লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেএম এরশাদ আহসান হাবিব থার্টিফার্স্ট নাইটে ওই উপজেলার ভুল্লারহাটে প্রদর্শনরত মৌসুমী অপেরার যাত্রা প্যান্ডেলে সারারাত কাটিয়ে ভোরবেলা উপজেলা কোয়ার্টারে তার বাসায় ফিরেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও সরকারি জিপ গাড়ি নিয়ে যাত্রা প্যান্ডেলে আসেন। প্যান্ডেলের ভেতর যাত্রা শিল্পীদের জন্য নির্মিত গ্রিন রুমে বসে রাতভর অশ্লীল নৃত্য উপভোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে যাত্রা আয়োজক তিন-চারজন বসেছিলেন। উপজেলার একজন প্রধান নির্বাহী সরকারি কর্মকর্তা লাজলজ্জার মাথা খেয়ে অনুমতিবিহীন একটি যাত্রা প্যান্ডেলে বসে নগ্ননৃত্য উপভোগ করার ঘটনাটি বছরের শুরুর দিনে লালমনিরহাটে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
ইউএনও এজেএম এরশাদ আহসান হাবিবের খুব কাছের এবং পরিচিত অনেকেই যাত্রা প্যান্ডেলে রাত কাটানোর ঘটনায় তাকে তিরস্কার করেছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এই ইউএনও কালীগঞ্জ আসার পর থেকে উপজেলায় যাত্রার নামে নগ্ননৃত্য, অশ্লীলতা ও জুয়ার আসরের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সূত্র মতে ২৭ ডিসেম্বর থেকে কোন অনুমতি না নিয়ে কালীগঞ্জের ভুল্লারহাটে শুরু হয়েছে যাত্রাগান। যাত্রার নামে সেখানে চলছে উদাম নৃত্য আর অশ্লীলতা। এসব অশ্লীলতা বন্ধের দাবিতে ওই এলাকার ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও ইউএনওর মদদে যাত্রা বন্ধ হয়নি।
বরং যাত্রা প্যান্ডেলের ভেতর চলছে জুয়ার আসর। গত বছর উপজেলার কাকিনায় একটানা ১৫ দিন চালানো হয় যাত্রার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা। উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্থানীয় জনগণ লিখিতভাবে অভিযোগ করেও তার কোন প্রতিকার পায়নি। এ ব্যাপারে ইউএনওর মন্তব্য জানার জন্য তার ০১৭১২৪৭০৬৭২ নম্বর মোবাইলে রোববার সারাদিনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সূত্র: যুগান্তর ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।