"Life Is a Journey, Not a Destination ― Ralph Waldo Emerson
জাতীয় ই-শাষণ পরিকল্পনা :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির(আইসিটি)উপকারের স্বচ্ছতা, সময়মত ঝামেলাহীন নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সরকার ১৯৯০ এর শেষ দিকে ই-গভর্নেন্স অনুক্রম আরম্ভ করেছে। তারপর, কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ই-গভর্নেন্স(এনইজিপি)পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, ২৭ টি মিশন মোড পরিকল্প(এমএমপি)ও ৮টি বিষয় নিয়ে, ২০০৬এর ১৮ই মে তে ভারতবর্ষে ই-গভর্নেন্স অনুক্রম উদ্যোগকে জোরদার করার জন্য। তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ(ডিআইটি)এবং ডিপার্টমেন্ট অফ্ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস এবং পাব্লিক গ্রীভেন্সেস্(ডিএআর এবং পিজি)জাতীয় ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনা (এনইজিপি) তৈরী করেছে।
জাতীয় ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনার লক্ষ্য:
জাতীয় ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনা শুরু হয়েছে নাগরিকদের এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকারী পরিষেবা প্রদানের উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে এবং এই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েঃ “সমস্ত সরকারী পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য তাদের অঞ্চলে উপলভ্য করা সাধারণ ডেলিভারী আউটলেটের মাধ্যমে এবং এই সব পরিষেবার উপযুক্ততা, স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা সাধারণ মানুষের মূল প্রয়োজনগুলি উপলব্ধ করার জন্য।
সর্বসাধারণের জন্য পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র :
বর্তমানে নাগরিকদের বিশেষতঃ যারা দূরগ্রামে থাকে, অনেক দূরে যেতে হয় সরকারী বিভাগ বা তার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে কোন পরিষেবা পেতে হলে।
সাধারণ লোকের পক্ষে এটা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যায়সাধ্য হয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য জাতীয় ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনার (এনইজিপি) দৃষ্টিভঙ্গীর অঙ্গ হিসাবে প্রতি ছয়টি গ্রামের জন্য একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ সমন্বিত সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র(সিএসসি)স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে গ্রামের লোকেরা সহজে এই সুবিধা পেতে পারে। এই সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্রগুলি, অনলাইনে সমন্বিত পরিসেবা কেন্দ্রগুলিকে ‘যে কোন সময়ে, যে কোন জায়গায়’ পরিষেবাদানের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গভর্নেন্সকে উন্নত করার জন্য ই-গভর্নেন্স ববস্থা গ্রহণঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি), সরকারকে জনগণের কাছে পৌঁছোতে, গভর্নেন্সকে উন্নত করবে। এটা বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প তদারকি এবং রুপায়ণে সাহায্য করবে সরকারের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা বাড়িয়ে।
.নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নতিকরণ:ই-গভর্নেন্স এই উদ্দেশ্য সাধনে সাহায্য করতে পারবে সস্তায় নাগরিকন্দ্রিক পরিষেবা প্রদানের বন্দোবস্তের মাধ্যমে এবং এভাবে ভাল সময় ফিরে দেওয়া এবং পরিষেবা দাবী করা ও পাওয়া। কাজেই দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে ই-গভর্নেন্স ব্যবহার করা গভর্নেন্স জোরদার করার জন্য। ই-গভর্নেন্স উদ্যোগের মাধ্যমে প্রদান করা সব পরিষেবা সরকারকে, যাদের কাছে এখনও পৌঁছোনো যায় নি, তাদের কাছে পৌঁছোতে সাহায্য করবে এবং প্রান্তিক দলগুলিকে যোগদানের মাধ্যমে জড়িত করা ও ক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করবে এবং এভাবে সরকারী পদ্ধতি দারিদ্র দূরীকরণে এবং তীব্র সামাজিক ও আর্থিক বিভক্তি দূর করবে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রাপ্ত পরিষেবা :
চলবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।