আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল কায়েদা সংযোগ: মার্কিন কারাগারে বন্দি না’গঞ্জের সাদেকী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ৯/১১ আসলেই ভয়াবহ সে স্মৃতি মনে করে আঁতকে উঠে আমেরিকাতে বসবাসকারীরা। সেই বিশ্ব কাঁপানো ৯/১১ এর সূত্রে বিশ্ব শাসন করা এ দেশের কারাগারে বন্দী রয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এহসানুল ইসলাম সাদেকী ওরফে শিফা(২৫)। বাংলাদেশে তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায়। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আটলান্টাস্থ ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের জজ উইলিয়াম এস ডাফি জুনিয়র প্রদত্ত রায়ে সাদেকীকে ১৭ বছরের জেল এবং এ দণ্ডভোগের পর আরো ৩০ বছর কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ে কাটাতে হবে। তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি অভিযোগের শুনানী চলছে।

সাদেকীর বিরুদ্ধে আমেরিকার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সুপরিচিত স্থাপনার ছবি তুলে তা বিদেশে পাঠিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করা, পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন এলইটির কাছে তথ্য পাচার, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ সংগনের সঙ্গে যোগাযোগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সাদেকী সম্পর্কে এফবিআইর রিপোর্ট সম্প্রতি আটলান্টাস্থ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন) এফবিআইয়ের এক স্পেশাল এজেন্ট বলেছেন, ‘সাদেকী কখনোই বন্দুকের ট্রিগার টিপেনি কিংবা বোমাও ফাটায়নি। কিন্তু সে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিতদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী হামলার জন্য যাবতীয় কর্মপন্থা অবলম্বন করেছিল। ’ আর ৯/১১ উপলক্ষ্যে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এফবিআই এর ÔLAW ENFORCEMENT BULLETINE’ এ আমেরিকায় জঙ্গি হামলার পরিকল্পনকারীদের মধ্যে সাদেকীকে ৯ নাম্বার এ স্থান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুদানের চেক দিয়েছিল সাদেকী ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে বন্যার সময়ে দেশে এসে সাদেকী ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সে সময়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ১ হাজার ৪০ ডলারের একটি চেক তুলে দিয়েছিলেন।

পরে সাদেকী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অটোগ্রাফও নেন। সাদেকীর পরিচয় এহসানুল ইসলাম সাদেকী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা পোস্ট অফিস রোড এলাকার সরদার মো. শরীফ সাদেকীর ছেলে। ফতুল্লার দাপা এলাকার মৃত সরদার সাদেক আলীর ৫ ছেলের মধ্যে সরদার মো. শরীফ সাদেকী সবার ছোট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে ব্যাংক জালিয়াতির বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রায় কোটি টাকা লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে ১৯৭৯ সালে শরীফ সাদেকী স্বপরিবারে চলে যান আমেরিকা। ৮১ সালের দিকে আমেরিকাতে স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান।

শরীফ সাদেকীর ২ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট এহসানুল হক সাদেকীর শৈশব ও কৈশর ওখানেই কাটে। ফলে নারায়ণগঞ্জের আত্মীয়-স্বজনরাও তাকে তেমন একটা চিনতো না। ফতুল্লায় আসেন সাদেকী ১৯৯৮ সালের পর ২০০৩ সালে সাদেকী ফতুল্লায় আসেন। পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য মতে, সাদেকীকে ওই সময়ে ইংরেজিতে কথা বলতে শোনা গেছে। তবে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলাও বলতে পারতো।

তার মুখে দাড়ি-গোঁফ ছিল। কোরআনে হাফেজ এহসানুল ইসলাম সাদেকী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তন। ওই সময় রমজান মাসে পারিবারিক মসজিদ সরদার বাড়ি মসজিদে দুই রাকাত তারাবির নামাজও পড়ায় সাদেকী। কয়েকদিন থাকার পর ঢাকায় নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। ২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাদেকী তার বাবার সঙ্গে ফতুল্লার বাসায় এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

যেভাবে গ্রেপ্তার ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল সোমবার রাতে স্ত্রী হ্যাপি শাহনাজকে নিয়ে শপিং শেষ করে বারিধারা এলাকার কাছে কালাচাঁদপুর সেতু পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে সাদা পোশাক পরিহিত এবং অয়্যারলেস ও আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী বিশেষ টিম সাদেকীকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এবং পরে তাকে একটি বিশেষ বিমানে করে নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে। গ্রেপ্তারের মাত্র ১৭ দিন পূর্বে ১ এপ্রিল আপন বড় চাচা রহমতউল্লাহর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী হ্যাপি শাহনাজকে বিয়ে করে সাদেকী। ঢাকার ধানমন্ডিস্থ পাটি প্যালেসে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। সাদেকীর মা, ২ বোন ও ১ভাই বিয়ের সময়ে আমেরিকাতে ছিলেন।

বিয়ের পর স্ত্রী হ্যাপিকে নিয়ে তার আমেরিকায় যাওয়ার কথা ছিল। গ্রেপ্তারের পর পরিবারের বক্তব্য ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল সাদেকী গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ১৯ অক্টোবর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাদেকীর মুক্তি দাবিতে এক মানববব্ধনে তার বাবা শরীফ সাদেকী অভিযোগ করে বলেছিলেন, শুধু সাদেকী নয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে আরও ৮ জনকে গোপনে অপহরণ করেছে এফবিআই। তিনি আরো জানান, তার ছেলেকে বারিধারা থেকে অপহরণ করে ওই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ৪ দিন আটকে রাখার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র হাতে সাদেকীকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ওই সময়ে বিবিসি ও সিএনএনে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট শুরু করে। একপর্যায়ে আমেরিকান হোমল্যন্ড সিকিউরিটি বাধ্য হয়ে অপহরণের কথা স্বীকার করে। সিআইএ’র সামরিক বিমানে তাকে প্রথমে জাপানের গোপন বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে জাপান সরকার সেখানে তাকে রাখার অনুমতি না দিলে সাদেকীকে জার্মানি হয়ে আলাস্কার কোর্টে হাজির করা হয়। পরে নিউইয়র্ক কোর্ট সাদেকীকে জামিন প্রদান করলেও হোমল্যন্ড সিকিউরিটি জামিন বাতিল করে ‘সন্দেহজনক’ ব্যাখ্যায় পুনরায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটলান্টার বন্দীশালায় আটক রাখে।

সাদেকীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাদেকী এবং তার বন্ধু পাকিস্তানি-আমেরিকান সাঈদ হারিস আহমেদ কীভাবে এফবিআইয়ের নজরে পড়েছিল এবং কীভাবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত তৈরি করা হয় সম্প্রতি সেসব উপস্থাপন করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। রিপোর্টে বলা হয়, আটলান্টার মিড টাউনে অবস্থিত মসজিদে সাদেকীর সঙ্গে পাকিস্তানি-আমেরিকান সাঈদ হারিস আহমদের সাক্ষাতের পর তারা উভয়ে একই মনোভাবাপন্ন বলে পরষ্পরের কাছে প্রতীয়মান হওয়ার পর জিহাদে অংশ নেয়ার ব্যাপারে একই মত পোষণ করে। ২০০৪ সালের শেষার্ধে তারা জর্জিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল ভ্রমণ করে আধা-সামরিক বাহিনীর অস্ত্র পরিচালনার যাবতীয় প্রশিক্ষণ শিখে নেয়। ওই বছরের মার্চে কানাডায় সংসদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করার দায়ে কানাডা পুলিশের হাতে পরবর্তী সময় গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জনের একজনের সঙ্গেও তারা দীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হয়। কানাডায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র ফাঁস হয় ২০০৬ সালে।

এফবিআই’র তথ্যে আরও জানা যায়, ২০০৫ সালের এপ্রিলে সাদেকী এবং হারিস ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের গম্বুজ, হোয়াইট হাউজসহ যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সংরক্ষণাগার ধ্বংসের পরিকল্পনা হিসেবে এসকল এলাকা ভ্রমণ ও ভিডিও টেপ তৈরি করেছিল। পরে সাদেকী সেগুলো প্রেরণ করে ইউনূস টিসোলি ওরফে ইরহাবি এবং আবিদ হুসেন খানের কাছে। ইউনূস টিসোলি হচ্ছে আল কায়েদার ওয়েবমাস্টার, আল কায়েদায় ভর্তির মূল ব্যক্তি এবং আল কায়েদার অভিযানের সপক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রচারণা চালানোর প্রধান সংগঠক। অন্যদিকে আবিদ হুসেন খান হচ্ছে পাকিস্তানভিত্তিক দু’টি সন্ত্রাসী গ্রুপের সহায়তাকারী। ওরা দু’জনই যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার দায়ে বর্তমানে জেল খাটছে।

২০০৫ সালের ১৮ আগস্ট সাদেকী বাংলাদেশে আসার সময় আমেরিকার কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তার লাগেজ তল্লাশি করলে তার ল্যাপটপের সিডিরমে আমেরিকার ওয়াশিংটনের পুরো অঞ্চলের ম্যাপ পাওয়া যায়। তখন সে বাংলাদেশে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসছে বলে মন্তব্য করলে এফবিআই’র কর্মকর্তাদের সন্দেহ বেশ জোরালো হয়। কিন্তু তাকে আটক করা হয়নি। ঢাকায় এসে সাদেকী মিলিত হয় সন্ত্রাসী টিসোলি এবং সুইডেনের সন্ত্রাসী মিরসাদ বেকটাসেভিচের সঙ্গে। তারা তিনজনে পরামর্শ করে ইউরোপে জিহাদি গ্রুপ গঠনের ব্যাপারে।

সুইডেনভিত্তিক এ সংগঠনের নাম ঠিক করা হয়- আল কায়েদা ইন নর্দার্ন ইউরোপ (এজন্য সাদেকী আগেই সুইডেনের ভিসা সংগ্রহ করে)। এর কয়দিন পরই মিরসাদ গ্রেপ্তার হয় বসনিয়া-হারজেগোভিনার রাজধানী সারাজেভোতে। তাকেও জেলদণ্ড দেয়া হয়েছে সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকার দায়ে। গ্রেপ্তারের পর মূলত মিথ্যা বলার অপরাধে ফেডারেল আইনের ১০০১ (এ) (২) ধারার ১৮ নম্বর উপধারা লঙ্ঘনের দায়ে সাদেকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় আরো বলা হয়েছে, সাদেকী ও হারিস ২০০৬ সালের ৬ মার্চ কানাডার টরেন্টোতে গিয়ে কানাডায় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সদস্য বলে আন্তর্জাতিক তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহযুক্ত অন্তত ৩টি ইসলামী জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং একই সঙ্গে আমেরিকায় ফিরেছে ১৩ মার্চ।

সাদেকীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি ২৮০ ডলার দিয়ে বাসের দু’টি টিকিট ক্রয় করা হয় এবং একই কনফারমেশনে টিকিট দু’টি হস্তান্তর করা হয়েছে। ইমিগ্রেশনের নথিতেও দেখা যায়, তারা দু’জনে কানাডা থেকে আমেরিকায় ফেরার সময় কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। অনলাইনে চ্যাটিংয়ের সময় সাদেকী এবং হারিসের মধ্যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসে অংশগ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার সময়েই এফবিআইয়ের নজরে আসে উভয়ে। কিন্তু এটি তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি। ২০০৫ সালের গ্রীষ্মে এফবিআই জানতে পারে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিদেশে তদন্তরত উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে ই-মেইল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে আটলান্টার জনৈক ব্যক্তির।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট টেররিজম টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশ নিয়ে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, আমেরিকান ওই যুবকের নাম এহসানুল ইসলাম সাদেকী। ২০০৬ সালের মার্চে আমেরিকাতে এফবিআই সাদেকীর মুখোমুখি হয়। তারা সাদেকীর সহায়তা চায় এহেন ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটনে। তবে সাদেকী অস্বীকার করে এ ধরনের নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার ব্যাপারে।

এ সময় পাকিস্তানি-আমেরিকান সাঈদ হারিস এফবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে তদন্তে সহায়তার জন্য। একই সঙ্গে গোপনে জানিয়ে দেয় সাদেকীকে সতর্ক থাকতে। এরপরই হারিস আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের মাসেই বাংলাদেশ থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয় সাদেকীকে। সাদেকীর পরিবার চায়- সব কিছুর পরে সত্য উদঘাটিত হোক এবং তাদের সন্তান তাদের কাছে নিরাপদে ফিরে আসুক।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।