গেছ!"
ছাগু কইল : "হুজুর মা বাপ, কি করমু কন? মগবাজারের পেমেন্ট পাই না, ব্লগেও গদাম খাই, তাই ইয়ে মানে এদিক সেদিক চান্স খুঁজি...। "
জজ: তাই বইলা তুমি চুরি করবা?
ছাগু: হুজুর চুরির কি কোন প্রমাণ আছে?
জজ: আলবৎ আছে।
এই যে ৭ বছরের ছেলে মন্টু তোমারে চুরি করতে দেখছে!
ছাগু: না, ওর সাক্ষী মানি না। ওর দোষ আছে! ও বিছানায় মুতে!!
জজ: ঠিক আছে, এই যে ২৫ বছরের জোয়ান মর্দ আব্বাস, সে তো তোমারে চুরি করতে দেখছে!!
ছাগু: হইব না, আব্বাসের চরি্ত্রে সমস্যা আছে। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন এই আব্বাস আর আমি একদিন দোকানে খাইতে গেছিলাম । দোকান থিকা পুরি আর ডাল খাইয়া ম্যানেজাররে কইছি খালি পুরি খাইছি। হেরপর খালি পুরির পয়সা দিয়া বাহির হইয়া গেছি।
ডাইলের পয়সা দেই নাইক্কা!!!
জজ: তাইলে তুমি ও তো হের লগে ছিলা। ফাও ডাইল তো তুমি ও খাইছ!! পয়সা মারিং তো তুমিও করছ! তুমি ও তো তাইলে সমান দোষী!!
ছাগু: হ হুজুর, আমি ও দোষী! অস্বীকার করি কেমনে? দোষ আছে বইলাই
তো আমি এইখানে!! কিন্তু সাক্ষীর চরিত্রে দোষ থাকব কেন??? তারে তো হইতে হইব ধোয়া তুলসী পাতা!!!
জজ: ঐ মিয়া তোমার বদনা চুরির সাক্ষী দেওনের লাইগা কি অহন আমারে
ক্লিনটনরে ডাকতে হইব ??
ছাগু: হুজুর ডাকলেও লাভ নাই, হের চরিত্রেও সমস্যা আছে!!হে হে মনিকা কেইসের কথা মনে নাই?
জজ: বুঝছি তোমার সাক্ষী হওন লাগবো ফেরেশতা!
ছাগু: ডাকেন ফেরেশতা। ফেরেশতার সাক্ষী লন । আমি তো আর মানা করি নাই!!
ছাগুটি শেষ পর্যন্ত আইনের মারপ্যাঁচে কিভাবে যেন বের হয়ে যায়!
এর পরের ইতিহাস বড় করুন। ছাগুটি এর পর থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি, ছিনতাই সহ যাবতীয় অন্যায় কাজ করে বেড়াত!! কিন্তু প্রতিবারই তার মামলা কো্র্টে টিকত না! কারন যেসব সাক্ষী আসত তাদের সবারই কোন না কোন অতীত দোষ ত্রুটি পাওয়া যেত!! কেউ হয়ত তার জীবনে কোন একবার পরীক্ষা্য নকল করেছিল/ কেউ হয়ত ঘুষ খেয়েছিল/কেউ হয়ত গার্লফ্রেন্ডের সাথে চিটিং !!!ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কত কি!!
উদাহরন সরূপ ধরুন ছাগুটি একদিন হোটেলে খেয়ে পয়সা না দিয়ে ম্যানেজারের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
ম্যানেজার পয়সা চাইলে
বলল, "ঐ মিয়া !আপনে নিজেই একসময় কইছিলেন আপনে ষখন বিয়া করেন তখন আপনের বউ এর বয়স ছিল ১৮ বছরের কম, তার মানে শুধু আমি ই অপরাধী না, আপনেও অপরাধী। খালি খালি আমারে ধরবেন কেন?"
ঐ এলাকার লোকজন এখন একজন ফেরেশতাদের মত ক্যারিয়ার ওয়ালা মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে যিনি ঐ ছাগুটিকে অপরাধ করতে দেখবেন এবং শুধু তাই না সেটা দেখে আদালতে সাক্ষী ও দেবেন। সেই সুযোগে এখনও ছাগুটি অপরাধ করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে!!কারন সে নিজেও জানে ফেরেশতার মত নিষ্পাপ লোক কখনই পাওয়া যাবে না !! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।